কেন মেঘের ছায়া আজি চাঁদের চোখে
বাণী
কেন মেঘের ছায়া আজি চাঁদের চোখে? মোর বুকে মুখ রাখি ঝড়ের পাখি সম কাঁদে ওকে? গভীর নিশীথের কন্ঠ জড়ায়ে শ্রান্ত কেশভার গগনে ছড়ায়ে, হারানো প্রিয়া মোর এলো কি লুকায়ে আমার একা ঘরে ম্লান আলোকে॥ গঙ্গায় তারি চিতা নিভেছে কবে, মোর বুকে সেই চিতা আজো জ্বলে নীরবে; স্মৃতির চিতা তার নিভিবে না বুঝি আর কোন সে জনমে কোন সে লোকে॥
ভবনে আসিল অতিথি সুদূর
বাণী
ভবনে আসিল অতিথি সুদূর। সহসা উঠিল বাজি রুমু রুমু ঝুম নীরব অঙ্গনে চঞ্চল নূপুর।। মুহু-মুহু বন-কুহু বোলে দোয়েল ধ্যান ভুলি চমকি আঁখি খোলে কে গো কে বলে বন-ময়ূর।। দগ্ধ হিয়ার জ্বালা জুড়ায়ে সজল মেঘের শীতল চন্দন কে দিল বুলায়ে? বকুল কেয়া বীথি হ'তে ছুটে এলো সমীরণ চঞ্চল স্রোতে চাঁদিনী নিশীথের আবেশ আনে মিলন তন্দ্রাতুর অলস-দুপুর।।
সৈয়দে মক্কী মদনী আমার নবী মোহাম্মদ
বাণী
সৈয়দে মক্কী মদনী আমার নবী মোহাম্মদ করুণা-সিন্ধু খোদার বন্ধু নিখিল মানব-প্রেমাস্পদ।। আদম নূহ, ইব্রাহিম দাউদ সোলেয়মান মুসা আর ঈসা, সাক্ষ্য দিল আমার নবীর, সবার কালাম হ'ল রদ। যাঁহার মাঝে দেখল জগৎ ইশারা খোদার নূরের, পাপ-দুনিয়ায় আনলো যে রে, পুণ্য বেহেশতী সনদ।। হায় সিকান্দর খুঁজল বৃথাই আব-হায়াত এই দুনিয়ায় বিলিয়ে দিল আমার নবী, সে সুধা মানব সবায়। হায় জুলেখা মজল ঐ ইউসুফেরই রূপ দেখে, দেখলে মোদের নবীর সুরত, যোগীন হত ভসম মেখে'। শুনলে নবীর শিঁরিন জবান, দাউদ মাগিত মদদ।। ছিল নবীর নূর পেশানিতে, তাই ডুবল না কিস্তি নূহের পুড়ল না আগুনে হযরত ইব্রাহিম সে নমরুদের হায়, দোজখ আমার হারাম হ'ল পিয়ে কোরানের শিঁরিন শ্যহদ।।
হারানো হিয়ার নিকুঞ্জ পথে
বাণী
হারানো হিয়ার নিকুঞ্জপথে কুড়াই ঝরা ফুল একেলা আমি। তুমি কেন হায় আসিলে হেথায় সুখের স্বরগ হইতে নামি।। চারিপাশে মোর উড়িছে কেবল শুকনো পাতা মলিন ফুল–দল, বৃথাই কেন হায় তব আঁখিজল ছিটাও অবিরল দিবস–যামী।। এলে অবেলায় পথিক বেভুল বিঁধিছে কাঁটা নাহি যবে ফুল, কি দিয়ে বরণ করি ও চরণ নিভিছে জীবন, জীবন–স্বামী।।