পিয়া পাপিয়া পিয়া বোলে
বাণী
পিয়া পাপিয়া পিয়া বোলে। ‘পিউ পিউ পিউ কাঁহা’ পাপিয়া পিয়া বোলে।। সে পিয়া পিয়া সুরে বাদল ঝুরে, নদী-তরঙ্গ দোলে। কূলে কূলে কুলু কুলু নদী-তরঙ্গ দোলে। ফুটিল দল মেলি’ কেতকী, বেলি, শিখী পেখম খোলে। দু’লে দু’লে দু’লে নেচে’ শিখী পেখম খোলে।। পিয়ায় যা’রা নাহি পেল হেথায়, তাহারা কি এসেছে ধরায় পুন হইয়া পাপিয়া পাখি? দেখিয়া ঘরে ঘরে তরুণীর কালো আঁখি ‘পিউ কাঁহা পিউ কাঁহা’ আজিও উঠিছে ডাকি’! পিয়া পাপিয়া পিয়া বোলে।।
আমার আছে অসীম আকাশ
বাণী
আমার আছে অসীম আকাশ, তোমার আছে ঘর। তোমার আছে পারের তরী, আমার বালুচর।। তোমার আছে কূলের আশা আমার অকূল স্রোতে ভাসা, আমায় ডাকে (গো) দূর আলেয়া, তোমার প্রদীপ-কর।। থাকুক তোমার দখিন হাওয়া, আমার থাকুক ঝড়, তোমার তরে তরুর ছায়া, আমার তেপান্তর। তুমি ঘুমাও সুখের কোলে আমি ভুলে’ যাওয়ার দলে, হারিয়ে তোমায় মোর ধরণী হলো বিপুলতর।।
ও-রে শাদা মেঘ
বাণী
ও-রে শাদা মেঘ! তোর পাখা নাই তবু কেমনে ভাসিয়া বেড়াস্ শান্ত শারদ-গগনে।। আমি তোর মত লঘু হ’ব আমি ধূলির ঊর্দ্ধে রব, আমি দেখিয়া গৌরী-শঙ্কর-শোভা গলিয়া পড়িব চরণে।। আমি নিশির কপোলে শিশিরের স্বেদ হেরিব, আমি রংধনু হ’য়ে চাঁদের চাহনি ঘেরিব। সে কি নিশীথে বাঁশিতে ডাকে তাই সে কি জানে, মেঘ হতে কেন চাই, যদি আমার বুকে দামিনী পায় — সে নবীন নীরদ-বরণে।।
কানাই রে কই তোর চূড়া বাঁশরি
বাণী
নিত্যানন্দ : কানাই রে কই তোর চূড়া বাঁশরি! তুই নাকি সেই নন্দদুলাল এলি নদীয়ায় ব্রজ পাশরি’।। নিমাই : কি পুছসি আমারে ভাই এবার চূড়া বাঁশরি নাই, ব্রজের খেলা বাঁশির তান ন’দের খেলা হরি-গান। ব্রজের বেশ ধড়াচূড়া ন’দের বেশ কৌপীন পরা, ব্রজের খেলা রাখাল হয়ে, ন’দের খেলা ধূলি ল’য়ে। নিত্যানন্দ : নদীয়াতে বিষ্ণুপ্রিয়া, ব্রজের রাইকিশোরী।।
নাটক : ‘বিষ্ণুপ্রিয়া’ (নিত্যানন্দ ও নিমাইয়ের গান)
কপোত কপোতী উড়িয়া বেড়াই
বাণী
উভয়ে : কপোত কপোতী উড়িয়া বেড়াই সুদূর বিমানে আমরা দু’জনে। কানন-কান্তর শিহরি’ ওঠে মোদের প্রণয়-মদির কূজনে।। স্ত্রী : ভ্রমর গুঞ্জে মঞ্জুল গীতি, হেরিয়া আমার বঁধূর প্রীতি, পুরুষ : আমার প্রিয়ার নয়নে চাহি’ কুসুম ফুটে ওঠে বিপিনে বিজনে।। স্ত্রী : তোমা ছাড়া স্বর্গ চাহি না, প্রিয়! মোদের প্রেমে চাঁদ আসে নেমে মাটির পাত্রে পান করি অমিয়।। পুরুষ : বিশ্ব ভুলায়ে ও-রাঙা পায়ে আমারে বেঁধেছে জীবনে মরণে।।