কত নিদ্রা যাও রে কন্যা
বাণী
কত নিদ্রা যাও রে কন্যা জাগো একটু খানি যাবার বেলায় শুনিয়া যাই তোমার মুখের বাণী।। নিশীথিনীর ঘুম ভেঙে যায় চন্দ্র যখন হেসে তাকায় গো চাতাকিনী ঘুমায় কি গো দেখলে মেঘের পানি।। ফুলের কুঁড়ি চোখ মেলে চায় যেই না ভ্রমর বোলে (রে কন্যা) বসন্ত আসিলে রে কন্যা বনের লতা দোলে (রে কন্যা) যারা আছে প্রাণে প্রাণে জাগে তারা ঘুম না জানে আমি যখন রইব না গো (তখন) জাগবে তুমি জানি।।
আমি দেখন-হাসি
বাণী
আমি দেখন-হাসি আমায়দেখ্লে পরে হাসতে হাসতে পেয়ে যাবে কাশী।। আমিহাসির হাঁসলী ফিরি করি এলে আমার হাসির দেশে বুড়োরা সব ছোঁড়া হয়, আর ছোঁড়ারা যায় টেসে। আমারহাস-খালিতে বাড়ি, আমি হাস্নু হানার মাসি।। এলেআমার হাসির হেঁসেলে তার হাঁসফাঁসানি লেগে অন্তে শুধু দন্ত থাকে শরীরটা যায় ভেগে। (আমি)পাতি হাঁসির আন্ডা বেচি আর হাসির ময়দা খাঁসি।। সেদিন পথে যাচ্ছিল সব রাজার হাতি ঘোড়া উট তারা না আমায় দেখি হাসতে হাসতে ‘চোঁ চোঁ চোঁ’ এই না বলি’ অমনি দিলে ছুট হেসে পালিয়ে গেল দড়ি ছিঁড়ে মটরু মিঞার খাসি।।
ওরে আয় অশুচি আয়রে পতিত
বাণী
ওরে আয় অশুচি আয়রে পতিত এবার মায়ের পূজা হবে। যেথা সকল জাতির সকল মানুষ নির্ভয়ে মা’র চরণ ছোবে। (সেথা) এবার মায়ের পূজা হবে॥ সেথা নাই মন্দির নাই পূজারি নাই শাস্ত্র নাইরে দ্বারী, সেথা মা বলে যে ডাকবে এসে মা তাহারেই কোলে লবে॥ মা সিংহ-আসন হ’তে নেমে বসেছে দেখ্ ধূলির তলে মার মঙ্গল ঘট পূর্ণ হবে সবার ছোঁওয়া তীর্থ জলে। মোরা জননীকে দেখিনি, তাই ভাইকে আঘাত হেনেছে ভাই, আজ মাকে দেখে বুঝবি মোরা এক মা’র সন্তান সবে। এবার ত্রিলোক জুড়ে পড়বে সাড়া মাতৃ মন্ত্র মাভৈঃ রবে॥
ফুলের জলসায় নীরব কেন কবি
বাণী
ফুলের জলসায় নীরব কেন কবি? ভোরের হাওয়ায় কান্না পাওয়ায় তব ম্লান ছবি নীরব কেন কবি।। যে বীণা তোমার কোলের কাছে বুক-ভরা সুর ল’য়ে জাগিয়া আছে, তোমার পরশে ছড়াক্ হরষে আকাশে-বাতাসে তা’র সুরের সুরভি নীরব কেন কবি।। তোমার যে প্রিয়া গেল বিদায় নিয়া অভিমানে রাতে — গোলাপ হয়ে কাঁদে তাহারই কামনা উদাস-প্রাতে। ফিরে যে আসিবে না ভোলো তাহারে চাহ তাহার পানে দাঁড়ায়ে যে দ্বারে, অস্ত-চাঁদের বাসনা ভুলাতে অরুণ-অনুরাগে উদিল রবি নীরব কেন কবি।।