বাণী

ও ভাই হাজি! কোন্ কাবা ঘর হজ করিয়া এলে।
গিয়ে কি ভাই খোদায় পাওয়ার পথের দিশা পেলে।।
খোদার ঘরের দিদার পেয়ে বল কেমন ক’রে
ফিরে এলে দুনিয়াদারীর এই না-পাক ঘরে,
কেউ বলেছে কি কোন্ কাবাতে গেলে খোদায় মেলে।।
খেলেছিলেন নবীজী যে-মক্কা মদিনায়
বেহোঁশ হয়ে পড়নি কি পৌঁছিয়া সেথায়,
কেমন ক’রে ফিরে এলে সেই মদিনা ফেলে
এই দুনিয়ার কারবালাতে অধিক তৃষা আরো
এনেছ কি আব্হায়াতের পানি? দিতে পারো?
মোর আঁধার ঘরে দিতে পারো নূরের চেরাগ জ্বেলে?

বাণী

মদিনার শাহানশাহ্ কোহ্-ই-তূর-বিহারী
মোহাম্মদ মোস্তফা নবুয়তধারী॥
আল্লার প্রিয় সখা, দুলাল মা আমেনার
খাদিজার স্বামী, প্রিয়তম আয়েশার
আস্‌হাবের হাম্‌দম্‌, ওয়ালেদ ফাতেমার,
বেলালের আজান, খালেদের তলোয়ার,
কেয়ামতে উম্মত শাফায়ত-কারী॥
তৌহিদ-বাণী মুখে, আল-কোরআন হাতে
খোদার নূর দেখি যাঁর হাসির ইশারাতে
যাঁর কদমের নীচে দুলে কত জিন্নাত,
যে দু’হাতে বিলালো দুনিয়ায় খোদার মোহাব্বত
হো মেরাজের দুলহা আল্লার আর্শচারী॥
নয়নে যাঁর সদা খোদার রহমত ঝরে
সংসার মরুবাসী পিয়াসার তরে
আনিল যে কওসর সাহারা নিঙাড়ি’॥

বাণী

লক্ষ্মী মাগো এস ঘরে সোনার ঝাঁপি লয়ে করে।
কমল-বনের কমলা গো বিহর হৃদি-কমল পরে।।
	কোজাগরী-পূর্ণিমাতে
	দাঁড়াও আকাশ-আঙ্গিনাতে,
মা গো, তোমার লক্ষ্মী শ্রী জোছনা-ধারায় পড়ুক ঝরে।।
চঞ্চলা গো, এই ভবনে থাকো অচঞ্চলা হয়ে,
দারিদ্র্য আর অভাব যত দূর হোক মা তোর উদয়ে।
	সুমঙ্গলা দুঃখ-হরা।
	অমৃত দাও পাত্র-ভরা,
ঐশ্বর্য উপ্‌চে পড়ুক, হরি-প্রিয়া তোমার বরে।।

‘লক্ষ্মী-বন্দনা’

বাণী

নাচে ঐ আনন্দে নন্দ-দুলাল
তাতা থৈ তাতা থৈ — নাচে বৃন্দাবনে হরি ব্রজ-গোপাল।।
ছন্দ নামে, দক্ষিণে বামে,
টলে বাঁকা শিখী-পাখা।
উছল যমুনা-জলে বাজিছে তাল।
		নাচে নন্দ-দুলাল।।
বিরাট খেলে হের আজ শিশুর রূপে,
স্বর্গে কাঙাল করি’ ধরায় এলো চুপে চুপে।
এত রূপ কেমনে দেখি,
দিলে কেন দুটি আঁখি
তাহে আবার পলক পড়ে;
আজি বিশ্ব-পালক হ’ল বালক রাখাল।।

বাণী

সাঁঝের আঁচলে রহিল হে প্রিয় ঢাকা।
ফুলগুলি মোর বেদনার রং মাখা।।
		আসিবে যখন ফিরে
		আবার এ মন্দিরে,
চরণে দলিও আলপনা মোর অশ্রুর জলে আঁকা।।
বিরহ-মলিন বন-তুলসীর শুকানো মালিকাখানি,
ফেলিবার আগে ধন্য করিও একটু পরশ দানি’।
		যেতে এই পথ ’পরে
		যদি মোরে মনে পড়ে,
যমুনার জলে ভাসাইয়া দিও একটি মাধবী শাখা।।

বাণী

চির-আপনার তুমি হে হরি।
তুমি ভুলো না যদি আমি রই পাশরি’।।
আমি ভুলিয়া যদি কভু রহি ঘুমে
তুমি ঘুম ভাঙাও মোর আঁখি চুমে,
তুমি আমি এক তরীতে তরি।।
আমার বাঁধন মোচন মাঝে
হরি হে তোমারও মুকুতি রাজে,
তুমি জীবনে আমার আছ প্রাণ ধরি’।।