আধো রাতে যদি ঘুম ভেঙে যায়
বাণী
আধো রাতে যদি ঘুম ভেঙে যায়, চাঁদ নেহারিয়া প্রিয় মোরে যদি মনে পড়ে, বাতায়ন বন্ধ করিয়া দিও।। সুরের ডুরিতে জপমালা সম তব নাম গাঁথা ছিল প্রিয়তম, দুয়ারে ভিখারি গাহিলে সে গান, তুমি ফিরে না চাহিও।। অভিশাপ দিও, বকুল-কুঞ্জে যদি কুহু গেয়ে ওঠে, চরণে দলিও সেই যুঁই গাছে আর যদি ফুল ফোটে। মোর স্মৃতি আছে যা কিছু যেথায় যেন তাহা চির-তরে মুছে যায়, (মোর) যে ছবি ভাঙিয়া ফেলেছ ধূলায় (তারে) আর তু’লে নাহি নিও।।
চুরি ক’রে এনো গিরি
বাণী
চুরি ক’রে এনো গিরি, আমার উমার দুই কুমারে। দেখ্ব তখন ভোলা মেয়ে কেমন ভু’লে থাকতে পারে॥ তার ছেলেরে আনলে হেথা, বুঝবে মেয়ে মায়ের ব্যথা; (বিনা) সাধনাতে গৌরী তখন, আসবে ছুটে আমার দ্বারে॥ জামাই আমার শিব ভোলানাথ, ডাকিলেই সে আসিবে জানি চাইবে নাকো আসতে শুধু, তোমার মেয়ে ঐ পাষাণী। কুমার গণেশ তুমি আমি, শিব পূজিব দিবস যামী; শৈব হ’লে শিবাণী মোর, রইতে নারে ছেড়ে তারে॥
আমি গো-রাখা রাখাল
বাণী
আমি গো-রাখা রাখাল। যারা গোপের মতন চির-সরলমন — তাদেরি সাথে আমি খেলি চিরকাল গো।। নয়ন বুঁজে ধ্যানী আমারে খুঁজে যে গিরি-গুহায়, (সেই) গিরি ধরিয়া রহি গিরিধারী ওরা দেখিতে না পায়। আমি নন্দ-লালার বেশে কাছে আসি মৃদু হেসে, ওরা ভাবে হরি শুধু বিপুল বিশাল।। (ওরা প্রেম যে পায়নি, ওরা সহজে গোপীর মত ভালোবেসে চায়নি প্রেম যে পায়নি!)
নাটক : ‘অর্জুন-বিজয়’
কোন্ মহাব্যোমে ধ্বনি ওঠে ওম্
বাণী
কোন্ মহাব্যোমে ধ্বনি ওঠে ওম্, আদি আকাশ বাণী। কোন্ মহামৌনীর ধ্যান ভাঙে কোন্ বিরহের বীণাপাণি — নাহি জানি নাহি জানি।। নিথর শূন্য অসীমে কোথায় কে সে প্রণব-শঙ্খ বাজায়, সেই ধ্বনি বুঝি জ্যোতির্জ্জগতে বাহিরে আনিছে টানি।। কোন্ অজানার অলখ-জটায় কথার গঙ্গা কাঁদে কোন্ মায়াতীত সুন্দর হ’ল পড়িয়া মায়ার ফাঁদে। কার সাথে এত কথা কহিবার এত সে-গোপন সাধ ছিল তার, তাহারি বাঁশরি-ধ্বনির কথা কি ব্রজে হয় কানাকানি।।
ভারত আজিও ভোলেনি বিরাট
বাণী
ভারত আজিও ভোলেনি বিরাট মহাভারতের ধ্যান। দেশ হারায়েছে — হারায়নি তা’র আত্মা ও ভগবান।। তাহার ক্ষাত্রশক্তি গিয়াছে প্রেম ও ভক্তি আজও বেঁচে আছে, আজিও পরম ধৈর্য ও বিশ্বাসে — তার আশা-দীপ জ্বালিয়া রেখেছে সেই ভাগবত জ্ঞান।। দেহের জীর্ণ পিঞ্জরে তার প্রাণ কাঁদে নিরাশায়, ‘সম্ভবামি যুগে যুগে’ বাণী ভুলিতে পারে না হায়! সেই আশ্বাসে আজ নব অনুরাগে পাষাণ ভারতে বিরাট চেতনা জাগে, জেগেছে সুপ্ত-সিংহ, এসেছে দিব্য অসি-কৃপাণ।।