বাণী

	বর্ণচোরা  ঠাকুর এলো রসের নদীয়ায়
	তোরা দেখবি যদি আয়
তারে	কেউ বলে শ্রীমতি রাধা কেউ বলে সে শ্যামরায়।।
	কেউ বলে তার সোনার অঙ্গে রাধা-কৃষ্ণ খেলেন রঙ্গে;
ওগো	কেউ বলে তায় গৌর-হরি কেউ অবতার বলে তায়।।
তার	ভক্ত তারে ষড়ভুজ শ্রী নারায়ণ বলে,
কেউ	দেখেছে শ্রীবাসের ঘরে কেউ বা নীলাচলে।
	দুই হাতে তার ধনুর্বাণ ঠিক যেন শ্রীরাম,
	দুই হাতে তার মোহন বাঁশি যেন রাধা-শ্যাম,
	আর দু'হাতে দণ্ড ঝুলি নবীন সন্ন্যাসীরই প্রায়।।

বাণী

আজি নতুন এ চাঁদের তিথিতে
কোন্ অতিথি এলো ফুল-বীথিতে॥
যদি বেদনা পায় বঁধু পথ চলিতে
তাই চেয়েছি বনপথ ফুল কলিতে
জানি ভাল জান হে বঁধু ফুল দলিতে
এসো বঁধু সুমধুর প্রীতিতে॥
এসো মনের মন্দিরে দেবতা আমার
লহ প্রেমের চন্দন আঁখি জলহার
আজি সফল করো সাধ আমার পূজার
চির জনম রহ মোর স্মৃতিতে॥

বাণী

কে এলি মা টুকটুকে লাল রক্ত-চেলি প’রে।
সারা গায়ে আবির মেখে ভুবন আলো ক’রে মা ত্রিভুবন রূপে ভ’রে।।
	পায়ে লাল জবার ফুল
	কানে ঝুমকো জবার দুল্,
লাল শাপ্‌লার মালা প’রে দুলিয়ে এলোচুল —
শুভ্র-বরণ শিবকে ফাগের রঙে রঙীন ক’রে।।
ওমা! যোগমায়া, তোর রঙে রসের ব্রজে এলো হোরি,
(তোর) নাচের তালে আনন্দ কুঙ্কুম প’ড়ে ঝরি’।
	তোর চরণ-অরুণ রাগে
	মা প্রভাত-রবি রাঙে
	মণিপুর-কমলে গায়ত্রী জাগে।
(সেই) অনুরাগের রঙীন ধারা পড়ুক বুকে ঝ’রে।।

বাণী

অকূল তুফানে নাইয়া কর পার
পাপ দরিয়াতে ডুবে মরি কান্ডারি
নাই কড়ি নাই তরী প্রভু পারে তরিবার।।
থির নহে চিত পাপ-ভীত সদা টলমল
পুণ্যহীন শূন্য মরু সম হৃদি-তল নাহি ফুল নাহি ফল
পার কর হে পার কর ডাকি কাঁদি অবিরল
নাহি সঙ্গী নাহি বন্ধু নাহি পথেরি সম্বল।
সাহারায় নাহি জল
শাওন বরিষা সম তব করুণার ধারা
ঝরিয়া পড়ুক পরানে আমার।।

বাণী

অরুণ কিরণ সুধা-স্রোতে, ভাসাও প্রভু মোরে।
গ্লানি পাপ তাপ মলিনতা, যাক ধুয়ে চিরতরে।।
প্রশান্ত স্নিগ্ধ তব হাসি, ঝরুক অশান্তি প্রাণে বুকে১
প্রভাত আলোর ধারা, যেমন ঝরে সব ঘরে।।
যেমন বিহগেরা জাগি ভোরে, আলোর নেশার ঘোরে
আকাশ পানে ..., বন্দে প্রেম-মনোহরে২।।

১. পান্ডুলিপিতে পরিবর্ত লাইন হিসেবে ‘সবারে আজ যেন ভালোবাসি’ লেখা আছে।
২. পান্ডুলিপিতে গানটির সঙ্গে কবি-কৃত স্বরলিপি আছে।

বাণী

দাও আরো আরো দাও সুরা আর সুর।
প্রাণের পাত্র কর সুখে ভরপুর।।
	বাজুক অধীর হ’য়ে
	নূপুর জলদ লয়ে,
সমতালে তাল দিক কাঁকন-কেয়ূর।।
	সুর ও সুরার ঝোঁক
	ধরায় অমর হোক,
এই সে-স্বর্গলোকে আয় তৃষাতুর।।

নাটিকা: ‘নরমেধ’