আয় মা চঞ্চলা মুক্তকেশী
বাণী
আয় মা চঞ্চলা মুক্তকেশী শ্যামা কালী। নেচে নেচে আয় বুকে আয়, দিয়ে তাথৈ তাথৈ করতালি।। দশদিক আলো ক’রে ঝঞ্ঝার নূপুর প’রে, দুরন্ত রূপ ধ’রে আয় মায়ার সংসারে আগুন জ্বালি’।। আমার স্নেহের রাঙাজবা পায়ে দ’লে কালো রূপ-তরঙ্গ তুলে১ গগন-তলে সিন্ধুজলে আমার কোলে আয় মা আয়। তোর চপলতায় মা কবে শান্ত ভবন প্রাণ-চঞ্চল হবে, এলোকেশে এনে ঝড় মায়ার এ খেলাঘর ভেঙে দে মা আনন্দ-দুলালি।।
১. কালোরূপ — তরঙ্গ তুলে সাগর জলে
ওলো ননদিনী বল্
বাণী
ওলো ননদিনী বল্ কপট নিপট কালা, নিঠুর খল্॥ তার নাই ভয় নাই লজ্জা শরম লইয়া যুবতীর ধরম গো খেলে সে নিঠুর খেলা, চতুর চপল্॥ না শুনে লো তোদের গালি মাখলাম কুলে কালার কালি গো সে মুখে সরল বনমালী, অন্তরে গরল॥ তার শত জনে মন বাঁধা, রাতে চন্দ্রা দিনে রাধা (তারে) কঠিন কথা শুনাইব চল্লো গোঠে চল্॥ কৃষ্ণ ব’লে অবিরত দে লো গালি পারিস যত ননদী কয় বুঝেছি বউ (কৃষ্ণ) নাম শোনারই ছল ও বউ কৃষ্ণ নাম তোর ভাল লাগে তাই কৃষ্ণ (ও তোর) নাম শোনারই ছল॥
ক্ষীণ তনু যৌবন ভার বইতে নারি
বাণী
ক্ষীণ তনু যৌবন ভার বইতে নারি ধীরে চল গোরী ধীরে ধীরে টলে চিকন কাঁখে ভরা গাগরি ভরে তায় ঘাঘরি। দেহ টুটে না যায় যেন নাগরি নীল চোলি ভিজিয়া না যায় নীরে।। কঠিন ধরা হানে বেদনা কোমল পায়ে মুছায়ে দিব ব্যথা ব’স এ বকুল ছায়ে ‘না’বলি মুচকিয়া হেসো না ফিরে ফিরে।। দাঁড়ায়ে কত পথিক বহিতে সই ভার তব যদি চাহ গো সখি ভার তব আমি লব দাও আমারে ঠাঁই, তব ঐ তনুর তীরে।।