আমায় যারা ঘিরে আছে
বাণী
আমায় যারা ঘিরে আছে আমার মুখে চেয়ে। তারা আমার নহে হে নাথ, (তারা) তোমার ছেলে মেয়ে।। ওদের তুমি রেখো সুখে ধ’রে তোমার আপন বুকে বাঁচুক ওরা তোমার আশির্বাদের প্রসাদ পেয়ে।। আমায় দিও দুর্ভাবনার বোঝা যত আছে (নাথ) থাকুক পরম নির্ভরতায় ওরা আমার কাছে। শুধু তোমার ভরসাতে নাথ আমি ওদের ধরেছি হাত, তোমার স্নেহ মায়ের মত থাকুক ওদের ছেয়ে।।
ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশীর ঈদ
বাণী
ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ। তুই আপনাকে আজ বিলিয়ে দে শোন্ আসমানি তাগিদ।। তোর সোনা–দানা বালাখানা সব রাহেলিল্লাহ্। দে জাকাত মুর্দা মুসলিমের আজ ভাঙাইতে নিদ্।। আজ পড়বি ঈদের নামাজ রে মন সেই সে ঈদগাহে। যে ময়দানে সব গাজী মুসলিম হয়েছে শহীদ।। আজ ভুলে যা তোর দোস্ত ও দুশমন হাত মিলাও হাতে। তোর প্রেম দিয়ে কর বিশ্ব নিখিল ইসলামে মুরিদ।। ঢাল হৃদয়ের তোর তশ্তরিতে শির্নি তৌহিদের। তোর দাওয়াত কবুল করবে হজরত হয় মনে উম্মীদ।।
কেন মনে জাগে উদাসিনী গৌরী
বাণী
কেন মনে জাগে উদাসিনী গৌরী উমার স্মৃতি! আর কত দূরে কত দেরি আনন্দময়ীর আসার তিথি।। কেন পদ্মদীঘি দুলে ওঠে হৃদয়ে মোর নন্দিনী মা আসে কি রাঙা চরণ ল’য়ে? কেন নয়নের বাতায়নে উতলা হ’ল, অশ্রুর ভ্রমর-বীথি।। তার মন নাই, উন্মনা চিন্ময়ী সে, তাই ছেলের কথা মনে নাই, শারদ-শ্রী এলো, পরমা-শ্রী কই — কাঁদি আর পথ-পানে চাই। ওকি ঘরে এসে, নাম ধরে, ডেকে চ’লে যায় শিউলির অঞ্জলি ফেলে আঙিনায়, ভোরের ভৈরবী বুকে মোর কাঁদে গো, ওকি তার করুণ-গীতি।।
গীতিচিত্রঃ শারদ-শ্রী
বাঁশি বাজাবে কবে আবার বাঁশরিওয়ালা
বাণী
বাঁশি বাজাবে কবে আবার বাঁশরিওয়ালা তব পথ চাহি ভারত-যশোদা কাঁদিছে নিরালা।। কৃষ্ণা-তিথির তিমির হারী; শ্রীকৃষ্ণ এসো, এসো, মুরারি ঘরে ঘরে আজ পুতনা ভীতি হানিছে কালা।। কংস-কারার ভাঙো ভাঙো দ্বার দেবকীর বুকের পাষাণ ভঅর নামাও নামাও যুগ যুগ সম্ভব পুর্ণাবতার! নিরানন্দ এ দেশ হাসুক আবার, আনন্দে হে নন্দলালা।।
ওরে শুভ্রবসনা রজনীগন্ধ্যা
বাণী
ওরে শুভ্রবসনা রজনীগন্ধ্যা বনের বিধবা মেয়ে, হারানো কাহারে খুঁজিস নিশীথ-আকাশের পানে চেয়ে।। ক্ষীণ তনুলতা বেদনা-মলিন, উদাস মূরতি ভূষণবিহীন, তোরে হেরি ঝরে কুসুম-অশ্রু বনের কপোল বেয়ে।। তুইলুকায়ে কাঁদিস রজনী জাগিস সবাই ঘুমায় যবে, বিধাতারে যেন বলিস — দেবতা আমারে লইবে কবে। করুণ শুভ্র ভালোবাসা তোর সুরভি ছড়ায় সারা নিশি ভোর, প্রভাত বেলায় লুটাস ধূলায় যেন-কারে নাহি পেয়ে।।