জগতের নাথ কর পার হে
বাণী
জগতের নাথ কর পার হে মায়া-তরঙ্গে টলমল তরণী অকুল ভব পারাবার হে।। নাহি কাণ্ডারি ভাঙা মোর তরী আশা নাই কুলে উঠিবার আমি গুণহীন ব'লে করো যদি হেলা শরণ লইব তবে কার।। সঙসারেরি এই ঘোর পাথারে ছিল যারা প্রিয় সাথি একে একে তারা ছাড়িয়া গেল হায় ঘনাইল যেই দুখ-রাতি। ধ্রুবতারা হয়ে তুমি জ্বালো অসীম আঁধারে প্রভু আশারই আলো তোমার করুণা বিনা হে দীনবন্ধু, পারের আশা নাহি আর।।
মেঘের হিন্দোলা দেয় পূব-হাওয়াতে দোলা
বাণী
মেঘের হিন্দোলা দেয় পূব-হাওয়াতে দোলা। কে দুলিবি এ-দোলায় আয় আয় ওরে কাজ-ভোলা॥ মেঘ-নটীর নূপুর ঐ বাজে ঝুমুর ঝুমুর, শীর্ণা-তনু ঝর্না তরঙ্গ-উতরোলা॥ ফুল-পসারিণী ঐ দুলিছে বনানী বিনিমূলে বিলায় সে সুরভি, ফুল ছানি। আজ ঘরে ঘরে ফুল-দোল্ সব বন্ধ দুয়ার খোলা॥ জলদ-মৃদঙ বাজে গভীর ঘন আওয়াজে, বাদলা-নিশীথ দুলে ঐ তিমির-কুন্তলা॥
সুরে ও বাণীর মালা দিয়ে
বাণী
সুরে ও বাণীর মালা দিয়ে তুমি আমারে ছুঁইয়াছিলে। অনুরাগ–কুম্কুম দিলে দেহে মনে, বুকে প্রেম কেন নাহি দিলে।। বাঁশি বাজাইয়া লুকালে তুমি কোথায় — যে ফুল ফোটালে সে ফুল শুকায়ে যায় কী যেন হারায়ে প্রাণ করে হায় হায় — কী চেয়েছিলে — কেন কেড়ে নাহি নিলে।। জড়ায়ে ধরিয়া কেন ফিরে গেলে বল কোন্ অভিমানে, কেন জাগে নাকো আর সে মাধুরী রস–আনন্দ–প্রাণে। তোমারে বুঝি গো বুঝেছিনু আমি ভুল এসেছিলে তুমি ফোটাতে প্রেম–মুকুল, কেন আঘাত করিয়া প্রিয়তম, সেই ভুল নাহি ভাঙাইলে।।