হেরেমের বন্দিনী কাঁদিয়া ডাকে
বাণী
হেরেমের বন্দিনী কাঁদিয়া ডাকে তুমি শুনিতে কি পাও? আখেরি নবী প্রিয় আল-আরবি বারেক ফিরে চাও।। পিঁজরার পাখি সম অন্ধকারায় বন্ধ থাকি' এ জীবন কেটে' যায়; কাঁদে প্রাণ ছুটে যেতে তব মদিনায় চরণের এই জিঞ্জির খুলে' দাও।। ফতেমার মেয়েদের হেরি' আঁখি-নীর বেহেশতে কেমনে আছ তুমি থির! যেতে নারি মসজিদে শুনিয়া আজান, বাহিরে ওয়াজ হয়, ঘরে কাঁদে প্রাণ ঝুটা এই বোরখার হোক অবসান — আঁধারে হেরেমে আশা-আলোক দেখাও।।
মদির আঁখির সুধায় সাকি ডুবাও আমার
বাণী
মদির আঁখির সুধায় সাকি ডুবাও আমার এ তনু মন আজিকে তোমায় ও আমায় বেদনার বাসর জাগরণ। মঙ্গালস ও আঁখি তব, সাকি, দিল দোলা প্রাণে।। বাদল-ছাওয়া এ গুল-বাগিচায় বুলবুল কাঁদে গজল গানে।। গোলাবী গুলের নেশা ছিল মোর ফুলেল ফাগুনে। শুকায়ে গিয়াছে ফুলবন, নাই গোলাব গুলিস্তানে।। শুনি, সাকি তোমার কাছে ব্যথা ভোলার দারু আছে — হিয়া কোন অমিয়া যাচে জান তুমি, খোদা জানে।। দুখের পশরা লয়ে বিফল কাঁদিয়া বৃথা (সাকি)। সকলি গিয়াছে যখন যাক ঈমান শ্যরাব পানে।।
ছয় লতিফার ঊর্ধ্বে আমার
বাণী
ছয় লতিফার ঊর্ধ্বে আমার আরফাত ময়দান। তারি মাঝে আছে কারা জানে বুজর্গান।। যবে হজরতেরি নাম জপি ভাই হাজার হজের আনন্দ পাই, জীবন মরণ দুই উঠে ভাই দেই সেথা কোরবান্।। আমি তুর পাহাড়ে সুর শুনে ভাই প্রেমানন্দে গলি, ফানাফির রসুলে আমি হেরার পথে চলি। হজরতেরি কদম চুমি হিজরে আসোয়াদ ইব্রাহিমের কোলে চ’ড়ে দেখি ঈদের চাঁদ, মোরে খোতবা শুনাব ইমাম হয়ে জিব্রাইল কোরআন।।
খেলে চঞ্চলা বরষা-বালিকা
বাণী
খেলে চঞ্চলা বরষা-বালিকা মেঘের এলোকেশে ওড়ে পুবালি বায় দোলে গলায় বলাকার মালিকা।। চপল বিদ্যুতে হেরি' সে চপলার ঝিলিক হানে কণ্ঠের মণিহার, নীল আঁচল হতে তৃষিত ধরার পথে ছুড়ে ফেলে মুঠি মুঠি বৃষ্টি শেফালিকা।। কেয়া পাতার তরী ভাসায় কমল-ঝিলে তরু-লতার শাখা সাজায় হরিৎ নীলে। ছিটিয়ে মেঠো জল খেলে সে অবিরল কাজলা দীঘির জলে ঢেউ তোলে আনমনে ভাসায় পদ্ম-পাতার থালিকা।।
দেবতা গো দ্বার খোলো
বাণী
দেবতা গো, দ্বার খোলো। অভিসার নিশি বাহির দুয়ারে দাঁড়ায়ে প্রভাত হ’ল॥ পাষাণের আবরণে তুমি যদি এমনি গোপন রবে নিরবধি, বেণুকার সুরে হৃদি যমুনায় কেন এ লহর তোলো॥ আর সহিতে পারি না একা, প্রাণে কেন দিয়ে আশা এত ভালোবাসা যদি নাহি দিবে দেখা। বহিতে পারি না আর এই ভার, এই ফুল সাজ পূজা-সম্ভার তুমি দেখা দেও একবার দেখা দেও — দেখা দিয়ে চিরতরে মোরে ভোলো॥