বিকাল বেলার ভুঁইচাঁপা গো
বাণী
বিকাল বেলার ভুঁইচাঁপা গো সকাল বেলার যুঁই কারে কোথায় দেব আসন তাই ভাবি নিতুই।। ফুলদানিতে রাখব কারে,কারে গাঁথি কণ্ঠ -হারে কারে যেন দেব তারে কারে বুকে থুই।। সমান অভিমানী ওরা সমান সুকোমল চাঁপা আমার চোখের আলো,যুঁই চোখের জল। বর্ষা-মুখর শ্রাবণ-প্রাতে,কাঁদি আমি যুথীর সাথে চাঁপায় চাহি চৈতী-রাতে,প্রিয় আমার দুই।।
নদীর স্রোতে মালার কুসুম ভাসিয়ে দিলাম প্রিয়
বাণী
নদীর স্রোতে মালার কুসুম ভাসিয়ে দিলাম, প্রিয়! আমায় তুমি নিলে না, মোর ফুলের পূঁজা নিও।। পথ-চাওয়া মোর দিনগুলিরে রেখে গেলাম নদীর তীরে আবার যদি আস ফিরে- তুলে গলায় দিও।। নিভে এলো পরান -প্রদীপ পাষাণ-বেদীর তলে, জ্বালিয়ে তা'রে রাখব কত শুধু চোখের জলে। তারা হয়ে দুর আকাশে রইব জেগে' তোমার আশে চাঁদের পানে চেয়ে চেয়ে' আমারে স্মরিও।।
নিরুদ্দেশের পথে আমি হারিয়ে যাদি যাই
বাণী
নিরুদ্দেশের পথে আমি হারিয়ে যাদি যাই নিত্য নূতন রূপে আবার আসবো এই হেথাই।। চাঁদনী রাতের বাতায়নে, রইবে চেয়ে উদাস মনে বলবো আমি হারাইনি গো, নাই ভাবনা নাই আকাশ থেকে তারার চোখে তোমার পানে চাই।। তুমি আকুল হয়ে ফিরবে কেঁদে যে বনপথ বেয়ে' ঝরা মুকুল হয়ে আমি সে পথ দেব ছেয়ে। তোমায়ভালোবেসে সাধ মেটেনি স্বামী মরেও মরতে পারব না তাই আমি দূরে গিয়ে দেখবো তোমায় কাছে যদি পাই।।
ওরে আলয়ে আজ মহালয়া
বাণী
ওরে আলয়ে আজ মহালয়া মা এসেছে ঘর। তোরা উলু দে রে, শঙ্খ বাজা, প্রদীপ তুলে ধর্।। (এলো মা, আমার মা) মাকে ভুলে ছিলাম ওরে কাজের মাঝে মায়ার ঘোরে, আজ বরষ পরে মাকে ডাকার মিলল অবসর।। মা ছিল না ব’লে সবাই গেছে পায়ে দ’লে, মার খেয়েছি যত তত ডেকেছি মা ব’লে। মা এসেছে ছুটে রে তাই ভয় নাইরে আর ভয় নাই, মা অভয়া এনেছে রে দশ হাতে তাঁর বর।।