ঐ নন্দন নন্দিনী দয়িতা চির-আনন্দিতা
বাণী
ঐ নন্দন নন্দিনী দয়িতা, চির-আনন্দিতা। যেন প্রথম কবির প্রথম লেখা কবিতা ॥ তব চরণের নূপুরধ্বনি মধুকর গুঞ্জর তোলে যে রণি, মন মোর ভোলে হেরি তোমারে যে গো ঐ যে যৌবন-গর্বিতা ॥ দোলায় দোদুল দুল তব নৃত্য আবেশে আকুল হয় মোর চিত্ত, নৃত্যশেষে তব পায়ের নূপুর গ্রহ তারকায় রয় আকাশের সুদূর, সুরলোক উর্বশী তুমি যে আমার রও চির-অনিন্দিতা ॥
শা আর শুড়ি মিলে শাশুড়ি
বাণী
শা আর শুড়ি মিলে শাশুড়ি কি হয় গো। শ্যাম প্রেমে বাধা দেয় স্বামী তারে কয় গো।। নয় নদী মিলে হয় ননদিনী দজ্জাল, জুতো জামা-ই সার যার-জামাই সে মহাকাল, যার কসুর হয় না সে কে? — শ্বশুর মহাশয় গো।। (সে) ভাদ্দর-বউ, (যার) ভাদ্দর মাসে বিয়ে, দেবর সে জন — বর যে দেয় দাদারে দিয়ে। ভাসুর সে, অসুরের মত যারে ভয় গো।। বেহায়া চশম-খোর, তারে কি বেহাই কই, পিসিয়া মারেন বলে তারে (তাই) কি পিসি কই, সকলেরই ভাগ নেয় সে, ভাগ্নেরই জয় গো।।
আয় মা চঞ্চলা মুক্তকেশী
বাণী
আয় মা চঞ্চলা মুক্তকেশী শ্যামা কালী। নেচে নেচে আয় বুকে আয়, দিয়ে তাথৈ তাথৈ করতালি।। দশদিক আলো ক’রে ঝঞ্ঝার নূপুর প’রে, দুরন্ত রূপ ধ’রে আয় মায়ার সংসারে আগুন জ্বালি’।। আমার স্নেহের রাঙাজবা পায়ে দ’লে কালো রূপ-তরঙ্গ তুলে১ গগন-তলে সিন্ধুজলে আমার কোলে আয় মা আয়। তোর চপলতায় মা কবে শান্ত ভবন প্রাণ-চঞ্চল হবে, এলোকেশে এনে ঝড় মায়ার এ খেলাঘর ভেঙে দে মা আনন্দ-দুলালি।।
১. কালোরূপ — তরঙ্গ তুলে সাগর জলে