আজি মধুর গগন মধুর পবন
বাণী
আজি মধুর গগন মধুর পবন মধুর ধরতীধাম আয়ে ব্রিজমে ঘনশ্যাম। বাজত বনমে মধুর মুরলী বোলাতা রাধা নাম আয়ে ব্রিজমে ঘনশ্যাম। আজ থির যমুনা আধীর ভায়ি আয়ে গোকুলকে চাঁদ অন্ধেরি গ্যয়ি, বোলে কোয়েলিয়া ময়ূর পাপিহা পিয়া পিয়া অবিরাম।। ব্রিজকে কোঁয়ারি বনকে যোগিনী রোতি থী বিরহ মে, আজ লেকে গাগরি ওড়ে নীল শাড়ি চলে ফের নীর ভরণে। আজ হরিকে সাথ হরিভি আয়ে রাঙা আবিরমে গোকুল ছায়ে, বনশী বাজাওয়ে রসিয়া গারে বিভোর ব্রিজধাম।।
ও কে মুঠি মুঠি আবীর কাননে ছড়ায়
বাণী
ও কে মুঠি মুঠি আবীর কাননে ছড়ায় রাঙা-হাসির পরাগ-ফুল আননে ঝরায়।। তার রঙের আবেশ লাগে চাঁদের চোখে তার লালসার রঙ জাগে রাঙা অশোকে তার রঙিন নিশান দোলে কৃষ্ণ চূড়ায়।। তার পুষ্প ধনু দোলে শিমূল শাখায় তার কানা কাঁপে গো ভোমরা পাখায়, সে খোঁপাতে বেল-ফুলের মালা জড়ায়।। সে কুসমী শাড়ি পরায় নীল বসনায় সে আঁধার মনে জ্বালে লাল রোশনাই সে শুকনো বনে ফাগুন আগুন ধরায়।।
কারো ভরসা করিসনে তুই
বাণী
কারো ভরসা করিসনে তুই (ও মন) এক আল্লার ভরসা কর। আল্লা যদি সহায় থাকেন (ও তোর) ভাবনা কিসের, কিসের ডর।। রোগে শোকে দুঃখে ঋণে নাই ভরসা আল্লা বিনে রে তুই মানুষের সহায় মাগিস (তাই) পাস্নে খোদার নেক্-নজর।। রাজার রাজা বাদশাহ্ যিনি গোলাম হ তুই সেই খোদার, বড় লোকের দুয়ারে তুই বৃথাই হাত পাতিস্নে আর। তোর দুখের বোঝা ভারি হ’লে ফেলে প্রিয়জনও যায় রে চ’লে সেদিন ডাক্লে খোদায় তাঁহার রহম (ওরে) ঝরবে রে তোর মাথার ’পর।।
ও কে সোনার চাঁদ কাঁদে রে
বাণী
ও কে সোনার চাঁদ কাঁদে রে হেরা গিরির ’পরে। শিরে তাঁহার লক্ষ কোটি চাঁদের আলো ঝরে।। কী অপরূপ জ্যোতির ধারা নীল আসমান হ’তে নামে বিপুল স্রোতে, হেরা পাহাড় বেয়ে বহে সাহারা মরু পথে, সেই জ্যোতিতে দুনিয়া আজি ঝলমল করে।। আগুন বরণ ফেরেশ্তা এক এসে, ‘খোদার হাবিব, জাগো জাগো’, বলে হেসে হেসে। নবুয়তের মোহর দিল বাজুতে তাঁর বেঁধে তাজিম ক’রে কদমবুসি করে কেঁদে কেঁদে, সেই নবীরই নামে আজি দুনিয়া দরুদ পড়ে।।