বাণী

ইরানের রূপ-মহলের শাহজাদী শিঁরি! জাগো জাগো শিঁরি।
‘প্রিয়া জাগো’ ব’লে ফরহাদ ডাকে শোনো আজো১ রাতে ধীরি ধীরি।।
তুমি ধরা দিবে তারে বলেছিলে, বে-দরদি,
যদি পাহাড় কাটিয়া আনিতে পারে সে নদী।
হের গো শিলায় শিলায় আজি উঠিয়াছে ঢেউ
সেথা তব মুখ ছাড়া নাহি আর কেউ,
প্রেমের পরশে যেন মোমের পুতুল হয়েছে পাষাণ-গিরি।।
গলিল পাষাণ, তুমি গলিলে না ব’লে —
যে প্রেমিক মরেছিল তোমার পাষাণ-প্রতিমার তলে,
সেই বিরহীর রোদন যেন গো উঠিছে ভুবন ঘিরি’।।

১. আধো

নাটকঃ ‘মদিনা’

বাণী

যখন আমার কুসুম ঝরার বেলা তখন তুমি এলে
ভাটির স্রোতে ভাসলো যখন ভেলা পারের পথিক এলে।।
	আঁধার যখন ছাইল বনতল
	পথ হারিয়ে এলে হে চঞ্চল
দীপ নিভাতে এলে হে বাদল ঝড়ের পাখা মেলে।।
শূন্য যখন নিবেদনের থালা তখন তুমি এলে
শুকিয়ে যখন ঝরল বরণ-মালা তখন তুমি এলে।
	নিরশ্রু এই নয়ন পাতে
	শেষ পূজা মোর আজকে রাতে
নিবু নিবু প্রাণ শিখাতে আরতি দীপ জ্বেলে।।

বাণী

আমারে চরণে দিও ঠাঁই
ও চরণ বিনা, ওহে গিরিধারী! কামনা কিছুই নাই।।
ব্যথিত হৃদয় হতে আকুল মরম বাণী,
থেকে থেকে ভেসে আসে, ফিরে এসো এসো রানী।
ফিরিতে পারি না আর অসীমে মিশিয়া যাই —
তুমি ফিরে যাও সখা আমাতে আর আমি নাই।।

বাণী

থৈ থৈ জলে ডুবে গেছে পথ এসো এসো পথ ভোলা,
সবাই দুয়ার বন্ধ করেছে (আছে) আমার দুয়ার খোলা।।
	সৃষ্টি ডুবায়ে ঝরুক বৃষ্টি,
	ঘন মেঘে ঢাকো সবার দৃষ্টি,
ভুলিয়া ভুবন দুলিব দু'জন গাহি' প্রেম হিন্দোলা।।
সব পথ যবে হারাইয়া যায় দুর্দিনে মেঘে ঝড়ে,
কোন পথে এসে সহসা সেদিন দোলো মোরে বুকে ধ'রে।
	নিরাশা-তিমিরে ঢাকা দশ দিশি,
	এলো যদি আজ মিলনের নিশি,
আষাঢ়-ঝুলনা বাঁধিয়া শ্রীহরি দাও দাও মোরে দোলা।।

গীতি-আলেখ্য: ‌‘হিন্দোলা’

বাণী

	গানগুলি মোর আহত পাখির সম
	লুটাইয়া পড়ে তব পায়ে প্রিয়তম।।
		বাণ–বেঁধা মোর গানের পাখিরে
		তু’লে নিও প্রিয় তব বুকে ধীরে,
	লভিবে মরণ চরণে তোমার সুন্দর অনুপম।।
তারাসুখের পাখায় উড়িতেছিল গো নভে —
তবনয়ন–শায়কে বিঁধিলে তাহাদের কবে।
		মৃত্যু আহত কন্ঠে তাহার
	‌‌একি এ গানের জাগিল জোয়ার —
	মরণ বিষাদে অমৃতের স্বাদ আনিলে নিষাদ মম।।

বাণী

(মা)	ওমা তোর ভুবনে জ্বলে এত আলো
	আমি কেন অন্ধ মাগো দেখি শুধু কালো॥
মা	সর্বলোকে শক্তি ফিরিস নাচি
	ওমা আমি কেন পঙ্গু হয়ে আছি
	ওমা ছেলে কেন মন্দ হল জননী যার ভালো॥
	তুই নিত্য মহা প্রসাদ বিলাস কৃপার দুয়ার খুলি
	চির শুন্য রইল কেন আমার ভিক্ষা ঝুলি।
	বিন্দু বারি পেলাম না মা সিন্ধুজলে রয়ে
মা	ও তোর চোখের কাছে পড়ে আছি চোখের বালি হয়ে
	মোর জীবন্মৃত এই দেহে মা চিতার আগুন জ্বালো॥