থাক্ এ গৃহ ঘিরিয়া সদা মঙ্গল কল্যাণ
বাণী
থাক্ এ গৃহ ঘিরিয়া সদা মঙ্গল কল্যাণ হে ভগবান। দাও পুত পবিত্রতা প্রশান্তি অফুরান, হে ভগবান॥ অন্তরে দেহে দাও বিমল্-জ্যোতি কর্মে প্রেরণা দাও ধর্মে মতি; এ গৃহের নারী হোক পুণ্যবতী বীরত্বে ত্যাগে হোক পুরুষ মহান; হে ভগবান॥ এ গৃহের বারি হোক নির্মল সুশীতল হে ভগবান, এ গৃহের আলো হোক পুণ্যে সমুজ্জ্বল হে ভগবান। সকলের সাথে হেথা প্রীতি যেন রয় যেন নাহি থাকে হেথা রোগ শোক ভয়; দূর কর হিংসা পাপ সংশয় সার তব পায়ে নিবেদিত সকলের মনপ্রাণ, হে ভগবান॥
উদার অম্বর দরবারে তোরই
বাণী
উদার অম্বর দরবারে তোরই প্রশান্ত প্রভাত বাজায় বীণা। শতদল-শ্রভ্রা পদতল-লীনা, প্রশান্ত প্রভাত বাজায় বীণা।। সহস্র কিরণ-তারে হানি’ ঝঙ্কার ধ্বনি তোলে অনাহত গভীর ওঙ্কার, সেই সুরে উদাসীন, পরমা প্রকৃতি ধ্যান-নিমগ্না মহাযোগাসীনা।। আনন্দ-হংস বিমুগ্ধ গতিহীন স্থির হ’য়ে ব্যোমে শোনে সে জ্যোতির্বীণ, ঝরা ফুল-অঞ্জলি তা’রি চরণে প্রণতা ধরণী বাণী-বিহীনা।।
এ কি অপরূপ রূপের কুমার
বাণী
এ কি অপরূপ রূপের কুমার হেরিলাম সখি যমুনা কূলে, তার এ সুনীল লাবনি গলিয়া গলিয়া ঢলিয়া পড়িছে গগন-মূলে ॥ যেন কমল ফুটেছে সখি, সহস্র-দল রূপে-কমল ফুটেছে, রূপের সাগর মন্থন করি’ সখি চাঁদ যেন উঠছে। সখি গো — কালো সে রূপের মাঝে হয়ে যায় হারা কোটি আলো-রাধিকা-রবি, শশী, তারা, প্রেম-যমুনার তীরে সই আমি রিবধি দেখি তারে, দেখি আর চেয়ে রই। আমি এই রূপ চেয়ে থাকি সখি জনমে জনমে জীবনে মরণে এই রূপ চেয়ে থাকি। ঐ মোহন কালোর গহন কাননে হারাইয়া যাক আঁখি ॥
দিনের সকল কাজের মাঝে তোমায় মনে পড়ে
বাণী
দিনের সকল কাজের মাঝে তোমায় মনে পড়ে। কাজ ভুলে যাই (আমি), মন চ’লে যায় সুদূর দেশান্তরে।। তুলসী তলায় দীপ জ্বালিয়ে দূর আকাশে রই তাকিয়ে, সাঁঝের ঝরা ফুলের মতো অশ্রু বারি ঝরে।। আঁধার রাতে বাতায়নে একলা ব’সে থাকি, চাঁদকে শুধায় তোমার কথা ঘুমহারা মোর আঁখি। প্রভাত বেলায় গভীর ব্যথায় মন কেঁদে কয় তুমি কোথায়, শূন্য লাগে এ তিন ভুবন প্রিয় তোমার তরে।।