আমার নয়নে নয়ন রাখি
বাণী
আমার নয়নে নয়ন রাখি' পান করিতে চাও কোন অমিয়। আছে এ আঁখিতে উষ্ণ আঁখি-জল মধুর সুধা নাই পরান-প্রিয়।। ওগো ও শিল্পী, গলাইয়া মোরে গড়িতে চাহ কোন মানস-প্রতিমারে, ওগো ও পূজারি, কেন এ আরতি জাগাতে পাষাণ- প্রণয়-দেবতারে। এ দেহ-ভৃঙ্গারে থাকে যদি মদ ওগো প্রেমাষ্পদ, পিও গো পিও।। আমারে কর গুণী, তোমার বীণা কাঁদিব সুরে সুরে, কণ্ঠ-লীনা আমার মুখের মুকুরে কবি হেরিতে চাহ মোরে কর গো চন্দন তপ্ত তনু তব শীতল করিও ।। ১
১. এই অনুচ্ছেদটি গ্রামোফোন রেকর্ডে গাওয়া হয়নি।
এসো মা ভারত-জননী আবার
বাণী
এসো মা ভারত-জননী আবার জগৎ-তারিণী সাজে। রাজরানী মা’র ভিখারিনী বেশ দেখে প্রাণে বড় বাজে॥ শিশু-জগতেরে মায়ের মতন, তুমি মা প্রথম করিলে পালন, আজ মাগো তোরই সন্তানগণ কাঁদিছে দৈন্য-লাজে॥ আঁধার বিশ্বে তুমি কল্যাণী জ্বালিলে প্রথম জ্ঞান-দীপ আনি; হইলে বিশ্ব-নন্দিতা রানী নিখিল নর-সমাজে॥ দেখা মা পুন সে অতীত মহিমা, মুছে দে ভীরুতা গ্লানির কালিমা, রাঙায়ে আবার দশদিক-সীমা দাঁড়া মা বিশ্ব-মাঝে॥
ঘন-ঘোর-মেঘ-ঘেরা দুর্দিনে ঘনশ্যাম
বাণী
ঘন-ঘোর-মেঘ-ঘেরা দুর্দিনে ঘনশ্যাম ভূ-ভারত চাহিছে তোমায়। ধরিতে ধরার ভার নাশিতে এ হাহাকার আরবার এসো এ ধরায়।। নিখিল মানবজাতি কলহ ও দ্বন্দ্বে পীড়িত শ্রান্ত আজি কাঁদে নিরানন্দে, শঙ্খপদ্ম হাতে এ ঘোর তিমির-রাতে তিমির-বিদারী এসো অরুণ-প্রভায়।। বিদূরিত কর এই নিরাশা ও ভয়, মানুষে মানুষে হোক প্রেম অক্ষয়। কলিতে দলিতে এসো এই দুখ-পাপ-তাপ আন বর সুন্দর, শেষ হোক অভিশাপ, গদা ও চক্র করে অরিন্দম এসো, হত-মার দুর্বল মাগিছে সহায়।।
একি সুরে (কোন্ সুরে) তুমি গান শুনালে
বাণী
একি সুরে (কোন্ সুরে) তুমি গান শুনালে ভিনদেশি পাখি এ যে সুর নহে, মদির সুরা, রে সুরের সাকি।। বসি’ মোর জানালা পাশে কেন বুক-ভাঙা নিরাশে যাও ঘুম ভাঙায়ে নিতি সকরুণ সুরে ডাকি।। তোর ও সুরে কাঁদছে ঊষা অস্ত চাঁদের গলা ধ’রে ভোর-গগনের কপোল বেয়ে শিশির-অশ্রু গড়িয়ে পড়ে। আমি রইতে নারি ঘরে কেন প্রাণ কেমন করে আমার মন লাগে না কাজে, আর জলে ভরে আঁখি।।