ব্রজে আবার আসবে ফিরে আমার ননী-চোরা
বাণী
ব্রজে আবার আসবে ফিরে আমার ননী-চোরা আর কাঁদিস্নে গো তোরা। স্বভাব যে ওর লুকিয়ে থেকে কাঁদিয়ে পাগল করা — আর কাঁদিস্নে গো তোরা। আমি যে তার মা যশোদা সে আমারেই কাঁদায় সদা, যেই কাঁদি সে যায় যে ভুলে বনে বনে ঘোরা॥ মথুরাতে আমার গোপাল রাজা হ’ল নাকি, যেখানে যায়, সে রাজা হয় (তোরে) ভুল দেখেনি আঁখি। সে রাজা যদি হয়েই থাকে তাই ব’লে কি ভুলবে মাকে, আমি হব রাজ-মাতা, তাই ওর রাজবেশ পরা॥
নৃত্যকালী শঙ্কর সঙ্গে নাচে
বাণী
নৃত্যকালী শঙ্কর সঙ্গে নাচে অতি রুদ্র-বিহঙ্গে। ছন্দ ঝরে ঝর্ঝর ধারায় মন্দাকিনী গঙ্গা তরঙ্গে।। মুক্তবেণী ধূর্জটি-জটা বিধূনিত অম্বরে দোলে সসাগরা ভীতা পৃথ্বী কাঁপে মহাবিষ্ণুর কোলে, বাজে ঘোর ডম্বরু শিঙ্গা উল্কা ছোটে ভ্রুকুটি ভঙ্গে।। মৃত্যু-ক্ষুধা জাগিল একি রে, সৃষ্টি-স্থিতি সংহার মানসে। পঞ্চভূত চিত্ত অহঙ্কার ব্রহ্মা-হরি লয় হ’ল ব্রহ্মে উগ্র তারা রুদ্রেরে আবরি’ নাচে একা উন্মাদ দম্ভে, একি হেরি মূর্ছিতা শক্তি সোহম্ শিব আমারি অঙ্গে।।
নীলাম্বরী শাড়ি পরি নীল যমুনায়
বাণী
নীলাম্বরী–শাড়ি পরি’ নীল যমুনায় কে যায়? যেন জলে চলে থল–কমলিনী ভ্রমর নূপুর হয়ে বোলে পায় পায়।। কলসে কঙ্কনে রিনিঠিনি ঝনকে, চমকায় উন্মন চম্পা বনকে, দলিত অঞ্জন নয়নে ঝলকে, পলকে খঞ্জন হরিণী লুকায়।। অঙ্গের ছন্দে পলাশ–মাধবী অশোক ফোটে, নূপুর শুনি’ বনতুলসীর মঞ্জরী উলসিয়া ওঠে। মেঘ–বিজড়িত রাঙা গোধূলি নামিয়া এলো বুঝি পথ ভুলি, তাহার অঙ্গ তরঙ্গ–বিভঙ্গে কুলে কুলে নদী জল উথলায়।।
ঘনশ্যাম কিশোর নয়ন-আনন্দ
বাণী
ঘনশ্যাম কিশোর নয়ন-আনন্দ ব্রজপুর চন্দ শ্রী ব্রজপুর চন্দ। বনমালা-ভূষিত কৌস্তুভ শোভিত শ্রীচরণে ঝংকৃত নূপুর-ছন্দ।। অলকা-তিলক-ধারী কানন-বিহারী শিরে শিখী-পাখা বামে রাধা-প্যারী, বিকশিত ফুলে যাঁর তনুর সুগন্ধ।। কদম্ব-মূলে যমুনার কূলে বাঁশরি বাজায়ে নাচে হেলে দুলে, যাঁর প্রেমে গোপিনীরা কেঁদে হ’ল অন্ধ।। সেই হরি মম, সখা প্রিয়তম (সে) হৃদয়ে উদয় হ’য়ে হাসে মৃদু-মন্দ।।
ভুলে রইলি মায়ায় এসে ভবে
বাণী
দ্বৈত : ভুলে রইলি মায়ায় এসে ভবে তুই ভুলবি ভুলের খেলা কবে॥ স্ত্রী : নিবু নিবু তোর জীবন-বাতি শেষ হলো সুখ-রাতি, পুরুষ : রাত পোহালে সুখের সাথী সঙ্গে নাহি রবি॥ স্ত্রী : যাঁর কৃপায় তুই রইলি সুখে ডাক্লি না রে তারে পুরুষ : তুই কি নিয়ে হায় তাহার কাছে যাবি পরপারে। স্ত্রী : জমালি যা তুই জীবন ভ’রে পিছু প’ড়ে রবে পুরুষ : দারাসুত লবে বিভব রতন পাপের বোঝা নাহি লবে॥ স্ত্রী : স্রোতের মতো সময যে যায় নিয়ে শরণ প্রভুর পায় পুরুষ : কৃপা-সিন্ধুর কৃপা পেলে ত’রে যাবি তুই তবে॥