দেশ গৌড়-বিজয়ে দেবরাজ গগনে
বাণী
দেশ গৌড়-বিজয়ে দেবরাজ গগনে এলো বুঝি সমর-সাজে। তাহারি মেঘ-মৃদঙ্গ গুরু গুরু আষাঢ়-প্রভাতে সহসা বাজে।। গহন কৃষ্ণ ঐরাবত-দল রবিরে আবরি’ ঘিরিল নভতল, হানে খরশর বৃষ্টি ধারা জল — পবন-বেগে প্রতি ভবন-মাঝে।। বনের এলোকেশ বিজলি-পাশে বাঁধিয়া দেব্-সেনা অট্রহাসে। শ্যামল গৌড়ের অমল হাসি শস্যে-কুসুমে ওঠে প্রকাশি’, অঙ্গে তাহার আঘাত-রাশি — দেব-আশীর্বাদ হয়ে বিরাজে।।
আমার বুকের ভেতর জ্বলছে আগুন
বাণী
আমার বুকের ভেতর জ্বলছে আগুন, দমকল ডাক ওলো সই। শিগ্গির ফোন কর বঁধুরে, নইলে পুড়ে ভস্ম হই॥ অনুরাগ দিশ্লাই নিয়ে চোখের লম্প জ্বালতে গিয়ে, আমার প্রাণের খোড়ো ঘরে লাগল আগুন ওই লো ওই॥ প্রেমের কেরোসিন যে এত অল্পে জ্বলে জানিনে তো, কি দাবানল জ্বলছে বুকে জানবে না কেউ আমা বই॥ প্রণয় প্রীতির তোষক গদি রক্ষে করতে চায় সে যদি মনে ক’রে আনতে বলিস (তারে) আদর সোহাগ বালতি মই॥
তোমা বিনা মাধব রহিতে পারি না
বাণী
তোমা বিনা মাধব রহিতে পারি না আর। বায়ু বিনা যেমন বাঁচে না জীবন তেমনি আপন তুমি যে আমার॥ মেঘ বিনা চাতকিনী মরে যায়, জল বিনা যেমন শতদল ঝরে যায়, তিল্ তিল্ করি মরিতেছি আমি যে তেমনি বিরহে তোমার॥ তুমি ছাড়া প্রীতম্ মনে হয় কেহ মোর নাহি এ নিখিলে; নিভে গেছে রবি-শশী, ডুবে গেছে পৃথিবী প্রলয়-সলিলে। আর সকলের, তুমি প্রভু, ধ্রুব-জ্যোতি; কৃষ্ণ নয়ন-তারা তুমি যে মীরার॥
ফিরে এলো সেই কৃষ্ণাষ্টমী তিথি
বাণী
ফিরে এলো সেই কৃষ্ণাষ্টমী তিথি, হে শঙ্খচক্রধারী! তোমার মাভৈঃ অভয় আকাশবাণী, কেন নাহি শুনি? হে মুরারি!! সেই ঘনঘটা দুর্যোগ-নিশি নিরাশা-আঁধারে ঢাকা দশদিশি; গগনে তেমনি ঘোর দুন্দুভি বাজে, ঝরে তেমনি অশ্রু-বারি।। আজো মানুষের আত্মা তেমনি কাঁদে আশা-যমুনার দুই পারে, এ-পারে দেবকী ও-পারে যশোদা আজো ডাকে মুক্তির বিধাতারে। আবার প্রেমের বংশী বাজাও, এই হানাহানি হিংসা ভুলাও, আর্ত-কলির গানের এ শেষ-কলি দাও শেষ করে ব্যথাহারী।।
বসন্ত মুখর আজি
বাণী
বসন্ত মুখর আজি। দক্ষিণ সমীরণে মর্মর গুঞ্জনে বনে বনে বিহ্বল বাণী ওঠে বাজি’।। অকারণ ভাষা তার ঝর ঝর ঝরে মুহু মুহু কুহু কুহু পিয়া পিয়া স্বরে, পলাশ বকুলে অশোক শিমুলে — সাজানো তাহার কল–কথার সাজি।। দোয়েল মধুপ বন–কপোত কূজনে, ঘুম ভেঙে দেয় ভোরে বাসর শয়নে। মৌনী আকাশ সেই বাণী–বিলাসে অস্ত চাঁদের মুখে মৃদু মৃদু হাসে, বিরহ–শীর্ণা গিরি–ঝর্ণার তীরে — পাহাড়ি বেণু হাতে ফেরে সুর ভাঁজি’।।