জরীন হরফে লেখা
বাণী
জরীন হরফে লেখা রূপালি হরফে লেখা (নীল) আসমানের কোরআন। সেথা তারায় তারায় খোদার কালাম (তোরা) পড়, রে মুসলমান নীল আসমানের কোরআন।। সেথা ঈদের চাঁদে লেখা মোহাম্মদের ‘মীম’-এর রেখা, সুরুযেরই বাতি জ্বেলে’ পড়ে রেজোয়ান।। খোদার আরশ লুকিয়ে আছে ঐ কোরআনের মাঝে, খোঁজে ফকির-দরবেশ সেই আরশ সকাল-সাঁঝে। খোদার দিদার চাস রে, যদি পড় এ কোরআন নিরবধি; খোদার নুরের রওশনীতে রাঙ রে দেহ-প্রাণ।।
চোখের বাঁধন খুলে দে মা
বাণী
চোখের বাঁধন খুলে দে মা খেলব না আর কানামাছি। আমি মার খেতে আর পারি না মা এবার বুড়ি ছুঁয়ে বাঁচি।। তুই পাবি অনেক মেয়ে ছেলে যাদের সাধ মেটেনি খেলে খেলে, তুই তাদের নিয়েই খেল না মা গো শ্রান্ত আমি রেহাই যাচি। দুঃখ-শোক-ঋণ-অভাব ব্যাধি মায়ার খেলুড়িরা মিলে, শত দিকে শত হাতে আঘাত হানে তিলে তিলে। চোর হয়ে মা আর কত দিন ঘুরব ভবে শান্তিবিহীন, তোর অভয় চরণ পাই না কেন মা তোর এত কাছে আছি।।
আমি কুল ছেড়ে চলিলাম ভেসে বলিস ননদীরে
বাণী
আমি কুল ছেড়ে চলিলাম ভেসে বলিস ননদীরে সই, বলিস ননদীরে। শ্রীকৃষ্ণ নামের তরণীতে প্রেম-যমুনার তীরে বলিস ননদীরে সই, বলিস্ ননদীরে।। সংসারে মোর মন ছিল না, তবু মানের দায়ে আমি ঘর করেছি সংসারেরি শিকল বেঁধে পায়ে শিক্লি-কাটা পাখি কি আর পিঞ্জরে সই ফিরে।। বলিস গিয়ে কৃষ্ণ নামের কলসি বেঁধে গলে হডুবেছে রাই কলঙ্কিনী কালিদহের জলে। কলঙ্কেরই পাল তুলে সই, চললেম অকূল-পানে নদী কি সই, থাকতে পারে সাগর যখন টানে। রেখে গেলাম এই গোকুলে কুলের বৌ-ঝিরে।।