আমি মুক্তা নিতে আসিনি মা
বাণী
(মা) আমি, মুক্তা নিতে আসিনি মা ও মা তোর মুক্তি-সাগর কূলে। মোর ভিক্ষা-ঝুলি হ’তে মায়ার মুক্তা মানিক নে মা তুলে।। মা তুই, সবই জানিস অন্তর্যামী, সেই চরণ-প্রসাদ ভিক্ষু আমি, শবেরও হয় শিবত্ব লাভ মা তোর যে চরণ ছুঁলে।। তুই অর্থ দিয়ে কেন ভুলাস এই পরমার্থ ভিখারিরে, তোর প্রসাদী ফুল পাই যদি মা গঙ্গা ধারাও চাই না শিরে। তোর শক্তিমন্ত্রে শক্তিময়ী আমি হতে পারি ব্রহ্ম-জয়ী সেই মাতৃনামের মহাভিক্ষু তোর মায়াতেও নাহি ভুলে।।
বাঁকা চোখে চাহে ও কে
বাণী
বাঁকা চোখে চাহে ও কে ওকি ভয়ে, না লাজে, না ভালোবাসায়? বটের ঝুরি ধ’রে হেসে তাকায় দীঘির জলে কভু কল্সি ভাসায়॥ (আমার) পাখি শিকার দেখে তাহার আঁখি ছলছল যেন দুটি ঝিনুক ভরা কাজলা দীঘির জল তার আঁজলা ভরা শাপলা কাঁপে টলমল্ গো সে বাঁকিয়ে জোড়া ভুরু মোরে শাসায়॥ কভু এলায়ে গা বাঁধে খোঁপা কোমরে জড়ায় আঁচল মট্কায় আঙুল, কভু ঘসে সে পা গো কভু জলে ডোবে কভু সাঁতার কাটে নানান ছলে সে দেরি করে জলের ঘাটে মোরে জানায় যেন ও সে আছে ব’সে কাহার আসার আশায়॥
এসো এসো বন ঝরনা
বাণী
এসো এসো বন ঝরনা উচ্ছল-চল-চরণা। সর্পিল ভঙ্গে লুটায়ে তরঙ্গে ফেন-শুভ্র-ওড়না।। পাষাণ জাগায়ে এসো নির্ঝরিণী এসো প্রাণ-চঞ্চলা জল-হরিণী মরু-তৃষিতের বুকে ঢালো ধারা জল-শ্যাম মেঘ-বরণা।। এসো বুনো পথ বেয়ে অকারণ গান গেয়ে, গভীর অরণ্যের মৌনব্রত ভেঙে ভয়হীন পাহাড়ি মেয়ে। নৃত্য পরা পায়ে ছন্দ আনো আনন্দ আনো মৃত প্রাণ জাগানো, অনাবিল হাসির ঝরাফুল ছড়ায়ে এসো মঞ্জুলা মনোহরণা।।