বাণী

বহিছে সাহারায় শোকেরই 'লু' হাওয়া
দোলে অসীম আকাশ আকুল রোদনে।
নূহের প্লাবন আসিল ফিরে যেন,
ঘোর অশ্রু-শ্রাবণ ধারা ঝরে সঘনে।।
'হায় হোসেনা' 'হায় হোসেনা' বলি'
কাঁদে গিরি নদী, কাঁদে বনস্থলী
কাঁদে পশু ও পাখী তরুলতার সনে।।
ফকির বাদশাহ গরীব ওমরাহে
কাঁদে তেমনি আজো তাঁরি মর্সিয়া গাহে,
বিশ্বে যাবে মুছে মুছিবে না এ আঁসু,
চিরকাল ঝরিবে কালের নয়নে।।
সেই সে কারবালা সেই ফোরাত নদী
কুল-মুসলিম-হৃদে গাহিছে নিরবধি,
আসমান জমীন রহিবে যতদিন
সবে কাঁদিবে এমনি আকুল কাঁদনে।।

বাণী

বরের বেশে আসবে জানি আজ মম সুন্দর।
পার হ’য়ে দূর বিরহ-লোক বহু যুগের পর।।
	আসে সে ঐ চুপে চুপে
	আমার মধুর মরণ রূপে
আর সে ছেড়ে যাবে না গো আমার-ঘর।।

নাটকঃ ‘লায়লী-মজনু’

বাণী

		যেদিন লব বিদায় ধরা ছাড়ি প্রিয়ে।
		ধুয়ো ‘লাশ’ আমার লাল পানি দিয়ে।।
শেয়র:	শারাবী জমশেদী গজল ‘জানাজায়’ গাহিও আমার
		দিবে গোর খুঁড়িয়া মাটি খারারী ঐ শারাব-খানার!
		‘রোজ-কিয়ামতে’ তাজা উঠব জিয়ে।।
শেয়র:	এমনি পিইব শারাব ভেসে যাব তাহার স্রোতে,
		উঠিবে খুশবু শারাবের আমার ঐ গোরের পার হতে;
		টলি’ পড়বে পথিক সে নেশায় ঝিমিয়ে।।

বাণী

চির-কিশোর মুরলীধর কুঞ্জবন-চারী।
গোপনারী-মনোহারী বামে রাধা প্যারী।।
শোভে শঙ্খ-চক্র-গদা-পদ্ম করে,
গোষ্ঠ-বিহারী কভু, কভু দানবারি।।
তমাল-তলে কভু কভু নীপ-বনে,
লুকোচুরী খেল হরি ব্রজ-বধূ সনে।
মধুকৈটভারি কংস-বিনাশন,
কভু কণ্ঠে গীতা, শিখী-পাখা-ধারী।।

বাণী

নীল সরসীর জলে চতুর্দশীর চাঁদ ডোবে আর উঠে গো।
এলোকেশে ঢেউয়ে জড়াজড়ি ক’রে পড়ে লুটে গো।।
	নীল-শাড়ি-বিজড়িত কিশোরী
	কলসী ল’য়ে ফেরে সাঁতরি’
চাঁদ ভেবে মুদিত কুঁড়ি হেসে ওঠে ফুটে গো।।
	সরসির পড়শি পলাশ, পারুল
	সুরভিত সমীরণ হাসিয়া আকুল,
	কলষে কঙ্কণে রিনিঝিনি সুর
	বাজে-তরঙ্গে সজল বিধুর,
কমলিনী হরষে ঢ’লে পড়ে পরশে অধর-পুটে গো।।

বাণী

শক্তের তুই ভক্ত শ্যামা (তোরে) যায় না পাওয়া কেঁদে।
(তাই) শাক্ত সাধক রাখে তোরে ভক্তি-ডোরে বেঁধে।।
(মা) শাক্ত বড় শক্ত ছেলে
(সে) জানে দড়ি আলগা পেলে
যাবি পালিয়ে চোখে ধূলা দিয়ে মায়া জালে বেঁধে।।
(তুই) সুরাসুরে ভুলিয়ে রাখিস্‌ ইন্দ্রত্বের মোহে,
(ওমা) গুণের কিছু ঘাট নাই তোর নির্গুণ তাই কহে।
তোর মায়াতে ভুলে গিয়ে,
বিষ্ণু ঘুমান লক্ষী নিয়ে
(তোর) অন্ত খুঁজে শিব হয়েছেন ভবঘুরে বেদে।।