হারানো হিয়ার নিকুঞ্জ পথে
বাণী
হারানো হিয়ার নিকুঞ্জপথে কুড়াই ঝরা ফুল একেলা আমি। তুমি কেন হায় আসিলে হেথায় সুখের স্বরগ হইতে নামি।। চারিপাশে মোর উড়িছে কেবল শুকনো পাতা মলিন ফুল–দল, বৃথাই কেন হায় তব আঁখিজল ছিটাও অবিরল দিবস–যামী।। এলে অবেলায় পথিক বেভুল বিঁধিছে কাঁটা নাহি যবে ফুল, কি দিয়ে বরণ করি ও চরণ নিভিছে জীবন, জীবন–স্বামী।।
কোথায় গেলে পেঁচা-মুখি একবার এসে খ্যাচ-খ্যাচাও
বাণী
পুরুষ : কোথায় গেলে পেঁচা-মুখি একবার এসে খ্যাচ-খ্যাচাও স্ত্রী : বলি, গাই-হারা বাছুরের মতন গোয়াল থেকে কে চ্যাঁচাও॥ পুরুষ : (বলি ও শাকচুন্নি, আহাহাহা) অমন শ্যাওড়া বৃক্ষ ফেলে, আমার ঘাড়ে কেন এলে গো, ও হো হো স্ত্রী : (বলি ও কালিয়া পেরেত) তুমি উনুন-মুখো দেবতা যে তাই ছাই-পাঁশের নৈবিদ্যি পাও। পুরুষ : (মরি অরি অরি অরি মরি, কি যে রূপের ছিরি, আহাহাহাহা) চন্দ্র-বদন ন্যাপা পোছা কুত্কুতে চোখ নাকটি বোঁচা গো, ও হো হো স্ত্রী : (বলি ও বেরসো কাট, বলি ও কেলো হুলো) তুমি কাঁদলে চোখে কালি বোরোয় কয়লার ডিপোয় লজ্জা দাও তুমি কয়লার ডিপোয় লজ্জা দাও। পুরুষ : বলি ও জুজুবুড়ি স্ত্রী : বলি ও ঝাঁকাভূঁড়ি পুরুষ : ও বাবা জুজু স্ত্রী : ও বাবা ঝাঁকা পুরুষ : আহা, চাম্চিকে ওই ডানা কাটা স্ত্রী : তুমি যেন পূজোর পাঁঠা পুরুষ : আহা, হার মেনে যায় হাঁড়ি চাঁছা প্রিয়ে যখন খ্যাচ-খ্যাচাও। স্ত্রী : (আ-মরি মরি, কি যে বচন সুধা) পিঁপড়ে ধরবে ও প্রাণনাথ তুমি, শিগ্গির মুখে ফিনাল দাও॥
আমার হৃদয় মন্দিরে ঘুমায় গিরিধারী
বাণী
আমার হৃদয় মন্দিরে ঘুমায় গিরিধারী। জাগে আমার জাগ্রত প্রেম দুয়ারে তার দ্বারী ॥ কানু আমার বুকে ঘুমায় - ভক্তি জেগে চামর ঝুলায়, শিয়রে দীপ আমার আঁখি, প্রীতি দাসী তারি ॥ চোরের মত মোর গুরুজন ঘুরুক কাছে কাছে - আমি তাদের ভয় করিনে, (আমার) প্রেম যে জেগে আছে। আধেক রাতে নিরালাতে জাগবে হরি, ধরবে হাতে, ওগো ধ্যান করে গো সেই আশাতে এ প্রাণ রাধা-প্যারী ॥