রস-ঘনশ্যাম-কল্যাণ-সুন্দর
বাণী
রস-ঘনশ্যাম-কল্যাণ-সুন্দর। প্রশান্ত সন্ধ্যার উদার শান্তি দাও — শ্রান্ত মনের ভার হর, হে গিরিধর।। যে নিবিড় সমাধির গভীর আনন্দে হিমালয় লীলায়িত নীরব ছন্দে, সেই মহাযোগে কর মোরে মগ্ন — যে মহাভাবে ভোর মৌন নীলাম্বর।। অপগত-দুখশোক নিশীথ সুষুপ্তির মাঝে, নিথর সিন্ধুর অতল তলে যে শান্ত বিরাজে। যে সুধা লভিয়া ঋষি মধুছন্দা আনিল বেদবাণী অলকানন্দা অন্তরে বাহিরে সেই অমৃত দাও — কর পুরুষোত্তম অজর অমর।।
গাও কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ নাম
বাণী
গাও কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ নাম। গাও দেহমন শুক সারি, গাও রে ব্রজের নরনারী গাহ কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ নাম।। গাও তাঁরি নাম যমুনার বারি গাও কুহু কেকা ধেনু বন-চারী, গাহরে শ্রীদাম গাহ সুদাম।। গাহ রে সজল শ্যামল গগন কদম্ব-তরু তমাল কানন, গাহ রে ভ্রমর মাধবী-লতা কৃষ্ণ-কথা, শ্রবণ অভিরাম।। গাহ লো বিশাখা, গাহ লো ললিতা গাহ শ্যাম-দায়িতা চন্দ্রাবলী (শ্যাম নাম), গাহ লো চন্দ্রাবলী, ভুবন ছাপিয়া গগন ব্যাপিয়া উঠুক কাঁপিয়া নাম-কাকলি। (শ্যাম-নাম কাকলি।) তোরা গেয়ে যা গেয়ে যা। হয়ে শ্যাম-নামে বিবাগী পথে পথে ধেয়ে যা। ঘনশ্যাম পল্লবে মনো-বন ছেয়ে যা। বহিয়া যাক শ্যাম-নাম সুরধুনী মধুর হোক মৃত্যু শ্যাম নাম শুনি’।।
নাটক : ‘চক্রব্যুহ’
কথা কও কও কথা থাকিও না চুপ ক'রে
বাণী
কথা কও, কও কথা, থাকিও না চুপ ক'রে। মৌন গগনে হের কথার বৃষ্টি ঝরে।। ধীর সমীরণ নাহি যদি কহে কথা ফোটে না কুসুম, নাহি দোলে বনলতা। কমল মেলে না দল, যদি ভ্রমর না গুঞ্জরে।। শোন কপোতীর কাছে কপোত কি কথা কহে, পাহাড়ের ধ্যান ভাঙি মুখর ঝর্ণা বহে। আমার কথার লঘু মেঘগুলি হায়! জ'মে হিম হয়ে যায় তোমার নীরবতায়; এসো আরো কাছে এসো কথার নূপুর প'রে।।
গীতিচিত্রঃ অতনুর দেশ