কথার কুসুমে গাঁথা গানের মালিকা
বাণী
কথার কুসুমে গাঁথা গানের মালিকা কার। ভেসে এসে হতে চায় গো আমার গলার হার।। আমি তারে নাহি জানি তার সুরের সূত্রখানি, তবু বিজড়িত হয় কেন গো, আমার কঙ্কনে বারবার।। তার সুরের তুলির পরশে, ওঠে আমার ভুবন রাঙ্গি’, কোন বিস্মৃত জনমের যেন কত স্মৃতি ওঠে জাগি’। আমার রাতের নিদে তার সুর এসে প্রাণে বিঁধে, যার সুর এত চেনা, কবে দেখা পাবো সেই অচেনার।।
শিউলি তলায় ভোর বেলায়
বাণী
শিউলি তলায় ভোর বেলায় কুসুম কুড়ায় পল্লী-বালা। শেফালি পুলকে ঝ’রে পড়ে মুখে খোঁপাতে চিবুকে আবেশ-উতলা।। ঘোম্টা খুলিয়া তার পিঠে লুটায় শিথিল কবরী লুটিছে পায়, নৃত্যের ভঙ্গে ফুল তোলে রঙ্গে, আধো আঁধার বন তার রূপে উজালা।। নিলাজ পাঁয়জোরে তার ওঠে ঝঙ্কার রিনিঝিনি, মন কয় চিনি চিনি এ কি গো বন-দেবীর সতিনী শিশির ধরে’ পায় আল্তার রঙ্ চায় পাখি তারি গান গায় বনে নিরালা।।
এই শিকল পরা ছল
বাণী
এই শিকল পরা ছল মোদের এ শিকল-পরা ছল। এই শিকল পরেই শিকল তোদের করব রে বিকল।। তোদের বন্ধ কারায় আসা মোদের বন্দী হতে নয়, ওরে ক্ষয় করতে আসা মোদের সবার বাঁধন–ভয়। এই বাঁধন প’রেই বাঁধন–ভয়কে কর্ব মোরা জয়, এই শিকল– বাঁধা পা নয় এ শিকল ভাঙা কল।। তোমার বন্ধ ঘরের বন্ধনীতে কর্ছ বিশ্ব গ্রাস, আর ভয় দেখিয়েই ক’র্বে ভাবছ বিধির শক্তি হ্রাস সেই ভয় দেখানো ভূতের মোরা ক’র্বো সর্বনাশ, এবার আন্বো মাভৈঃ বিজয়–মন্ত্র বল–হীনের বল।। তোমরা ভয় দেখিয়ে কর্ছ শাসন জয় দেখিয়ে নয়; সেই ভয়ের টুঁটি ধর্ব টিপে কর্ব তারে লয়। মোরা আপনি ম’রে মরার দেশে আন্ব বরাভয়, প’রে ফাঁসি আন্ব হাসি মৃত্যু–জয়ের ফল।। ওরে ক্রন্দন নয় বন্ধন এই শিকল–ঝঞ্ঝনা, এ যে মুক্তি–পথের অগ্রদূতের চরণ–বন্দনা! এই লাঞ্ছিতেরাই অত্যাচারকে হান্ছে লাঞ্ছনা, মোদের অশ্রু দিয়েই জ্ব’লবে দেশে আবার বজ্রানল।।