বাণী

অন্ধকারে এসে তুমি অন্ধকারে গেছ চ’লে।
তোমার পায়ের রেখা জাগে শূন্য গৃহের অঙ্গন-তলে।।
		কেন আমায় জাগালে না
		আঘাতে ঘুম ভাঙালে না,
দ’লে কেন গেলে না গো যাবার বেলা চরণ-তলে।।
কৃষ্ণা তিথির চাঁদের মত এসেছিলে গভীর রাতে,
আলোর পরশ বুলিয়ে দিলে ঘুমন্ত মোর নয়ন-পাতে;
		তাই রজনীগন্ধা সুখে
		চেয়ে আছে উর্ধ্ব মুখে,
ফুলগুলিরে জাগিয়ে গেলে নিঠুর আমায় গেলে ছ’লে।।

বাণী

আমি	কালী নামের ফুলের ডালি এনেছি গো মাথায় ক’রে।
	দুখের সাগর পার হয়ে যায় এ ফুল যে বুকে ধ’রে।।
	(এই)	প্রসাদী ফুল দিবস-যামী
		ফিরি ক’রে ফিরি আমি,
(এই)	ফুল নিলে তার ভুলের আড়াল চিরতরে যায় গো স’রে।।

বাণী

তোমার প্রেমে সন্দেহ মোর দুর কর নাথ ভক্তি দাও।
যেখানে হোক তুমি আছ — এই বিশ্বাস শক্তি দাও।।
	যে কোন জনমে আমি
	পাইব পাব তোমায় আমি
অবিশ্বাসের আঁধার রাতে তোমায় পাওয়ার পথ দেখাও।।
শত দুঃখ ব্যথার মাঝে এইটুকু দাও শন্তি নাথ।
কাঁদিবে তুমি আমার দুঃখে আজকে যতই দাও আঘাত।।
	হয়ত কোটি জনম পরে
	পাব তোমায় আমার করে,
তোমায় আমায় মিলন হবে এই আশাতেই মন দোলাও।।

বাণী

		বন্ধু রে, বন্ধু — পরান বন্ধু
আমার	দূরের বন্ধু আছে আমার ঐ গাঙের পারের গাঁয়ে।
		ঝরা-পাতর পত্র আমার যায় ভেসে তার পায়ে।।
			জানি জানি আমার দেশে
			আমার নেয়ে আসবে ভেসে,
ওরে		চির ঋণী আছে সে যে আমার প্রেমের দায়ে।।
		নূতন আশার পাল তু সে আসবে ফিরে ঘরে
		ফুটেছে তাই কাশ-কুসুমের হাসি শুকনো চরে।
			পিদমি জ্বেলে তারি আশায়
			গহীন গাঙের স্রোতে ভাসায়
ওরে		ঐ পিদিমের পথ ধ'রে সে আসবে সোনার নায়ে।।

বাণী

	খোদার রহম চাহ যদি নবীজীরে ধর।
	নবীজীরে মুর্শিদ কর নবীর কলমা পড়।।
		আল্লা যে ভাই অসীম সাগর
		কয়জন জানে তাঁহার খবর,
(যদি)	এ সাগরে যাবে, নবী নামের নায়ে চড়।।
	নবীর সুপারিশ বিনা আল্লার দরবারে কেউ যেতে নাহি পারে,
	ও ভাই আল্লা যেন সুর সেই সুরে সুমধুর বাজে নবীর বীণা তারে।
	আল্লা নামের ঝিনুকে ভাই মুক্ত যেন নবী
	আল্লা নামের আসমানে ভাই নবী যেন রবি,
	প্রিয় মোহাম্মদের নামরে ভাই আল্লা তালার চাবি
	খোদা দয়া করবেন সদা নবীরে সার কর।।

বাণী

এস প্রিয় আরো কাছে
পাইতে হৃদয়ে এ বিরহী মন যাচে।।
দেখাও প্রিয় ঘন
ও রূপ মোহন
যে রূপে প্রেমাবেশে পরান নাচে।।