বাণী

ঐ	সর্ষে ফুলে লুটালো কার হলুদ-রাঙা উত্তরী।
	উত্তরী-বায় গো —
ঐ	আকাশ-গাঙে পাল তুলে যায় নীল সে পরীর দূর-তরী।।
তা’র	অবুঝ বীণার সবুজ সুরে
	মাঠের নাটে পুলক পুরে,
ঐ	গহন বনের পথটি ঘু’রে — আস্‌ছে দূরে কচিপাতা দূত্ ওরি।।
	মাঠ-ঘাট তার উদাস চাওয়ায় হুতাশ কাঁদে গগন মগন
	বেণুর বনে কাঁপ্‌চে গো তার দীঘল শ্বাসের রেশটি সঘন।।
তার	বেতস-লতায় লুটায় তনু
	দিগ্বিলয়ে ভুরুর ধনু,
সে	পাকা ধানের হীরক-রেণু
	নীল নলিনীর নীলিম-অণু — মেখেছে মুখ-বুক্‌-ভরি।।

বাণী

ধানের ক্ষেতের ঢেউ লেগে আজ প্রাণের বাঁধন ভাঙল রে!
আমার মনের পুঞ্জিত মেঘ অরুণ-রঙে রাঙল রে।।
	নাচ ভুলেছে বনের কেকা
	দ্বন্দ ভুলে’ হলাম একা,
ময়ূরকণ্ঠী শুভ্র-হংস-মালার পরশ লাগল রে।।
মেহেদি ফুলের মঞ্জরি মোর মন কেবলি রঙ লুকায়,
শিলায় দলি’ রূপের কলি, আল্‌তা হবো তাহার পায়।
	জ্বাল দীপালি খোল রে দুয়ার
	আসে শারদ-জ্যোতির জোয়ার,
আবার আনন্দিনীর আগমনের কৃপার আশা জাগল রে।।

বাণী

অরুণ কিরণ সুধা-স্রোতে, ভাসাও প্রভু মোরে।
গ্লানি পাপ তাপ মলিনতা, যাক ধুয়ে চিরতরে।।
প্রশান্ত স্নিগ্ধ তব হাসি, ঝরুক অশান্তি প্রাণে বুকে
প্রভাত আলোর ধারা, যেমন ঝরে সব ঘরে।।
যেমন বিহগেরা জাগি ভোরে, আলোর নেশার ঘোরে
আকাশ পানে ..., বন্দে প্রেম-মনোহরে।।

১. পান্ডুলিপিতে পরিবর্ত লাইন হিসেবে ‘সবারে আজ যেন ভালোবাসি’ লেখা আছে।
২. পান্ডুলিপিতে গানটির সঙ্গে কবি-কৃত স্বরলিপি আছে।

বাণী

দ্বৈত	:	ঝুমুর নাচে ডুমুর গাছে ঘুঙুর বেঁধে গায় (লো)।
		নাচন দুজন মাদল, বাঁশি, নূপুর নিয়ে আয় (লো)।।
স্ত্রী	:	আর জনমে চোরকাঁটা তুই ছিলি (রে)
		এই জনমে আঁচল ছিঁড়ে হৃদয়ে বিঁধিলি।
পুরুষ	:	চোরকাঁটা নয় ছিলাম পানের খিলি লো
		গয়না ছিলাম গায় (লো)।।
স্ত্রী	:	ঝিলমিলয়ে ঝিলের জল নাচায় শালুক ফুল —
পুরুষ	:	শালুক যেন মুখাখানি তোর লো ঝিলের ঢেউ যেন এলোচুল।
স্ত্রী	:	কুহু কুহু ডেকে কোকিল কাহার কথা কহে
পুরুষ	:	সেই কথা কয় কোয়েলা আর জনমে করেছি যা তোরই বিরহে।
দ্বৈত	:	সে জনমের দু’টি হৃদয় এ জনমে হায়
		এক হতে যে চায় লো এক হতে যে চায়।।

বাণী

আমি রাজার কুমার পথ ভোলা,
আমি পথ ভোলা, দখিন হাওয়া দাও দোলা!
আজি প্রাণের ও মনের সকল দ্বার খোলা।।
তরুলতা বনের পাখি তোদের ডাকি আয় শুনে যা
শোন ঝর ঝর ঝর্না-ধারা,
রাজার দুলাল আমি শোন রে ফুল-নদী উতরোলা।।

চলচ্চিত্র : ‘ধ্রুব’

বাণী

আমি রব না ঘরে।
ওমা ডেকেছে আমারে হরি বাঁশির স্বরে।।
	আমি আকাশে শুনি আমি বাতাসে শুনি
	ওমা নিশিদিন বাঁশরি বাজায় সে গুণী,
ওমা তাহারি সুরের সুরধুনী বহে অন্তরে বাহিরে ভুবন ভ’রে।।
যবে জাগিয়া থাকি,
হেরি’ শ্রীহরির পদ্ম-পলাশ আঁখি।
যদি ভুলিয়া কভু আমি ঘুমাই মাগো
সে-ঘুম ভেঙে দেয় বলে, জাগো জাগো,
সে শয়নে স্বপনে মোর সাধনা গো —
আমি নিবেদিতা মাগো তাহারি তরে।।