বাণী

আজকে দোলের হিন্দোলায়
	আয় তোরা কে দিবি দোল্‌।
ডাক দিয়ে যায় দ্বারে ঐ
	হেনার কুঁড়ি আমের বোল্।।
আগুন-রাঙা ফুলে ফাগুন লালে-লাল,
কৃষ্ণ-চূড়ার পাশে রঙন অশোক গালে-গাল,
লোল্ হয়ে পড়িল ঐ রাতের জোছনা-আঁচল।।
হতাশ পথিক পথ-বিভোল্,
	ভোল্ আজি বেদনা ভোল্, —
টোল খেয়ে যাক নীল আকাশ
	শুনে তোদের হাসির রোল
দ্বার খু’লে দেখ্ — ফুলেল রাত
	ফুলে ফুলে ডামাডোল্।।

বাণী

কার বাঁশরি বাজিল মেঠো সুরে মন উদাস করা দুপুরে (গো)।
সখি কে কাহারে চায়
আজো সুরে সুরে ঝুরে ঝুরে কাহারে ধেয়ায়
মোর মন যেতে চায় বাঁশুরিয়ার সুরের দেশে উড়ে (গো)।।
হেরি যেতে নদী পথে
সে ভাঁট ফুলেরি মালা গেঁথে ভাসায় ভাটির স্রোতে (গো)
আমার সাধ জাগে ঐ মালা যাহার দেখি সেই বঁধু রে (গো)।।

বাণী

বনের হরিণ বনের হরিণ ওরে কপট চোর।
কেমন ক’রে করলি চুরি প্রিয়ার আঁখি মোর।।
	লায়লীরে তুই দেখ্‌লি কখন
	কর্‌লি বদল তোদের নয়ন,
ওরে বন হয়েছে স্বর্গ আমার হেরি নয়ন তোর।।

নাটকঃ ‘লায়লী-মজনু’

বাণী

সখি বাঁধো লো বাঁধো লো ঝুলনিয়া।।
নামিল মেঘলা ঘোর বাদরিয়া।।
চল কদম তমাল তলে গাহি কাজরিয়া
চল লো গৌরী শ্যামলিয়া।।
বাদল-পরীরা নাচে গগন-আঙিনায়,
ঝমাঝম বৃষ্টি-নূপুর পায়।
শোনো ঝমঝম বৃষ্টি নূপুর পায়
এ হিয়া মেঘ হেরিয়া ওঠে মাতিয়া।।
মেঘ-বেণীতে বেঁধে বিজলি-জরীন্‌ ফিতা,
গাহিব দু’লে দু’লে শাওন-গীতি কবিতা,
শুনিব বঁধুর বাঁশি বন-হরিণী চকিতা,
দয়িত-বুকে হব বাদল-রাতে দয়িতা।
পর মেঘ-নীল শাড়ি ধানী-রঙের চুনরিয়া,
কাজলে মাজি’ লহ আঁখিয়া।।