কৃষ্ণ-প্রিয়া লো কেমনে যাবি
বাণী
কৃষ্ণ-প্রিয়া লো! কেমনে যাবি অভিসারে? সে বিরহী রসে মানস সুরধুনী ’পারে।। সে এ পারে রহে না পারাপারের অতীত সে, এ পারে রহে না, এ পারে না, ও পারেও রহে না, কোন পারে রহে না।। গগনে গুরু গুরু মেঘ গরজে অবিরল বাদল ঝর ঝর ঝরে, আঁখি-জলে আঁখি তোর টলমল সই অন্তর দুরুদুরু করে। পথ দেখিবি কেমনে আঁখি-জলে পিছল আঁখি, পথ দেখিবি কেমনে। তোর আঁখি পিছল পথও পিছল পথে যাবি কেমনে, তোর অন্তরে মেঘ, বাহিরে মেঘ পথ দেখিবি কেমনে। একে কুহু-যামিনী তাহে কুল-কামিনী পথে পথে কালনাগিনী (লো), আছে আড় পেতে শাশুড়ি ননদিনী লো। তুই চাতকীর মত কেতকীর মত রাই মেঘ দেখে মত্ত হইলি ভয় নাই, যার প্রেমের পথে বাধা বিধির অভিশাপ — সাপেরে সে ভয় করে না।।
আমার গানের মালা আমি করব কারে দান
বাণী
আমার গানের মালা আমি করব কারে দান মালার ফুলে জড়িয়ে আছে করূণ অভিমান। মালা করব কারে দান।। চোখে মলিন কাজল লেখা কণ্ঠে কাঁদে কুহু কেকা, কপোলে যার অশ্রু-রেখা একা যাহার প্রাণ মালা করব কারে দান।। কাথায় আমার কাঁটার বেদন মালায় সূচির জ্বালা, কণ্ঠে দিতে সাহস না পাই অভিশাপের মালা (ঐ)। বিরহে যার প্রেম-আরতি আঁধার লোকের অরুন্ধতী নাম না জানা সেই তপতী তারি তরে গান মালা করব তারে দান।।
শ্যামের সাথে চল সখি খেলি সবে হোরি
বাণী
শ্যামের সাথে চল সখি খেলি সবে হোরি। রঙ নে, রঙ দে, মদির আনন্দে, আয় লো বৃন্দাবনী গোরী।। আয় চপল যৌবন-মদে মাতি অল্প-বয়সী কিশোরী।। রঙ্গিলা গালে তাম্বুল-রাঙা ঠোঁটে হিঙ্গুল রঙ লহ ভরি; ভুরু-ভঙ্গিমা সাথে রঙ্গিম হাসি পড়ুক মুহু মুহু ঝরি’।। আগুন-রাঙা ফুলে ফাগুন লাগে লাল, কৃষ্ণচূড়ার পাশে অশোক গালে-গাল। আকুল করে ডাকি’ বকুল বনের পাখি, যমুনার জল লাল হ’ল আজ আবির, ফাগের রঙে ভরি।।১
১. শ্যাম অঙ্গ আজি রঙে রঙে রাঙা হয়ে কি শোভা ধরেছে মরি! মরি!