বাণী

আমায়		আঘাত যত হানবি শ্যামা ডাকব তত তোরে।
		মায়ের ভয়ে শিশু যেমন লুকায় মায়ের ক্রোড়ে।।
ওমা		চারধারে মোর দুখের পাথার
তুই		পরখ্ কত করবি মা আর,
আমি		জানি তবু পার হ’ব মা চরণতরী ধ’রে।।
আমি		ছাড়বো না তোর নামের ধেয়ান বিশ্বভুবন পেলে,
আমায়		দুঃখ দিয়ে নাম ভুলাবি, নই মা তেমন ছেলে।
		আমায় দুঃখ দেওয়ার ছলে
		তুই স্মরণ করিস পলে পলে,
আমি		সেই আনন্দে দুখের অসীম-সাগর যাব ত’রে।।

বাণী

তুমি আমারে কাঁদাও নিজেরে আড়াল রাখি',
তুমি চাও আমি নিশি-দিন যেন তব নাম ধরে ডাকি।।
হে লীলা-বিলাসী অন্তরতম, অন্তর-মধু চাও বুঝি মম
গোপনে করিতে পান, ওগো বঁধু, অন্তরালে সে থাকি।।
বিরহ তোমার ছল, কেন নাহি বুঝি!
আমাতে রহিয়া কাঁদাও আমারে তবু কেন মরি খুঁজি'।
ভুলিয়া থাকি সুখের মোহে তাই বুঝি প্রিয় কাঁদাও বিরহে —
বন্ধু, ওগো বন্ধু;
তুমি অন্তরে এলে রাজ-সমারোহে নয়নেরে দিয়ে ফাঁকি।।

বাণী

	নবীন বসন্ত যে যায় যায় যায় রে।
	ফুলদল অবিরল, ঝ’রে পড়ে পায়,
		তার ঝ’রে পড়ে পায় রে।।
	আছে এখনো বেলা এখনো আছে ফুলের মেলা
	আয় নেচে গেয়ে খেলিয়া যাই ভুলের খেলা,
	আপন প্রেমে আপনি যে জন করিল হেলা।
	সেই উদাসী পানে ধায় কেন মন —
হায়, 	কেন প্রাণ তারে চায় চ’লে যায় যায় রে।।

নাটক : ‘সর্বহারা’

বাণী

নিশীথ নিশীথ জাগি’ গোঁয়ানু রাতি।
জ্বলিয়া জ্বলিয়া নেভে শিয়রের বাতি।।
সারাদিন গাঁথি মালা তুলিয়া কুসুম
পথ চাহি চাহি ক’রে চোখে আসে ঘুম,
রহে পড়ি’ নব শেজ কুসুমের পাঁতি।।
আমার কাননে আসি’ অলি যায় ফিরে
গাহি গান ফেরে সাঁঝে পাখি সব নীড়ে,
একেলা রহি গো শুধু আমি বিনা সাথি।।

বাণী

কাঁদবো না আর শচীদুলাল তোমায় ডেকে ডেকে
		মোরা কাঁদবো না —
(প্রিয়) তুমি গেছ চলে তোমার প্রেম গিয়েছ রেখে 
		তাই কাঁদব না॥
	ত্যাগ যেখানে প্রেম যেখানে
	তোমার মধু-রূপ সেখানে
ওগো জগন্নাথের দেউল তোমায় রাখবে কোথায় ঢেকে॥
হল বৈরাগিনী ধরা তোমার চরণ ধূলি মেখে
তোমার মন্ত্র নিল অসীম আকাশ চাঁদের তিলক এঁকে।
	সুন্দর যা কিছু হেরি
	ওগো রূপ সে শচী-নন্দনেরি
তোমার ডাক শুনি যে আজো হৃদয়পুরীর সাগর থেকে।
তোমার ডাক শুনি যে ওহে প্রিয়
ডাক শুনি যে আজো হৃদয়পুরীর সাগর থেকে॥

বাণী

রাঙা পির্‌হান প'রে শিশু নবী খেলেন পথে।
দেখে হুর-পরীরা সব লুকিয়ে বেহেশ্‌ত হ'তে।।
মোহনী সুরত বাঁকা চাঁদে চন্দন মাখা।
নূরানী রওশনী তাঁর চমকে দিনের আলোতে।।
নাচের তালে তালে সোনার তাবিজ দোলে,
চরণ তলে ধূলি কাঁদে মোহাম্মদ ব'লে।
নীল রেশমি রুমাল বাঁধা তাঁর চাঁচর কেশে
রাঙা সালোয়ার প'রে নাচে সে হেসে হেসে,
খোদার আরশ টলে সে রূপ-সুধা-স্রোতে।।