বাণী

আমি	বেলপাতা জবা দেব না মাগো দেব শুধু আঁখিজল।
	মাগো হাত দিয়ে যাহা দেওয়া যায়, পাই হাতে শুধু তার ফল।।
	হাত দিয়ে ফল দিতে যাই
	(মাগো) হাতে হাতে তার ফল পাই,
	পাই অর্থ বিভব যশ
	পাই না অমৃত আনন্দ মাগো, পাই না হৃদয়ে রস।
	তাই আঁখিতে রাখিব ব’লে মা আনিয়াছি আঁখি ছলছল।।
	এবার রাখিব চোখে চোখে তোরে ছাড়িয়া দেব না আর,
	মাগো তুই চ’লে গেলে হয়ে যায় মোর ত্রিলোক অন্ধকার।
		এবার দেখিবে নিত্য হৃদয়
		তোর রাঙা চরণের অরুণ উদয়,
	তাই জবা ফেলে দিয়ে মেলিয়াছি তাই হৃদয়ের শতদল।।

বাণী

	ছাড়িতে পরান নাহি চায় তবু যেতে হবে হায়
	মলয়া মিনতি করে তবু কুসুম শুকায়॥
		রবে না এ মধুরাতি
		জানি তবু মালা গাঁথি
মালা	চলিতে দলিয়া যাবে তবু চরণে জড়ায়॥
		যে কাঁটার জ্বালা সয়ে
		উঠে ব্যথা ফুল হয়ে
	আমি কাঁদিব সে-কাঁটা লয়ে নিশীথ বেলায়॥
		নীরবে রবে যবে পরবাসে
		আমি দূর নীল আকাশে
	জাগিব তোমারি আশে নূতন তারায়॥

বৈতালিক

বাণী

কাণ্ডারি গো কর কর পার এই অকূল ভব-পারাবার।
তোমার চরণ-তরী বিনা, প্রভু পারের আশা নাহি আর।।
	পাপের তাপের ঝড় তুফানে
	শান্তি নাহি আমার প্রাণে।
আমি যেদিকে চাই দেখি কেবল নিরাশারি অন্ধকার।।
	দিন থাকতে আমার মতো
		কেউ নাহি সম্ভাষে,
	হে প্রভু তোমায়
		কেউ নাহি সম্ভাষে
	দিন ফুরালে খাটে শুয়ে
		এই ঘাটে সবাই আসে।
	লয়ে তোমারি নামের কড়ি
	সাধু পেল চরন-তরী
সে কড়ি নাই যে কাঙ্গালের হও হে দীনবন্ধু তার॥

বাণী

দোলে ঝুলন দোলায় দোলে নওল কিশোর গিরিধারী হরষে।।
মৃদঙ্গ বাজে নভোচারী মেঘে বারিধারা রুমু ঝুমু বরষে।।
	নাচে ময়ুর নাচে কুরঙ্গ
	কাজরি গাহে বন বিহঙ্গ
যমুনা-জলে বাজে জলতরঙ্গ শ্যামসুন্দর রূপ দরশে।।

বাণী

জয় বিবেকানন্দ সন্ন্যাসী বীর চির গৈরিকধারী।
জয় তরুণ যোগী, শ্রীরামকৃষ্ণ-ব্রত-সহায়কারী।।
	যজ্ঞাহুতির হোমশিখা সম,
	তুমি তেজস্বী তাপস পরম
ভারত-অরিন্দম নমো নমঃ বিশ্বমঠ বিহারী।।
(মদ) গর্বিত বল-দর্পীর দেশে মহাভারতের বাণী
শুনায়ে বিজয়ী ঘুচাইলে স্বদেশের অপযশ গ্লানি।
(নব)	ভারতে আনিলে তুমি নব বেদ
	মুছে দিলে জাতি ধর্মের ভেদ
জীবে ঈশ্বরে অভেদ আত্মা জানাইলে হুঙ্কারি।।

১. উচ্চারি

বাণী

কে এলে হংস-রথে, কোথা যাও?
তার লিপি এনেছ কি? দাও মোরে দাও।।
যা’র বিরহে মোর হৃদয়-কমল
অশ্রু-সরসী-নীরে কাঁপে টলমল,
শুনেছি তার সাথে তুমি কথা কও —
কার কথা হয় সেথা — শোনাও শোনাও।।
আনন্দ-দূত তুমি, লিপি আন নাই?
দেখিতে কি আসিয়াছ — কত দুঃখ পাই?
সে এত প্রেম দিয়ে কেন লুকিয়ে থাকে
কেন দেখা দেয় না এত যে ডাকে,
কেন মোর আর ভালো লাগে না কিছুই?
মনে ক’রে বলো যদি তার দেখা পাও।।