যাও মেঘদূত দিও প্রিয়ার হাতে
বাণী
যাও মেঘদূত, দিও প্রিয়ার হাতে আমার বিরহ–লিপি লেখা কেয়া পাতে।। আমার প্রিয়ার দিরঘ নিশাসে থির হয়ে আছে মেঘ যে–দেশেরই আকাশে আমার প্রিয়ার ম্লান মুখ হেরি’ ওঠে না চাঁদ আর যে–দেশে রাতে।। পাইবে যে–দেশে কুন্তল–সুরভি বকুল ফুলে আমার প্রিয়া কাঁদে এলায়ে কেশ সেই মেঘনা–কূলে। স্বর্ণলতার সম যার ক্ষীণ করে বারে বারে কঙ্কণ চুড়ি খুলে পড়ে মুকুল’ বয়সে যথা বরষার ফুল–দল বেদনায় মুরছিয়া আছে আঙিনাতে।।
শ্যাম সুন্দর মন-মন্দিরমে আও
বাণী
শ্যাম সুন্দর মন-মন্দিরমে আও আও। হৃদয়-কুঞ্জমে রাধা নাম কি বন্শী শুনাও শুনাও।। বহতা যমুনা নয়ন-নীরকে আও শ্যাম ওহি যমুনা তীরপে, বয়ঠি বনঠন ভক্তি-গোপীন কাহে তুম বিল্মাও আও আও।। চঞ্চল মোহন চরণ-কমল পে নুপুর বাজাও, প্রীতি চন্দন মনকে মেরে লেকে অঙ্গ সাজাও। বিরহ কি মৌর পাপিহা বোলে প্রেম কি নাইয়া ডগমগ ডোলে, আও কানাইয়া রাস রচাইয়া মধুর সুরত দেখ্লাও, আও আও।।
চপল আঁখির ভাষায় হে মীনাক্ষী ক’য়ে যাও
বাণী
চপল আঁখির ভাষায়, হে মীনাক্ষী ক’য়ে যাও। না-বলা কোন্ বাণী বলিতে চাও॥ আড়ি পাতে নিঝ্ঝুম বন আঁখি তুলি’ চাহিবে কখন, আঁখির তিরস্কারে ঐ বন-কান্তারে ফুল ফোটাও॥ নিটোল আকাশ টোল খায় তোমারি চাওয়ায়, হে মীনাক্ষী, নদী-জলে চঞ্চল সফরী লুকায়, হে মীনাক্ষী! ওই আঁখির করুণা ঢালো রাগ অরুণা, আঁখিতে আঁখিতে ফুল-রাখি বেঁধে দাও॥
জয় বিবেকানন্দ সন্ন্যাসী বীর
বাণী
জয় বিবেকানন্দ সন্ন্যাসী বীর চির গৈরিকধারী। জয় তরুণ যোগী, শ্রীরামকৃষ্ণ-ব্রত-সহায়কারী।। যজ্ঞাহুতির হোমশিখা সম, তুমি তেজস্বী তাপস পরম ভারত-অরিন্দম নমো নমঃ বিশ্বমঠ বিহারী।। (মদ) গর্বিত বল-দর্পীর দেশে মহাভারতের বাণী শুনায়ে বিজয়ী ঘুচাইলে স্বদেশের অপযশ গ্লানি। (নব) ভারতে আনিলে তুমি নব বেদ মুছে দিলে জাতি ধর্মের ভেদ জীবে ঈশ্বরে অভেদ আত্মা জানাইলে হুঙ্কারি১।।
১. উচ্চারি