বাণী

আমার আছে এই ক’খানি গান
তা’ দিয়ে কি ভর’বে তোমার প্রাণ।।
		অনেক বেশি তোমার দাবি
		শূন্য হাতে তাইতো ভাবি,
কি দান দিয়ে ভাঙবো তোমার গভীর অভিমান।।
	তুমি চাহ গভীর ব্যাকুলতা
	আমার কাছে বলার দুটি কথা।
		যে বাঁশরি গায় অবিরাম
		প্রিয়তম তোমারি নাম
যাবার বেলায় তোমায় দিলাম সেই বাঁশরি খান।।

বাণী

নন্দকুমার বিনে সই আজি বৃন্দাবন অন্ধকার
				নাহি ব্রজে আনন্দ আর।
যমুনার জল দ্বিগুণ বেড়েছে ঝরি’ গোকূলে অশ্রুধার।।
শীতল জানিয়া মেঘ-বরণ শ্যামের শরণ লইয়া সই
তৃষিতা চাতকী জ্বলে মরি হায় বিরহ-দাহনে ভস্ম হই।
শীতল মেঘে অশনি থাকে
কে জানিত সখি সজল কাজল শীতল মেঘে অশনি থাকে।
ব্রজে বাজে না বেণু আর চরে না ধেনু
(আর) পড়ে না গোকুলে শ্যাম চরণ রেণু
তার ফেলে যাওয়া বাঁশি নিয়ে শ্রীদাম সুদাম
ধায় মথুরার পথে আর কাঁদে অবিরাম।
কৃষ্ণে না হেরি দূর বন পার উড়ে গেছে শুক সারি
কৃষ্ণ যেথায় সেই মথুরায় চলো যাই ব্রজনারী।।

বাণী

আর অনুনয় করিবে না কেউ কথা কহিবার তরে
আর দেখিবে না স্বপন রাতে গো কেহ কাদেঁ হাত ধ'রে।
	তব মুখ ঘিরে আর মোর দু' নয়ন
	ভ্রমরের মত করিবে না জ্বালাতন
তব পথ আর পিছল হবে না আমার অশ্রু ঝরে'।
তোমার ভুবনে পড়িবে না আর কোনদিন ছায়া মম
তোমার পূর্ণ-চাদেঁর তিথিতে আসিব না রাহু-সম।
	আর শুনিবে না করুণ কাতর
	এই ক্ষুধাতুর ভিখারির স্বর
শুনিবে না আর কাহারও রোদন রাতের আকাশ ভ'রে।।

বাণী

(তুমি)	যে-হার দিলে ভালোবেসে সে-হার আমার হ’ল ফাঁসি।
(প্রিয়)	সেই হার আজ বক্ষে চেপে আকুল নয়ন-জলে ভাসি।।
		তুমি জান অন্তর্যামী
		দান তো তোমার চাইনি আমি,
	তোমায় শুধু চেয়েছিলাম সাধ ছিল মোর হ’তে দাসী।।
	দুখের মালা কেড়ে নিয়ে কেন দিলে মতির মালা,
	মালায় শীতল হবে কি নাথ! শূন্য আমার বুকের জ্বালা?
	(মোরে)	রেখো না আর সোনার রথে
			ডাকো তোমার তীর্থ-পথে,
(আমার) সুখের ঘরে আগুন জ্বালো শোনাও বাঁশি সর্বনাশী।।

১. চেয়েছিলাম তোমায় স্বামী

বাণী

রস-ঘনশ্যাম-কল্যাণ-সুন্দর।
প্রশান্ত সন্ধ্যার উদার শান্তি দাও —
শ্রান্ত মনের ভার হর, হে গিরিধর।।
যে নিবিড় সমাধির গভীর আনন্দে
হিমালয় লীলায়িত নীরব ছন্দে,
সেই মহাযোগে কর মোরে মগ্ন —
যে মহাভাবে ভোর মৌন নীলাম্বর।। 
অপগত-দুখশোক নিশীথ সুষুপ্তির মাঝে,
নিথর সিন্ধুর অতল তলে যে শান্ত বিরাজে।
যে সুধা লভিয়া ঋষি মধুছন্দা
আনিল বেদবাণী অলকানন্দা
অন্তরে বাহিরে সেই অমৃত দাও —
কর পুরুষোত্তম অজর অমর।।

বাণী

গোধূলির রঙ ছড়ালে কে গো আমার সাঁঝগগনে।
মিলনের বাজে বাঁশি আজি বিদায়ের লগনে।।
এতদিন কেঁদে কেঁদে ডেকেছি নিঠুর মরণে
আজি যে কাঁদি বঁধূ বাঁচিতে হায় তোমার সনে।।
আজি এ ঝরা ফুলের অঞ্জলি কি নিতে এলে,
সহসা পূরবী সুর বেজে উঠিল ইমনে।
হইল ধন্য প্রিয় মরন-তীর্থ মম
সুন্দর মৃত্যু এলে বরের বেশে ষেশ জীবনে,
		এলে কে মোর সাঁঝ গগনে।।