বাণী

উম্মত আমি গুনাহগার তবু ভয় নাহি রে আমার।
আহমদ আমার নবী যিনি খোদ্ হবিব খোদার।।
যাঁহার উম্মত্ হ’তে চাহে সকল নবী,
তাঁহারি দামন ধরি’ পুলসরাত হব পার।।
	কাঁদিবে রোজ হাশরে সবে
	যবে ‘নফ্‌সি য়্যা নফ্‌সি’ রবে,
‘য়্যা উম্মতী’ ব’লে একা কাঁদিবেন আমার মোখতার।।
কাঁদিবেন সাথে মা ফাতেমা ধরিয়া আরশ্ আল্লার।
হোসায়নের খুনের বদলায় মাফী চাই পাপী সবাকার।
দোজখ্ হয়েছে হারাম যে-দিন পড়েছি কলেমা।
যেদিন হয়েছি আমি কোরানের নিশান-বর্দার।।

বাণী

আমার হাতে কালি মুখে কালি, মা 
আমার কালিমাখা মুখ দেখে মা 
পাড়ার লোকে হাসে খালি।। 
মোর লেখাপড়া হ’ল না মা, 
আমি ‘ম’ দেখিতেই দেখি শ্যামা, 
আমি ‘ক’ দেখতেই কালী ব’লে 
নাচি দিয়ে করতালি।। 
কালো আঁক দেখে মা ধারাপাতের 
ধারা নামে আঁখি পাতে, 
আমার বর্ণ পরিচয় হ’লো না মা 
তোর বর্ণ বিনা কালী। 
যা লিখিস মা বনের পাতায় 
সাগর জলে আকাশ খাতায়, 
আমি সে লেখা তো পড়তে পারি 
মূর্খ বলে দিক্‌ না গালি মা, 
লোকে মূর্খ ব’লে দিক্‌ না গালি।। 

বাণী

খুশি লয়ে খুশরোজের আয় খেয়ালি খুশ্‌-নসীব।
জ্বাল্‌ দেয়ালি শবেরাতের জ্বাল রে তাজা প্রাণ প্রদীপ।।
	আন্‌ নয়া দ্বীনী ফরমান
	দরাজ দিলে দৃপ্ত গান,
প্রাণ পেয়ে আজ গোরস্থান তোর ডাকে জাগুক নকীব।।
আন্‌ মহিমা হজরতের শক্তি আন্‌ শেরে খোদার,
কুরবানী আন্‌ কারবালার আন্‌ রহম মা ফাতেমার,
আন্‌ উমরের শৌর্য বল সিদ্দিকের আন্‌ সাচ্চা মন,
হাসান হোসেনের সে ত্যাগ শহীদানের মৃত্যুপণ,
রোজ হাশরে করবেন পার মেহেরবান খোদার হাবিব।।
খোৎবা পড়বি মসজিদে তুই খতীব নূতন ভাষায়,
শুষ্ক মালঞ্চের বুকে ফুল ফুটাবি ভোর হাওয়ায়,
এস্‌মে-আজম এনে মৃত মুসলিমে তুই কর সজীব।।

বাণী

পিয়া পাপিয়া পিয়া বোলে।
‘পিউ পিউ পিউ কাঁহা’ পাপিয়া পিয়া বোলে।।
সে পিয়া পিয়া সুরে বাদল ঝুরে, নদী-তরঙ্গ দোলে।
কূলে কূলে কুলু কুলু নদী-তরঙ্গ দোলে।
ফুটিল দল মেলি’ কেতকী, বেলি, শিখী পেখম খোলে।
দু’লে দু’লে দু’লে নেচে’ শিখী পেখম খোলে।।
পিয়ায় যা’রা নাহি পেল হেথায়, তাহারা কি
এসেছে ধরায় পুন হইয়া পাপিয়া পাখি?
দেখিয়া ঘরে ঘরে তরুণীর কালো আঁখি
‘পিউ কাঁহা পিউ কাঁহা’ আজিও উঠিছে ডাকি’!
পিয়া পাপিয়া পিয়া বোলে।।

বাণী

নারদ	:	হৃদি-পদ্মে চরণ রাখো বাঁকা ঘনশ্যাম।
ধ্রুব	:	বাঁকা শিখী-পাখা নয়ন বাঁকা বঙ্কিম ঠাম॥
নারদ	:	তুমি দাঁড়ায়ো ত্রিভঙ্গে!
ধ্রুব	:	অধরে মুরলী ধরি দাঁড়ায়ো ত্রিভঙ্গে॥
নারদ	:	সোনার গোধূলি যেন নিবিড় সুনীল নভে
		পীতধড়া প’রো কালো অঙ্গে (হরি হে)
ধ্রুব	:	নীল কপোত সম চরণ দুটি
		নেচে যাক অপরূপ ভঙ্গে (হরি হে)
উভয়	:	যেন নূপুর বাজে
		হরি সেই পায়ে যেন নূপুর বাজে।
		বনে নয় শ্যাম মনোমাঝে যেন নূপুর বাজে।
		ঐ চরণে জড়ায়ে পরান আমার
		(যেন) মঞ্জির হয়ে বাজে॥

চলচ্চিত্রঃ ‘ধ্রুব’ (ধ্রুব ও নারদের গান)

বাণী

অসুর-বাড়ির ফেরত এ মা
শ্বশুর-বাড়ির ফেরত নয়।
দশভুজার করিস পূজা
		ভুলরূপে সব জগতময়।।
নয় গোরী নয় এ উমা
মেনকা যার খেতো চুমা
রুদ্রাণী এ, এযে ভূমা
		এক সাথে এ ভয়-অভয়।।
অসুর দানব করল শাসন এইরূপে মা বারে বারে,
রাবণ-বধের বর দিল মা এইরূপে রাম-অবতারে।
দেব-সেনানী পুত্রে লয়ে মা
এই বেশে যান দিগ্বিজয়ে
সেই রূপে মা’র কর্‌রে পূজা
		ভারতে ফের আসবে জয়।।