বাজাও প্রভু বাজাও ঘন বাজাও
বাণী
বাজাও প্রভু বাজাও ঘন বাজাও ভীম বজ্র-বিষাণে দুর্জয় মহা-আহ্বান তব। বাজাও! অগ্নি তূর্য কাঁপাক সূর্য বাজুক রুদ্রতালে ভৈরব।। দুর্জয় মহা-আহ্বান তব, বাজাও! নট-মল্লার দীপক-রাগে জ্বলুক তড়িৎ-বহ্নি আগে, ভেরির রন্ধ্রে মেঘ-মন্দ্রে জাগাও বাণী জাগ্রত নব।। দুর্জয় মহা-আহ্বান তব, বাজাও! দাসত্বের এ ঘৃণ্য তৃপ্তি ভিক্ষুকের এ লজ্জা-বৃত্তি, বিনাশ জাতির দারুণ এ লাজ, দাও তেজ দাও মুক্তি-গরব।। দুর্জয় মহা-আহ্বান তব, বাজাও! খুন দাও নিশ্চল এ হস্তে শক্তি-বজ্র দাও নিরস্ত্রে, শীর্ষ তুলিয়া বিশ্বে মোদেরও দাঁড়াবার পুন দাও গৌরব।। দুর্জয় মহা-আহ্বান তব, বাজাও! ঘুচাতে ভীরুর নীচতা দৈন্য প্রের হে তোমার ন্যায়ের সৈন্য, শৃঙ্খলিতের টুটাতে বাঁধন আন আঘাত প্রচন্ড আহব।। দুর্জয় মহা-আহ্বান তব, বাজাও! নিবীর্য্য এ তেজঃসূর্য্যে, দীপ্ত কর হে বহ্নি-বীর্য্যে, শৌর্য, ধৈর্য্য মহাপ্রাণ দাও, দাও স্বাধীনতা সত্য বিভব।।
পরমাত্মা নহ তুমি মোর
বাণী
পরমাত্মা নহ তুমি মোর (তুমি) পরমাত্মীয় মোর। হে বিপুল বিরাট! মোর কাছে তুমি, প্রিয়তম চিতচোর॥ তোমারে যে ভয় করে হে বিশ্বত্রাতা তার কাছে তুমি রুদ্র দন্ডদাতা, প্রেমময় বলে তোমারে যে বাসে ভালো তার কাছে তুমি মধুর লীলা কিশোর॥ দ্যাখে ভীরু চোখ আষাঢ়ের মেঘে বজ্র তব বিপুল, মোর মালঞ্চে সেই মেঘে হেরি, ফোটায় নবমুকুল। আকাশের নীল অসীম পদ্ম পরে চরণ রেখেছ, হে মহান লীলা ভরে সেই অনন্ত জানি না কেমন ক’রে আমার হৃদয়ে খেল দিবানিশি ভোর॥