ঈদজ্জোহার চাঁদ হাসে ঐ
বাণী
ঈদজ্জোহার চাঁদ হাসে ঐ এলো আবার দুস্রা ঈদ কোর্বানি দে কোর্বানি দে শোন্ খোদার ফর্মান তাকিদ।। এমনি দিনে কোর্বানি দেন পুত্রে হজরত ইব্রাহীম, তেমনি তোরা খোদার রাহে আয় রে হবি কে শহীদ্।। মনের মাঝে পশু যে তোর আজকে তা’রে কর্ জবেহ, পুল্সেরাতের পুল হ’তে পার নিয়ে রাখ্ আগাম রসিদ্।। গলায় গলায় মিল্ রে সবে ভুলে যা ঘরোয়া বিবাদ, মিলনের ঈদগাহ্ গড়ে তোল্ প্রাণ দিয়ে তার তোল্ বুনিয়াদ।। মিলনের আর্ফাত ময়দান হোক আজি গ্রামে গ্রামে, হজের অধিক পাবি সওয়াব এক হ’লে সব মুসলিমে। বাজবে আবার নূতন ক’রে দ্বীনি ডঙ্কা, হয় উমীদ্।। ইসমাইলের মতন যদি কোর্বানি পারিস হতে দেখব আবার তোদের মাঝে দিশারি মুসা, খালিদ।।
এসো নওল কিশোর এসো এসো
বাণী
এসো নওল কিশোর এসো এসো, লুকায়ে রাখিব আঁখিতে মম। আমার আঁখির ঝিনুকে বন্দী রহিবে মুকুতা সম।। তুমি ছাড়া আর এই পৃথিবীতে এ আঁখি কারেও পাবে না দেখিতে, তুমিও আমারে ছাড়া আর কারেও হেরিবে না প্রিয়তম।। লুকায়ে রাখিব ফণিনী যেমন মানিক লুকায়ে রাখে, ঘিরিয়া থাকিব দামিনী যেমন শ্যাম মেঘ ঘিরে থাকে। মেঘ হয়ে আমি হে চাঁদ তোমায় আবরি’ রাখিব আঁখির পাতায়, নিশীথে জাগিয়া কাঁদিব দু’জন প্রিয় হে, চির জনম।।
মাদল বাজিয়ে এলো বাদলা মেঘ
বাণী
মাদল বাজিয়ে এলো বাদলা মেঘ এলোমেলো মাতলা হাওয়া এলো বনে। ময়ূরী নাচে কালো জামের গাছে পিয়া পিয়া বন-পাপিয়া ডাকে গো আপন মনে।। বেত-বনের আড়ালে ডাহুকী ডাকে, ডাকে না এমন দিনে কেহ আমাকে, বেণীর বিনুনী খুলে পড়ে একলা মন টেকে না ঘরের কোণে।। জঙ্গল পাহাড় কাঁপে বাজের আওয়াজে, বুকের মাঝে তবু নূপুর বাজে।। ঝিঁঝিঁ তার ডাক ভুলে ঝিম্ ঝিম্ ঝিম্ বৃষ্টির বাজ্না শোনে।।