দুঃখ-ক্লেশ-শোক-পাপ-তাপ শত
বাণী
দুঃখ-ক্লেশ-শোক-পাপ-তাপ শত শ্রান্তি মাঝে হরি শান্তি দাও দাও॥ কান্ডারি হে আমার, পার কর কর পার, উত্তাল তরঙ্গ অশান্তি পারাবার, অভাব দৈন্য শত হৃদি-ব্যথা-ক্ষত, যাতনা সহিব কত প্রভু কোলে তুলে নাও।। হে দীনবন্ধু করুণাসিন্ধু, অম্বর ব্যাপি’ ঝরে তব কৃপা-বিন্দু, মরুর্ মতন চেয়ে আছি নব ঘনশ্যাম — আকুল তৃষ্ণা ল’য়ে প্রভু পিপাসা মিটাও॥
মেঘের ডমরু ঘন বাজে
বাণী
মেঘের ডমরু ঘন বাজে। বিজলি চমকায় আমার বনছায়, মনের ময়ূর যেন সাজে॥ সঘন শ্রাবণ গগন-তলে রিমি ঝিমি ঝিম্ নবধারা জলে, চরণ-ধ্বনি বাজায় কে সে — নয়ন লুটায় তারি লাজে॥ ওড়ে গগন-তলে গানের বলাকা, শিহরণ জাগে উজ্জ্বল পাখা। সুদূরের মেঘে অলকার পানে ভেসে চ’লে যায় শ্রাবণের গানে, কাহার ঠিকানা খুঁজিয়া বেড়ায় — হৃদয়ে কার স্মৃতি রাজে॥
ঐ হের রসুলে খোদা এলো ঐ
বাণী
ঐ হের রসুলে খোদা এলো ঐ।। গেলেন মদিনা যবে হিজরতে হজরত মদিনা হলো যেন খুশিতে জিন্নত, ছুটিয়া আসিল পথে মর্দ ও আওরত লুটায়ে পায়ে নবীর, গাহে সব উম্মত ঐ হের রসুলে-খোদা এলো ঐ।। হাজার সে কাফের সেনা বদরে, তিন শত তের মমিন এধারে; হজরতে দেখিল যেই, কাঁপিয়া ডরে কহিল কাফের সব তাজিমের স্বরে ঐ হের রসুলে-খোদা এলো ঐ।। কাঁদিয়া কেয়ামতে গুনাহগার সব, নবীর কাছে শাফায়তী করিবেন তলব, আসিবেন কাঁদন শুনি সেই শাহে আরব অমনি উঠিবে সেথা খুশির কলরব ঐ হের রসুলে খোদা এলো ঐ।।
মেঘলা-মতীর ধারা জলে কর স্নান
বাণী
মেঘলা-মতীর ধারা জলে কর স্নান (হে ধরণী) স্নিগ্ধ শীতল মেঘ-চন্দনে জুড়াও তাপিত প্রাণ (হে ধরণী)।। তব বৈশাখী ব্রত শেষে শ্যাম সুন্দর বেশে নব দেবতা এলো হেসে লহ আশিস বারি দান (হে তাপসী)।। তব ভূষণ-হীন উপবাস ক্ষীণ কায় হোক নবতর শ্যাম সমারোহে, পুষ্পিত সুষমায়। তীর্থ-সলিলে কৃষ্ণা দূর কর গো তৃষ্ণা শ্যাম দরশ পরশ ব্যাকুলা হরষে গাহ গান (হে তপতী)।।