বাণী

মুরলী শিখিব ব'লে এসেছি কদম্ব তলে
মুরলীধারী মুরলী শিখাও হে
কোন সুরে মধু-মাধবী ফোটে
কোন সুরে রাধা নাম ওঠে
মাধব হে! বাঁশির কোন সুরে
উদাসী করে প্রাণ দাসী করে, মাধব হে —
দেহ ময়ুর নাচে কোন সুর শুনিয়া
মন-পাপিয়া গেয়ে ওঠে পিয়া পিয়া
মোরে শিখাও সে সুর হে —
যে সুরে তুমি নাচিবে, পিয়া ব'লে ডাকিবে
মোরে শিখাও সে সুর হে বঁধু
যে সুরে কেবল তব সাথে ভাব হয় অভাব রয় না
আমি সেই সুর শিখিব
যে সুর কৃষ্ণ ছাড়া কোন কথা কয় না
কেন ছলছল চোখে চাও
মুরলী শিখাও কেন হাত কাপে রসময়।
যে সুর তোমার অধর পরশ লাগে
সেই বেনু যেন চিরদিন রাধারই রয় বেনু শিখাও হে
মোর দেহ মন ধায় যেন ধেনু সম তব পানে বেণু শিখাও হে।।

বাণী

দুলিবি কে আয় মেঘের দোলায়।
কুসুম দোলে পাতার কোলে পুবালি হাওয়ায়।।
অলকা-পরী অলক খু’লে
কাজরি নাচে গগন-কূলে,
বলাকা-মালার ঝুলন ঝুলায়।।
দাদুরি বোলে, ডাহুকী ডাকে
ময়ূরী নাচে তমাল শাখে,
ময়ূর দোলে কদম-তলায়।।
তটিনী দুলে ঢেউয়ের তালে,
নিবিড় আঁধার ঝাউয়ের ডালে,
বেণুর ছায়া ঘনায় মায়া পরান ভোলায়।।

বাণী

দাও দাও দরশন পদ্ম-পলাশ লোচন,
	কেঁদে দু’ নয়ন হ’ল অন্ধ।
আকাশ বাতাস ঘেরা, তব ও মন্দির বেড়া
	আর কতকাল রবে বন্ধ॥
পাখি যেমন সন্ধ্যাকালে, বন্ধু-স্বজন পালে পালে
উড়ে এসে ব’সেছিল ডালে হে।
রাত পোহালে একে এক, উড়ে গেল দিগ্বিদিকে,
	প’ড়ে আছি একা নিরানন্দ।
টুটিল বাঁধন মায়ার, কবে শুনিব এবার
	ও রাঙা চরণ নূপুর ছন্দ॥
দুখ-শোক রৌদ্রজলে, ফেলে মোরে পলে পলে
	ছলিতেছ হরি কত ছল হে
জীবনের বোঝা প্রভু, বহিতে কি হবে তবু
	সহিতে পারি না আর দ্বন্দ্ব।
মরণের সোনার ছোঁওয়ায়, ডেকে লও ও রাঙা পায়
	দেখাও এবার মুখ-চন্দ॥

বাণী

সৈয়দে মক্কী মদনী আমার নবী মোহাম্মদ
করুণা-সিন্ধু খোদার বন্ধু নিখিল মানব-প্রেমাস্পদ।।
আদম নূহ, ইব্রাহিম দাউদ সোলেয়মান মুসা আর ঈসা,
সাক্ষ্য দিল আমার নবীর, সবার কালাম হ'ল রদ।
যাঁহার মাঝে দেখল জগৎ ইশারা খোদার নূরের,
পাপ-দুনিয়ায় আনলো যে রে, পুণ্য বেহেশতী সনদ।।
হায় সিকান্দর খুঁজল বৃথাই আব-হায়াত এই দুনিয়ায়
বিলিয়ে দিল আমার নবী, সে সুধা মানব সবায়।
হায় জুলেখা মজল ঐ ইউসুফেরই রূপ দেখে,
দেখলে মোদের নবীর সুরত, যোগীন হত ভসম মেখে'।
শুনলে নবীর শিঁরিন জবান, দাউদ মাগিত মদদ।।
ছিল নবীর নূর পেশানিতে, তাই ডুবল না কিস্তি নূহের
পুড়ল না আগুনে হযরত ইব্রাহিম সে নমরুদের
হায়, দোজখ আমার হারাম হ'ল পিয়ে কোরানের শিঁরিন শ্যহদ।।

বাণী

	গগনে খেলায় সাপ বরষা-বেদিনী।
	দূরে দাঁড়ায়ে দেখে ভয়-ভীতা মেদিনী।।
	দেখায় মেঘের ঝাপি তুলিয়া
	ফনা তুলি’ বিদ্যুৎ-ফণি ওঠে দুলিয়া,
	ঝড়ের তুব্‌ড়িতে বাজে তার অশান্ত রাগিণী।।
	মহাসাগরে লুটায় তার সর্পিল অঞ্চল
	দিগন্তে দুলে তার এলোকেশ পিঙ্গল
	ছিটায় মন্ত্রপূত ধারাজল অবিরল তন্বী-মোহিনী।।
	অশনি-ডমরু ওঠে দমকি’
	পাতালে বাসুকি ওঠে চমকি’
তার 	ডাক শুনে ছুটে আসে নদীজল যেন পাহাড়িয়া নাগিনী।।

বাণী

আমি গরবিনী মুসলিম বালা
সংসার সাহারাতে আমি গুলে লালা।।
জ্বালায়েছি বাতি (আমি) আঁধার কাবায়
এনেছি খুশির, ঈদে শিরনির থালা।।
আনিয়াছি ঈমান প্রথম আমি
আমি দিয়াছি সবার আগে মোহাম্মদে মালা।।
কত শত কারবালা বদরের রণে
বিলায়ে দিয়াছি স্বামী-পুত্র স্বজনে;
জানে গ্রহ-তারা জানে আল্লাহ তালা।।