বাণী

গহীন রাতে ঘুম কে এলে ভাঙাতে
ফুল-হার পরায়ে গলে দিলে জল নয়ন-পাতে।।
	যে জ্বালা পেনু জীবনে
	ভুলেছি রাতে স্বপনে
কে তুমি এসে গোপনে ছুঁইলে সে বেদনাতে।।
	যবে কেঁদেছি একাকী
	কেন মুছালে না আঁখি
নিশি আর নাহি বাকি, বাসি ফুল ঝরিবে প্রাতে।।

বাণী

মধুর নূপুর রুমুঝুমু বাজে।
কে এলে মনোহর নটবর-সাজে।।
নিশীথের ফুল ঝরে রাঙা পায়ে
মাধবী রাতের চাঁদ এলে কি লুকায়ে,
'পিয়া পিয়া' ব'লে পাখি ডাকে বন-মাঝে।।

বাণী

দুঃখ-ক্লেশ-শোক-পাপ-তাপ শত
শ্রান্তি মাঝে হরি শান্তি দাও দাও॥
কান্ডারি হে আমার, পার কর কর পার,
উত্তাল তরঙ্গ অশান্তি পারাবার,
অভাব দৈন্য শত হৃদি-ব্যথা-ক্ষত,
যাতনা সহিব কত প্রভু কোলে তুলে নাও।।
হে দীনবন্ধু করুণাসিন্ধু,
অম্বর ব্যাপি’ ঝরে তব কৃপা-বিন্দু,
মরুর্‌ মতন চেয়ে আছি নব ঘনশ্যাম —
আকুল তৃষ্ণা ল’য়ে প্রভু পিপাসা মিটাও॥

বাণী

মেঘের ডমরু ঘন বাজে।
	বিজলি চমকায়
	আমার বনছায়,
মনের ময়ূর যেন সাজে॥
সঘন শ্রাবণ গগন-তলে
রিমি ঝিমি ঝিম্ নবধারা জলে,
চরণ-ধ্বনি বাজায় কে সে —
নয়ন লুটায় তারি লাজে॥
ওড়ে গগন-তলে গানের বলাকা,
শিহরণ জাগে উজ্জ্বল পাখা।
সুদূরের মেঘে অলকার পানে
ভেসে চ’লে যায় শ্রাবণের গানে,
কাহার ঠিকানা খুঁজিয়া বেড়ায় —
হৃদয়ে কার স্মৃতি রাজে॥

বাণী

ঐ হের রসুলে খোদা এলো ঐ।।
গেলেন মদিনা যবে হিজরতে হজরত
মদিনা হলো যেন খুশিতে জিন্নত,
ছুটিয়া আসিল পথে মর্দ ও আওরত
লুটায়ে পায়ে নবীর, গাহে সব উম্মত
ঐ হের রসুলে-খোদা এলো ঐ।।
হাজার সে কাফের সেনা বদরে,
তিন শত তের মমিন এধারে;
হজরতে দেখিল যেই, কাঁপিয়া ডরে
কহিল কাফের সব তাজিমের স্বরে
ঐ হের রসুলে-খোদা এলো ঐ।।
কাঁদিয়া কেয়ামতে গুনাহগার সব,
নবীর কাছে শাফায়তী করিবেন তলব,
আসিবেন কাঁদন শুনি সেই শাহে আরব
অমনি উঠিবে সেথা খুশির কলরব
ঐ হের রসুলে খোদা এলো ঐ।।

বাণী

মেঘলা-মতীর ধারা জলে কর স্নান (হে ধরণী)
স্নিগ্ধ শীতল মেঘ-চন্দনে জুড়াও তাপিত প্রাণ (হে ধরণী)।।
	তব বৈশাখী ব্রত শেষে
	শ্যাম সুন্দর বেশে
নব দেবতা এলো হেসে লহ আশিস বারি দান (হে তাপসী)।।
	তব ভূষণ-হীন উপবাস ক্ষীণ কায়
	হোক নবতর শ্যাম সমারোহে, পুষ্পিত সুষমায়।
	তীর্থ-সলিলে কৃষ্ণা
	দূর কর গো তৃষ্ণা
শ্যাম দরশ পরশ ব্যাকুলা হরষে গাহ গান (হে তপতী)।।