বাণী

উভয়ে	: 	ভালোবাসায় বাঁধব বাসা
			আমরা দু'টি মাণিক-জোড়।
			থাকব বাঁধা পাখায় পাখায়
			মাখামাখি প্রেম-বিভোর।। 
পুরুষ		:	আমার বুকে যত মধু
স্ত্রী		:	আমার বুকে ঢালবে বঁধু
পুরুষ		:	আমি 	কাঁদব যখন দুখে
স্ত্রী		:	আমি 	মুছাব সে নয়ন-লোর।।
পুরুষ		:	আমি	যদি কভু মনের ভুলে
				তোমায় প্রিয় থাকি ভুলে,
স্ত্রী		:	আমি	রইব তাতেই ফুলের মালায়
			লুকিয়ে যেমন থাকে ডোর।
উভয়ে	:	মোরা	নীল গগনের নীল স্বপনে
			চির-কালের চাঁদ-চকোর।। 

বাণী

লহ সালাম লহ, দ্বীনের বাদশাহ, জয় আখেরি নবী।
পীড়িত জনগণে মুক্তি দিতে এলে হে নবীকুলের রবি।।
	তুমি আসার আগে ধরার মজলুম
	করিত ফরিয়াদ, চোখে ছিল না ঘুম,
ধরার জিন্দানে, বন্দী ইনসানে আজাদি দিতে এলে হে প্রিয় আল-আরবি।।
	তব দামন ধরি’ যত গোনাহগার,
	মাগিল আশ্রয়, তুমিই করিবে পার।
	মানুষ ছিল আগে বন্য পশু প্রায়
	কাঁদিত পাপে তাপে অভাব ও বেদনায়,
শান্তি-দাতা রূপে সহসা এলে তুমি ফুটিল দুনিয়াতে নব বেহেশ্‌তের ছবি।।

বাণী

সহসা কি গোল বাঁধালো পাপিয়া আর পিকে
গোলাপ ফুলের টুকটুকে রঙ চোখে লাগে ফিকে।।
	নাই বৃষ্টি বাদল ওলো,
	দৃষ্টি কেন ঝাপসা হলো?
অশ্রু জলের ঝালর দোলে চোখের পাতার চিকে।।
পলাশ-কলির লাল আঁখরে বনের দিকে দিকে
গোপন আমার ব্যথার কথা কে গেল সই লিখে।
	মনে আমার পাইনে লো খেই;
	কে যেন নেই, কি যেন নেই।
কে বনবাস দিল আমার মনের বাসন্তীকে।।

বাণী

	মসজিদেরই পাশে আমার কবর দিও ভাই
	যেন গোরে থেকেও মোয়াজ্জিনের আজান শুন্‌তে পাই।।
	আমার গোরের পাশ দিয়ে ভাই নামাজীরা যাবে,
	পবিত্র সেই পায়ের ধ্বনি এ বান্দা শুনতে পাবে।
	গোর আজাব থেকে এ গুণাহ্‌গার পাইবে রেহাই।।
কত	পরহেজগার খোদার ভক্ত নবীজীর উম্মত,
	ঐ মস্‌জিদে করে রে ভাই কোরান তেলাওয়াৎ।
	সেই কোরান শুনে যেন আমি পরান জুড়াই।।
কত	দরবেশ ফকির রে ভাই মস্‌জিদের আঙিনাতে
	আল্লার নাম জিকির করে লুকিয়ে গভীর রাতে।
আমি	তাদের সাথে কেঁদে কেঁদে নাম জপ্‌তে চাই
	আল্লার নাম জপ্‌তে চাই।।

বাণী

	ওরে অবোধ আঁখি! আর কতদিন রইবি রূপে ভুলে।
	অরূপ সাগর দেখলি না তুই দাঁড়িয়ে রূপের কুলে।।
		যে সুন্দর চুপে চুপে
		লীলা করেন রূপে রূপে,
তুই	দেখলি না সেই অপরূপে রূপের দুয়ার খুলে।।

বাণী

মাধব বংশীধারী বনওয়ারী গোঠ-চারী গোবিন্দ কৃষ্ণ মুরারী।
গোবিন্দ কৃষ্ণ মুরারি হে পাপ-তাপ-দুখ-হারী।।
কালরূপ কভু দৈত্য-নিধনে, চিকন কালা কভু বিহর বনে,
কভু বাজাও বেণু, খেল ধেনু-সনে,
কভু বামে রাধা প্যারী, গোপ-নারী মনোহারি, নিকুঞ্জ-লীলা-বিহারী।।
কুরুক্ষেত্র-রণে পান্ডব-মিতা, কন্ঠে অভয়বাণী ভগবদ্-গীতা,
পূর্ণ ভগবান পরম পিতা, শঙ্খ-চক্র-গদাধারী,
পাপ-তারী, কান্ডারি ত্রিভুবন সৃজনকারী।।