বাণী

ঘন-ঘোর-মেঘ-ঘেরা দুর্দিনে ঘনশ্যাম ভূ-ভারত চাহিছে তোমায়।
ধরিতে ধরার ভার নাশিতে এ হাহাকার আরবার এসো এ ধরায়।।
		নিখিল মানবজাতি কলহ ও দ্বন্দ্বে
		পীড়িত শ্রান্ত আজি কাঁদে নিরানন্দে,
শঙ্খপদ্ম হাতে এ ঘোর তিমির-রাতে তিমির-বিদারী এসো অরুণ-প্রভায়।।
বিদূরিত কর এই নিরাশা ও ভয়, মানুষে মানুষে হোক প্রেম অক্ষয়।
কলিতে দলিতে এসো এই দুখ-পাপ-তাপ আন বর সুন্দর, শেষ হোক অভিশাপ,
গদা ও চক্র করে অরিন্দম এসো, হত-মার দুর্বল মাগিছে সহায়।।

বাণী

করিও ক্ষমা হে খোদা আমি গুণাহগার অসহায়।
কাজের মাঝে অবসর পাই না ডাকিতে তোমায়।।
যতবার তোমার পথে হে খোদা যেতে চেয়েছি
বাহির ভিতর হ’তে হাজারো বাধা পেয়েছি,
তোমার পথের দুশমন ঘরে-বাহিরে-দুনিয়ায়।।
দুঃখ-শোক-ব্যাধির তাড়নায় শুনিয়াও শুনিনি আজান,
বান্দার সে-অপরাধ করিও ক্ষমা হে রহমান।
আমি যে কাঙাল ভিখারি পুণ্যের পুঁজি নাহি
শূন্য হাতে আমারে ফিরায়ো না হে ইলাহি,
করো না নিরাশ যদিও শরণ যাচি অবেলায়।।

বাণী

ঈদ মোবারক ঈদ মোবারক
দোস্ত ও দুশমন পর ও আপন
সবার মহল আজ হউক রওনক।।
যে আছ দূরে যে আছ কাছে,
সবারে আজ মোর সালাম পৌঁছে।
সবারে আজ মোর পরান যাচে
সবারে জানাই এ দিল আশ্‌ক।।
এ দিল যাহা কিছু সদাই চাহে
দিলাম যাকাত খোদার রাহে
মিলিয়া ফকির শাহান্‌শাহে
এ ঈদগাহে গাহুক ইয়াহক্‌।
এনেছি শিরনি প্রেম পিয়ালার
এসো হে মোমিন কর হে ইফতার
প্রেমের বাঁধনে কর গেরেফ্‌তার
খোদার রহম নামিবে বেশক্‌।।

বাণী

ওরে ও নতুন ঈদের চাঁদ
তোমার হেরে হৃদয় সাগর আনন্দে উন্মাদ।।
তোমার রাঙা তশতরিতে ফিরদৌসের পরী
খুশির শিরনি বিলায় রে ভাই নিখিল ভুবন ভরি
খোদার রহম পড়ছে তোমার চাঁদনি রূপে ঝরি।
দুখ ও শোক সব ভুলিয়ে দিতে তুমি মায়ার ফাঁদ।।
তুমি আসমানে কালাম
ইশারাতে লেখা যেন মোহাম্মাদের নাম।
খোদার আদেশ তুমি জান স্মরণ করাও এসে
যাকাত দিতে দৌলত সব দরিদ্রেরে হেসে
শত্রুরে আজি ধরিতে বুকে শেখাও ভালবেসে।
তোমায় দেখে টুটে গেছে অসীম প্রেমের বাঁধ।।

বাণী

	ঢের কেঁদেছি ঢের সেধেছি, আর পারিনে, যেতে দে তাঁ’য়।
	গ’ল্‌ল না যে চোখের জলে গ’ল্‌বে কি সে মুখের কথায়।।
		যে চ’লে যায় হৃদয় দ’লে
		নাই কিছু তার হৃদয় ব’লে,
	তারে মিছে অভিমানের ছলে — ডাক্‌তে আরো বাজে ব্যথায়।।
		বঁধুর চ’লে যাওয়ার পরে
		কাঁদব লো তার পথে প’ড়ে,
তার	চরণ-রেখা বুকে ধ’রে — শেষ করিব জীবন সেথায়।।

বাণী

কে হেলে দুলে চলে এলোচুলে
হেসে নদীকুলে এলো হেলে দুলে!
	নূপুর রিনিকি ঝিনি বাজে রে
	পথ-মাঝে রে, বাজে রে।।
দূরে মন উদাসি বাজে বাঁশের বাঁশি,
	বকুল-শাখে পাপিয়া ডাকে —
হেরিয়া বুঝি এই বন-বালিকায়
	রঙিন সাজে রে, বাজে রে।।
	এ বুঝি নদীর কেউ
তাই অধীর হলো জলে ঢেউ।
	চন্দন-মাখা যেন চাঁদের পুতলি,
	যত চলে তত রূপ ওঠে উথলি
মেঘে লুকালো পরী লাজে রে, বাজে রে
	পথ-মাঝে রে, বাজে রে।।