আজি অলি ব্যাকুল ওই বকুলের ফুলে
বাণী
আজি অলি ব্যাকুল ওই বকুলের ফুলে কত আদরে টানি, চুমে বদনখানি ফুলকলি লাজে পড়ে বুকে ঢুলে ঢুলে।। আসে ফুল-বধূ, বুকে ভরা মধু হাসে ভ্রমর-বঁধু কলি সনে দুলে দুলে।। সোহাগে গুনগুনিয়ে সব কথা তার কইতে বাকি সলাজ ফুল-কুমারীর ঘোমটাখানি খুলতে বাকি, গোপনে গোপন বুকের সুধাটুকু লুটতে বাকি, না কওয়া যত কথা কানে কানে বলে খুলে।।
পদ্মদীঘির ধারে ধারে ঐ
বাণী
পদ্মদীঘির ধারে ধারে ঐ সখি লো কমল-দীঘির পারে। আমি জল নিতে যাই সকাল সাঁঝে সই, সখি, ছল ক'রে সে মাছ ধরে, আর, চায় সে বারে বারে।। মাছ ধরে সে, বঁড়শী আমার বুকে এসে বেঁধে, ওলো সই বুকে এসে বেঁধে, আর, চোখের জল কলসি আমার সই, আমি ভরাই কেঁদে কেঁদে সই যত দেখি তা'রে।। ছিপ নিয়ে যায় মাছ জলে তার (ওলো সই) তাকায় না তা’র পানে মন ধরে না মীন ধরে সে সখি লো সেই জানে। মন-ভিখারি মীন-শিকারি মুখের পানে চায়, সখি লো চোখের পানে চায়, আমি বঁড়শী-বেঁধা মাছের মত (গো) সখি ছুটিয়া মরি হায়, অকূল পাথারে।।
তেমনি চাহিয়া আছে
বাণী
তেমনি চাহিয়া আছে নিশীথের তারাগুলি। লতা-নিকুঞ্জে কাঁদে আজও বন-বুলবুলি — ফিরে এসো, ফিরে এসো প্রিয়তম।। ঘুমায়ে পড়েছে সবে, মোর ঘুম নাহি আসে তুমি যে ঘুমায়ে ছিলে সেদিন আমার পাশে, সাজানো সে-গৃহ তব ঢেকেছে পথের ধূলি — ফিরে এসো, ফিরে এসো প্রিয়তম।। আমার চোখের জলে মুছে যায় পথ-রেখা রোহিণী গিয়াছে চলি’, চাঁদ কাঁদে একা একা, কোন্ দূর তারা-লোকে কেমনে রয়েছে ভুলি’ — ফিরে এসো, ফিরে এসো প্রিয়তমা।।
ইয়া রাসুলুল্লাহ মোরে রাহ্ দেখাও
বাণী
ইয়া রাসুলুল্লাহ! মোরে রাহ্ দেখাও সেই কাবার। যে কাবা মসজিদে গেলে পাব আল্লার দিদার।। দ্বীন দুনিয়া এক হয়ে যায় যে কাবার ফজিলতে, যে কাবাতে হাজি হ’লে রাজি হন পরওয়ারদিগার।। যে কাবার দুয়ারে জামে তৌহিদ দেন হজরত আলী, যে কাবায় কুল্-মাগফেরাতে কর তুমি ইন্তেজার।। যে কাবাতে গেলে দেখি আরশ কুর্সি লওহ কালাম, মরণে আর ভয় থাকে না, হাসিয়া হয় বেড়া পার।।