বাণী

নয়নে নিদ নাহি।
নিশীথ-প্রহর জাগি, একাকিনী গান গাহি।।
কোথা তুমি কোন দূরে, ফিরিয়া কি আসিবে না,
তোমার সাজানো বনে ফুটিয়া ঝরিল হেনা —
কত মালা গাঁথি, কত আর পথ চাহি।।
কত আশা অনুরাগে হৃদয় দেউলে রেখে
পূজিনু তোমারে পাষাণ, কাঁদিলাম ডেকে ডেকে।
এস অভিনামি ফিরে, নিরাশায় এ তিমিরে
			চাঁদের তরণী বাহি’।।

বাণী

স্বপনেএসেছিল মৃদু-ভাষিণী
মৃদু-ভাষিণী মধু-হাসিনী।
রূপের তৃষা মোর রূপ ধ'রে এসেছিল
কল্পনা মনোবন-বাসিনী।।
যে পরম সুন্দর আছে মোর অন্তরে
তারি অভিসারে আসে উদাসিনী।।

বাণী

কে দুরন্ত বাজাও ঝড়ের ব্যাকুল বাঁশি
আকাশ কাঁপে সে সুর শুনে সর্বনাশী।।
	বন ঢেলে দেয় উজাড় ক'রে
	ফুলের ডালা চরণ' পরে,
নীল গগনে ছুটে আসে মেঘের রাশি।।
বিপুল ঢেউয়ের নাগর-দোলায় সাগর দুলে
বান ডেকে যায় শীর্ণা নদীর কুলে কূলে
	তোমার প্রলয় মহোৎসবে
	বন্ধু ওগো, ডাকবে কবে?
ভাঙবে আমার ঘরের বাঁধন কাঁদন হাসি।।

বাণী

শিউলি তলায় ভোর বেলায় কুসুম কুড়ায় পল্লী-বালা।
শেফালি পুলকে ঝ’রে পড়ে মুখে খোঁপাতে চিবুকে আবেশ-উতলা।।
		ঘোম্‌টা খুলিয়া তার পিঠে লুটায়
		শিথিল কবরী লুটিছে পায়,
নৃত্যের ভঙ্গে ফুল তোলে রঙ্গে, আধো আঁধার বন তার রূপে উজালা।।
নিলাজ পাঁয়জোরে তার ওঠে ঝঙ্কার রিনিঝিনি, মন কয় চিনি চিনি
		এ কি গো বন-দেবীর সতিনী
শিশির ধরে’ পায় আল্‌তার রঙ্‌ চায় পাখি তারি গান গায় বনে নিরালা।।

বাণী

দূর বেণুকুঞ্জে বাজে মুরলী মুহু মুহু
	যেন বারে বারে
	ডাকে আমারে
বাঁশুরিয়ার মধুর সুরের কুহু।।

বাণী

জাগত সোওত আঁঠু জাম রাহত প্রভু মনমে তুমহারে ধ্যান।
রাত আধেঁরি মে চাঁদ সমান প্রভু উজ্জ্বল কর মেরা প্রাণ।।
এক সুর বোলে ঝিওর সারি রাত
এ্যায়সে হি জপত হুঁ তেরা নাম হে নাথ,
রুম রুম মে রম রহো মেরে এক তুমহারা গান।।
গয়ি বন্ধু কুটুম স্বজন
ত্যজ দিনু ম্যায় তুমহারে কারণ,
তুমহো মেরে প্রাণ-আধারণ, দাসী তুমহারী আন।।