বাণী

কে এলে মোর চিরচেনা অতিথি দ্বারে মম।
ফুলের বুকে মধুর মত পরাগে সুবাস সম।।
	বর্ষা-শেষে চাঁদের মতন
	উদয় তোমার নীরব গোপন,
জোছনা-ধারায় নিখিল ভুবন ছাইয়া অনুপম।।
	হৃদয় বলে, চিনি চিনি
	আঁখি বলে দেখিনি,
তায়, মন বলে, প্রিয়তম।।

বাণী

ভারত শ্মশান হ’ল মা, তুই শ্মশানবাসিনী ব’লে।
জীবন্ত-শব নিত্য মোরা, চিতাগ্নিতে মরি জ্ব’লে।।
আজ হিমালয় হিমে ভরা,
দারিদ্র্য-শোক-ব্যাধি-জরা,
নাই যৌবন, যেদিন হতে শক্তিময়ী গেছিস্ চ’লে।।
(মা) ছিন্নমস্তা হয়েছিস্ তাই হানাহানি হয় ভারতে,
নিত্য-আনন্দিনী, কেন টানিস্ নিরানন্দ পথে?
শিব-সীমন্তিনী বেশে
খেল্ মা আবার হেসে হেসে,
ভারত মহাভারত হবে, আয় মা ফিরে মায়ের কোলে।।

বাণী

গুঞ্জা-মঞ্জরি-মালা।
অঞ্চলে শুকায় অভিমানে কালা।।
সহিতে পারি না আর তোমার বিরহ
ধর গিরিধারী মোর বেদনা অসহ,
ভোলাও নীরদ-ঘন-শ্যাম-কৃষ্ণ! তৃষ্ণার জ্বালা।।

বাণী

পরমাত্মা নহ তুমি মোর (তুমি) পরমাত্মীয় মোর।
হে বিপুল বিরাট! মোর কাছে তুমি, প্রিয়তম চিতচোর॥
তোমারে যে ভয় করে হে বিশ্বত্রাতা
তার কাছে তুমি রুদ্র দন্ডদাতা,
প্রেমময় বলে তোমারে যে বাসে ভালো
তার কাছে তুমি মধুর লীলা কিশোর॥
দ্যাখে ভীরু চোখ আষাঢ়ের মেঘে বজ্র তব বিপুল,
মোর মালঞ্চে সেই মেঘে হেরি, ফোটায় নবমুকুল।
আকাশের নীল অসীম পদ্ম পরে
চরণ রেখেছ, হে মহান লীলা ভরে
সেই অনন্ত জানি না কেমন ক’রে
আমার হৃদয়ে খেল দিবানিশি ভোর॥

বাণী

শঙ্কর অঙ্গলীনা যোগ মায়া শঙ্করী শিবানী।
বালিকা-সম লীলাময়ী নীল-উৎপল-পাণি।।
	সজল-কাজল-ঝর্না
	মুকত বেণী অপর্ণা,
তিমির বিভাবরী স্নিগ্ধা শ্যামা কালিকা ভবানী।।
প্রলয় ছন্দময়ী চন্ডী শব্দ-নূপুর-চরণা,
শাম্ভবী শিব-সীমন্তিনী শঙ্করাভরণা।
	অম্বিকা দুঃখহারিণী
	শরণাগত-তারিণী,
জগদ্ধাত্রী শান্তিদাত্রী প্রসীদ মা ঈশানী।।

বাণী

আমি	কুল ছেড়ে চলিলাম ভেসে বলিস ননদীরে সই, বলিস ননদীরে।
	শ্রীকৃষ্ণ নামের তরণীতে প্রেম-যমুনার তীরে বলিস ননদীরে
				সই, বলিস্‌ ননদীরে।।
	সংসারে মোর মন ছিল না, তবু মানের দায়ে
আমি	ঘর করেছি সংসারেরি শিকল বেঁধে পায়ে
	শিক্‌লি-কাটা পাখি কি আর পিঞ্জরে সই ফিরে।।
	বলিস গিয়ে কৃষ্ণ নামের কলসি বেঁধে গলে
	হডুবেছে রাই কলঙ্কিনী কালিদহের জলে।
	কলঙ্কেরই পাল তুলে সই, চললেম অকূল-পানে
	নদী কি সই, থাকতে পারে সাগর যখন টানে।
	রেখে গেলাম এই গোকুলে কুলের বৌ-ঝিরে।।