কিশোর রাখাল বেশে মেষ চারণে যায় নবী
বাণী
কিশোর রাখাল বেশে মেষ চারণে যায় নবী নীল রেশমি রুমাল বেঁধে তার চারু-চাঁচর কেশে। তাঁর রাঙা পদতলে পুলকে ধরা টলে তাঁর রূপ -লাবনির ঢলে মরুভূমি গেল ভেসে।। তাঁর মুখে রহে চাহি মেষ-শিশু তৃণ ভুলি' বিশ্বের শাহানশাহ আজ মাখে গোঠের ধূলি, তাঁর চরণ-নখরে কোটি চাঁদ কেঁদে মরে তাঁর ছায়া ক'রে চলে আকাশে মেঘ এসে।। কিশোর নবী গোঠে চলে তাঁর চরণ-ছোঁয়ায় পথের পাথর মোম হয়ে যায় গ'লে তসলিম জানায় পাহাড় চরণে ঝুকে তাঁহার। নারাঙ্গি,আঙুর,খরজুর,পায়ে নজরানা দেয় হেসে।।
এলো ঐ বনান্তে পাগল বসন্ত
বাণী
এলোঐ বনান্তে পাগল বসন্ত বনে বনে মনে মনে রং সে ছড়ায় রেচঞ্চল তরুণ দুরন্ত।। বাঁশীতে বাজায় সে বিধুর পরজ বসন্তের সুর পান্ডু কপোলে জাগে রঙ নব অনুরাগে রাঙা হ’ল ধূসর দিগন্ত।। কিশলয়ে পর্ণে অশান্ত ওড়ে তার অঞ্চল প্রান্ত পলাশ কলিতে তার ফুল ধনু লঘু ভার ফুলে ফুলে হাসি অফুরন্ত।। এলোমেলো দখিনা মলয় রে প্রলাপ বকিছে বনময় রে অকারণ মন-মাঝে বিরহের বেণু বাজে জেগে ওঠে বেদনা ঘুমন্ত।।
ঝলমল জরীণ বেণী দুলায়ে
বাণী
ঝলমল জরীণ বেণী দুলায়ে প্রিয়া কি এলে সজল শাওন-মেঘে কাজল নয়ন মেলে।। কেয়া ফুলের পরিমল, ঝুরে মরে তব পথে, হেরি দীঘল তব তনু তাল পিয়াল তরু পড়ে হেলে’।। পরিবে বলিয়া খোঁপায় ঝরিছে বকুল চাঁপা তোমায় খুঁজিছে আকাশ তারার প্রদীপ জ্বেলে।। তোমারি লাবনি প্রিয়া ঝরিছে শ্যামল মেঘে, ফুটালে ফুল মরুভূমে চঞ্চল চরণ ফেলে।।