আমার হৃদয় হবে রাঙাজবা দেহ বিল্বদল,
মুক্তি পাবো ছুঁয়ে মুক্তকেশীর চরণতল॥
মোর বলির পশু হবে সর্বকাম,
মোর পূজার মন্ত্র হবে মায়ের নাম,
মোর অশ্রু দেবো মা’র চরণে সেই তো গঙ্গাজল॥
মোর আনন্দ মাকে দেবো তাই হবে চন্দন,
মোর পুষ্পাঞ্জলি হবে আমার প্রাণ মন।
মোর জীবন হবে আরতি-দীপ,
মোর গুরু হবেন শঙ্কর-শিব,
মোর কাঁটার জ্বালা পদ্ম হবে শুভ্র সুনির্মল॥
উভয় : মোর মন ছুটে যায় দ্বাপর যুগে দূর দ্বারকায় বৃন্দাবনে।
স্ত্রী+উভয়ে : মোর মন হ’তে চায় ব্রজের রাখাল খেলতে রাখাল-রাজার সনে॥
স্ত্রী : রূপ ধরে না বিশ্বে যাহার
দেখতে সাধ যায় কিশোর-রূপ তার
পুরুষ : কেমন মানায় নরের রূপে অনন্ত সেই নারায়ণে॥
স্ত্রী : সাজ্ত কেমন শিখী-পাখা বাজ্ত কেমন নূপুর পায়ে,
পুরুষ : থির কেমনে থাক্ত ধরা নাচ্ত যখন তমাল-ছায়ে।
উভয় : মা যশোদা বাঁধ্ত যখন কাঁদ্ত ভগবান কেমনে॥
স্ত্রী : সাজ্ত কেমন বন-মালায় বিশ্ব যাহার অর্ঘ্য সাজায়;
পুরুষ : যোগী-ঋষি পায় না ধ্যানে গোপ-বালা কেমনে পায়।
উভয় : তেম্নি ক’রে কালার প্রেমে সব খোয়াব এই জীবনে॥
ওরে আলয়ে আজ মহালয়া মা এসেছে ঘর।
তোরা উলু দে রে, শঙ্খ বাজা, প্রদীপ তুলে ধর্।।
(এলো মা, আমার মা)
মাকে ভুলে ছিলাম ওরে
কাজের মাঝে মায়ার ঘোরে,
আজ বরষ পরে মাকে ডাকার মিলল অবসর।।
মা ছিল না ব’লে সবাই গেছে পায়ে দ’লে,
মার খেয়েছি যত তত ডেকেছি মা ব’লে।
মা এসেছে ছুটে রে তাই
ভয় নাইরে আর ভয় নাই,
মা অভয়া এনেছে রে দশ হাতে তাঁর বর।।