জহরত পান্না হীরার বৃষ্টি
বাণী
পুরুষ : জহরত পান্না হীরার বৃষ্টি তব হাসি-কান্না চোখের দৃষ্টি তারও চেয়ে মিষ্টি মিষ্টি মিষ্টি॥ স্ত্রী : কান্না-মেশানো পান্না নেবো না, বঁধু। এই পথেরই ধূলায় আমার মনের মধু করে হীরা মানিক সৃষ্টি মিষ্টি আরো মিষ্টি॥ পুরুষ : সোনার ফুলদানি কাঁদে লয়ে শূন্য হিয়া এসো মধু-মঞ্জরি মোর! এসো প্রিয়া, প্রিয়া! স্ত্রী : কেন ডাকে বউ কথা কও, বউ কথা কও, আমি পথের ভিখারিনী গো, নহি ঘরের বউ। কেন রাজার দুলাল মাগে মাটির মউ। বুকে আনে ঝড়, চোখে বৃষ্টি তার সকরুণ দৃষ্টি তবু মিষ্টি॥
সিনেমাঃ চৌরঙ্গী
আমি গগন গহনে সন্ধ্যা-তারা
বাণী
আমি গগন গহনে সন্ধ্যা-তারা কনক গাঁদার ফুল গো। গোধূলির শেষে হেসে উঠি আমি এক নিমেষের ভুল গো। আমি কণিকা, আমি সাঁঝের অধরে ম্লান আনন্দ-কণিকা আমি অভিমানিনীর খুলে ফেলে দেওয়া মণিকা আমি দেব-কুমারীর দুল গো।। আলতা রাখার পাত্র আমার আধখানা চাঁদ ভাঙা তাহারি রং গড়িয়ে পরে (ঐ) অস্ত-আকাশ রাঙা। আমি একমুঠো আলো কৃষ্ণা-সাঁঝের হাতে আমি নিবেদিত ফুল আকাশ-নদীতে রাতে ভাসিয়া বেড়াই যাঁর উদ্দেশে গো তার পাই না চরণ-মূল।।
পথে কি দেখলে যেতে আমার
বাণী
পথে কি দেখলে যেতে আমার গৌর দেবতারে। যা’রে কোল যায় না দেওয়া, কোল দেয় সে ডেকে তারে।। নবীন সন্ন্যাসী সে রূপে তার পাগল করে আঁখির ঝিনুকে তা’র অবিরল মুক্তা ঝরে। কেঁদে সে কৃষ্ণের প্রেম ভিক্ষা মাগে দ্বারে দ্বারে।। জগতের জগাই-মাধাই মগ্ন যারা পাপের পাঁকে সকলের পাপ নিয়ে সে সোনার গৌর-অঙ্গে মাখে। উদার বক্ষে তাহার ঠাঁই দেয় সকল জাতে দেখেছ প্রেমের ঠাকুর সচল জগন্নাথে? একবার বললে হরি যায় নিয়ে সে ভবপারে।।
ফিরে এলো সেই কৃষ্ণাষ্টমী তিথি
বাণী
ফিরে এলো সেই কৃষ্ণাষ্টমী তিথি, হে শঙ্খচক্রধারী! তোমার মাভৈঃ অভয় আকাশবাণী, কেন নাহি শুনি? হে মুরারি!! সেই ঘনঘটা দুর্যোগ-নিশি নিরাশা-আঁধারে ঢাকা দশদিশি; গগনে তেমনি ঘোর দুন্দুভি বাজে, ঝরে তেমনি অশ্রু-বারি।। আজো মানুষের আত্মা তেমনি কাঁদে আশা-যমুনার দুই পারে, এ-পারে দেবকী ও-পারে যশোদা আজো ডাকে মুক্তির বিধাতারে। আবার প্রেমের বংশী বাজাও, এই হানাহানি হিংসা ভুলাও, আর্ত-কলির গানের এ শেষ-কলি দাও শেষ করে ব্যথাহারী।।