বাণী

নিশিদিন জপে খোদা দুনিয়া জাহান — জপে তোমারি নাম।
তারায় গাঁথা তস্‌বি ল’য়ে নিশীতে আসমান — জপে তোমারি নাম।।
	ফুলের বনে নিতি গুঞ্জরিয়া
	ভ্রমর বেড়ায় তব নাম জপিয়া,
হাতে ল’য়ে ফুলকুঁড়ির তস্‌বি ফুলের বাগান — জপে তোমারি নাম।।
	সাঁঝ সকালে কোকিল পাপিয়া
	মধুর তব নাম ফেরে গাহিয়া,
ছল ছল সুরে ঝর্নার ধারা নদীর কলতান — জপে তোমারি নাম।।
	বৃষ্টি ধারার তস্‌বি ল’য়ে
	তব নাম জপে মেঘ ব্যাকুল হয়ে,
সাগর-কল্লোল, সমীর-হিল্লোল বাদল ঝড়-তুফান — জপে তোমারি নাম।।

বাণী

ডাল মেল, পত্র মেল, ওরে তরুলতা!
কইতে পার, কইতে পার আমার প্রাণের বন্ধু গেল কোথা (রে)।।
	ও তরু, তোর পাতার কোলে
	ফোটা ফুলের হাসি দোলে (রে)।
সে কি তোর কুসুমের মালা গলে বসেছিল হোথা (রে)।।
	তোর ফুল ঝরে যে যথা
	তোর ছায়া থাকে যথা।
ঢেউ-এর মালা গলায় পরে নাচিস নদী জল,
তরী বেয়ে বন্ধু আমার কোথায় গেল বল।
	চাঁদের তিলক প’রে আকাশ
	হেসে হেসে কেন তাকাস্?
তোর চাঁদ কি জানে, মোর আকাশের চাঁদেরই বারতা।।

বাণী

জাগো — জাগো বধূ নব-বাসরে।
গৃহ-দীপ জ্বালো কল্যাণ-করে।।
ভুবনের ছিলে, এলে ভবনে
স্বপন হ’তে এলে জাগরণে,
শ্রীমতী আসিলে শ্রী হীন ঘরে।।
স্বপন-বিহারিণী অকুণ্ঠিতা
পরিলে গুণ্ঠন সলাজ ভীতা’,
কমলা আসিলে কাঁকন প’রে।।

বাণী

মা এলো রে, মা এলো রে, বরষ পরে আপন ছেলের ঘরে
সাত কোটি ভাই বোন মিলিয়া আজি ডাকি আকুল স্বরে (মাগো আনন্দময়ী)
মা এসেছে! মা এসেছে! আকাশ-পাতাল ‘পরে
আনন্দ তাই ধরে না যে আজকে থরে থরে
শিউলি ফুলের মত আজ আনন্দ গান করে।।
কমল-মুকুল-শাপ্‌লা বনে ভ্রমর শোনায় গীতি —
জাগো জাগো, আজকে মোদের আগমনীর তিথি;
জল-তরঙ্গ বেজে ওঠে নদীর বালুচরে।।
বুকের মাঝে বাঁশি বাজে অঝোর কলরোলে,
দূর-প্রবাসী কাজ ভুলে আয় আপন মায়ের কোলে;
আজকে পেলাম মাকে যেন কত যুগের পরে।।

বাণী

সো’জা সো’জা সো’জা জগ নরনারী
বাদল গ্যর‍্যজো বিজলি চ্যম্যকে
র‍্যজ্যনী হো রহ্ আঁধিয়ারী।।

নাটিকাঃ ‘জন্মষ্টমী’

বাণী

শাদী মোবারকবাদী শাদী মোবারক।
দেয় মোবারক-বাদ আলম রসুলে-পাক আল্লা হক।।
	আজ এ খুশির মাহফিলে
	দুলহা ও দুলহিনে মিলে
	মিলন হল প্রাণে প্রাণে
		মাশুক আর আশক।।
	আউলিয়া আম্বিয়া সবে
	এসো এ মিলন-উৎসবে,
	দোয়া কর আজ এ খুশির
		গুলিস্তান গুলজার হোক।।

নাটিকাঃ‘পুতুলের বিয়ে’