এ আঁখি জল মোছ পিয়া
বাণী
এ আঁখি জল মোছ পিয়া ভোলো ভোলো আমারে। মনে কে গো রাখে তারে (ওগো) ঝরে যে ফুল আঁধারে।। ফোটা ফুলে ভরি’ ডালা গাঁথ বালা মালিকা, দলিত এ ফুল লয়ে, (ওগো) দেবে গো বল কারে।। স্বপনের স্মৃতি প্রিয় জাগরণে ভুলিও, ভুলে যেয়ো দিবালোকে রাতের আলেয়ারে। ঘুমায়েছ সুখে তুমি সে কেঁদেছে জাগিয়া, তুমি জাগিলে গো যবে সে ঘুমায়ে ওপারে।।
এসো মা দশভুজা
বাণী
এসো মা দশভুজা দশহাতে কল্যাণ আন দশভুজা মৃত্যুঞ্জয় ঘরনী! মৃতজনে অমৃত দান। নিরাশ প্রাণে দাও আশা মূকজনে দাও ভাষা আঁধার মহিষাসুর বুকে আলোর ত্রিশূল হান॥ দেও জয় বরাভয়, শক্তি, তেজ, প্রেম, প্রীতি দনুজদলনী! শাপ মুক্ত কর ক্ষিতি, এলে যদি আর বার মাগো ভক্তের হৃদি মাঝে জাগো দুঃখ শোক আর দিও না গো তারিণী সন্তানে ত্রাণ॥
এলো ফুলের মহলে ভ্রমরা
বাণী
এলো ফুলের মহলে ভ্রমরা গুন্গুনিয়ে। ও-সে কুঁড়ির কানে কানে কি কথা যায় শুনিয়ে।। জামের ডালে কোকিল কোতুহলে আড়ি পাতি’ ডাকে কূ কূ ব’লে, হাওয়ায় ঝরা পাতার নূপুর বাজে রুন্ঝুনিয়ে।। ‘ধীরে সখা ধীরে’ কয় লতা দু’লে, জাগিও না কুঁড়িয়ে কাঁচা ঘুমে তুলে, গেয়ো না গুন্ গুন্ গুন্ গুন্ গুন্ গুন্ সুরে প্রেমে ঢুলে ঢুলে।’ নিলাজ ভোম্রা বলে, ‘না-না-না-না’, ফুল দুলিয়ে।।
এই দেহেরই রঙমহলায় খেলিছেন
বাণী
এই দেহেরই রঙমহলায় খেলিছেন লীলা-বিহারী। মিথ্যা মায়া নয় এ কায়া কায়ায় হেরি ছায়া তাঁরি।। রূপের রসিক রূপে রূপে খেলে বেড়ায় চুপে চুপে, মনের বনে বাজায় বাঁশি মন-উদাসী বন-চারী।। তার খেলা-ঘর তোর এ দেহ সে ত নহে অন্য কেহ সে যে রে তুই, — তবু মোহ ঘুচল না তোর হায় পূজারি।। খুঁজিস্ তারে ঠাকুর-পূজায় উপাসনায় নামাজ রোজায়, চাল কলা আর সিন্নি দিয়ে ধর্বি তারে হায় শিকারি! পালিয়ে বেড়ায় মন-আঙিনায় সে যে শিশু প্রেম-ভিখারি।।
এসো এসো পাহাড়ি ঝর্ণা মেঘ সজল
বাণী
এসো এসো পাহাড়ি ঝর্ণা মেঘ সজল কাজল বর্ণা এসো জল ছিটিয়ে ফুল ফুটিয়ে এসো।। উপল নুড়িতে কাঁকন চুড়িতে রিনি ঠিনি ছন্দে বন্য আনন্দে এসো এসো ছলছল ঝলমল আঁচল লুটিয়ে এসো।। তৃষ্ণায় ডাকে কূলে কূলে হরিণী আনো কৃষ্ণার জল নির্ঝরিণী। ফুলবনে ভ্রমর দল জুটিয়ে এসো।। এসো তপ্ত ধরার বক্ষে, শান্তি ধারা আনো চক্ষে শীতল হোক খরতর বায়ু, নির্জীব প্রান্তরে আনো পরমায়ু এসো পাষাণ-কারারঘুম টুটিয়ে এসো।।
নাটকঃ‘মদিনা’