বাণী

একেলা গোরী জল্‌কে চলে গঙ্গাতীর
অঙ্গে ঢুলিয়া পড়ে লালসে অলস সমীর।।
কাঁকনে কলসে বাজে
কত কথা পথ মাঝে
		আঁচল চুমিছে শিশির।।
তটিনীতে চলে কি গো
সোনার বরণ মায়া-মৃগ
		নয়নে আবেশ মদির।।

বাণী

এই সুন্দর ফুল সুন্দর ফল মিঠা নদীর পানি
		খোদা তোমার মেহেরবানী।
শস্য-শ্যামল ফসল-ভরা মাঠের ডালিখানি
		খোদা তোমার মেহেরবানী।।
	তুমি কতই দিলে রতন
	ভাই বেরাদর পুত্র স্বজন
ক্ষুধা পেলেই অন্ন জোগাও মানি চাই না মানি।।
খোদা তোমার হুকুম তরক করি আমি প্রতি পায়
তবু আলো দিয়ে বাতাস দিয়ে বাঁচাও এ বান্দায়।
	শ্রেষ্ঠ নবী দিলে মোরে
	তরিয়ে নিতে রোজ-হাশরে
পথ না ভুলি তাইতো দিলে পাক কোরানের বাণী।।

বাণী

এই দেহেরই রঙমহলায় খেলিছেন লীলা-বিহারী।
মিথ্যা মায়া নয় এ কায়া কায়ায় হেরি ছায়া তাঁরি।।
	রূপের রসিক রূপে রূপে
	খেলে বেড়ায় চুপে চুপে,
মনের বনে বাজায় বাঁশি মন-উদাসী বন-চারী।।
	তার খেলা-ঘর তোর এ দেহ
	সে ত নহে অন্য কেহ
সে যে রে তুই, — তবু মোহ ঘুচল না তোর হায় পূজারি।।
	খুঁজিস্ তারে ঠাকুর-পূজায়
	উপাসনায় নামাজ রোজায়,
চাল কলা আর সিন্নি দিয়ে ধর্‌বি তারে হায় শিকারি!
পালিয়ে বেড়ায় মন-আঙিনায় সে যে শিশু প্রেম-ভিখারি।।

বাণী

একাকিনী বিরহিণী জাগি আধো রাতে।
বঁধু নাহি পাশে, নিদ নাহি আসে,
কণ্টক ফোটে হায় ফুল-বিছানায়।
আবার ফুটিবে ফুল উঠিবে চাঁদ,
আমারি মনের হায় মিটিল না সাধ,
যামিনীর ফুল যেন এ রূপ-যৌবন
নিশীথে ফুটিয়া লাজে ঝ’রে যায় প্রাতে।।

নাটক : ‘দেবী দুর্গা’

বাণী

এ দেবদাসীর পূজা লহ হে ঠাকুর।
দয়া কর, কথা কও, হ’য়ো না নিঠুর।।
লহ মান অভিমান, দেহ প্রাণ মন
মম প্রেম-ধূপ নাও রূপচন্দন,
এই লহ আভরণ, চুড়ি-কঙ্কন –
চোখের দৃষ্টি নাও কণ্ঠের সুর।।
আজ, শেষ ক’রে আপনারে দিব তব পায়,
চাও চাও মোর কাছে যাহা সাধ যায়।
কহিবে না কথা কি গো তুমি কিছুতেই?
আরতির থালা তবে ফেলে দিনু এই,
নাচিব না, বাজুক না মৃদঙ্গ তাল –
খুলিয়া রাখিনু এই পায়ের নূপুর।।

বাণী

এ কি এ মধু শ্যাম-বিরহে।
হৃদি-বৃন্দাবনে নিতি রসধারা বহে।।
	গভীর বেদনা মাঝে
	শ্যাম-নাম-বীনা বাজে
প্রেমে মন মোহে যত ব্যথায় প্রাণ দহে।।