এলো এলো রে ঐ সুদূর বন্ধু এলো
বাণী
এলো এলো রে ঐ সুদূর বন্ধু এলো। এলো পথ চাওয়া এলো হারিয়ে পাওয়া মনের আঁধার দূরে গেল, ঐ বন্ধু এলো।। এলো চঞ্চল বন্যার ঢল মন্থর স্রোত-নীড়ে, এলো শ্যামল মেঘ-মায়া তৃষিত গগন ঘিরে; তার পলাতকা মৃগে বন ফিরে পেল।। এলো পবনে বিহ্বল চঞ্চলতা যেন শান্ত ভবনে এলো সারা ভুবনের কল-কথা। অলি গুঞ্জরি’ কয় জাগো বনবীথি; ডাকে দখিনা মলয় — এলো এলো অতিথি; বাজে তোরণ দ্বারে বাঁশরি গীতি, দুখ নিশি পোহাল, আঁখি মেল।।
নাটিকা: ‘বাসন্তিকা’
এসো এসো পাহাড়ি ঝর্ণা মেঘ সজল
বাণী
এসো এসো পাহাড়ি ঝর্ণা মেঘ সজল কাজল বর্ণা এসো জল ছিটিয়ে ফুল ফুটিয়ে এসো।। উপল নুড়িতে কাঁকন চুড়িতে রিনি ঠিনি ছন্দে বন্য আনন্দে এসো এসো ছলছল ঝলমল আঁচল লুটিয়ে এসো।। তৃষ্ণায় ডাকে কূলে কূলে হরিণী আনো কৃষ্ণার জল নির্ঝরিণী। ফুলবনে ভ্রমর দল জুটিয়ে এসো।। এসো তপ্ত ধরার বক্ষে, শান্তি ধারা আনো চক্ষে শীতল হোক খরতর বায়ু, নির্জীব প্রান্তরে আনো পরমায়ু এসো পাষাণ-কারারঘুম টুটিয়ে এসো।।
নাটকঃ‘মদিনা’
এলো ফুলের মহলে ভ্রমরা
বাণী
এলো ফুলের মহলে ভ্রমরা গুন্গুনিয়ে। ও-সে কুঁড়ির কানে কানে কি কথা যায় শুনিয়ে।। জামের ডালে কোকিল কোতুহলে আড়ি পাতি’ ডাকে কূ কূ ব’লে, হাওয়ায় ঝরা পাতার নূপুর বাজে রুন্ঝুনিয়ে।। ‘ধীরে সখা ধীরে’ কয় লতা দু’লে, জাগিও না কুঁড়িয়ে কাঁচা ঘুমে তুলে, গেয়ো না গুন্ গুন্ গুন্ গুন্ গুন্ গুন্ সুরে প্রেমে ঢুলে ঢুলে।’ নিলাজ ভোম্রা বলে, ‘না-না-না-না’, ফুল দুলিয়ে।।
এবার নবীন-মন্ত্রে হবে জননী তোর উদ্বোধন
বাণী
এবার নবীন-মন্ত্রে হবে জননী তোর উদ্বোধন। নিত্যা হয়ে রইবি ঘরে, হবে না তোর বিসর্জন।। সকল জাতির পুরুষ-নারীর প্রাণ সেই হবে তোর পূজা-বেদী মা তোর পীঠস্থান: সেথা শক্তি দিয়ে ভক্তি দিয়ে পাতবে মা তোর সিংহাসন।। সেথা রইবে নাকো ছোয়াছুয়ি উচ্চ-নীচের ভেদ, সবাই মিলে উচ্চারির মাতৃ-নামের বেদ। মোরা এক জননীর সন্তান সব জানি, ভাঙব দেয়াল, ভুলব হানাহানি দীন-দরিদ্র রইবে না কেউ সমান হবে সর্বজন, বিশ্ব হবে মহাভারত, নিত্য-প্রেমের বৃন্দাবন।।