এলো ঈদল-ফেতর এলো
বাণী
এলো ঈদল-ফেতর এলো ঈদ ঈদ ঈদ। সারা বছর যে ঈদের আশায় ছিল নাক’ নিদ।। রোজা রাখার ফল ফ’লেছে দেখ রে ঈদের চাঁদ, সেহরী খেয়ে কাটল রোজা, আজ সেহেরা বাঁধ, ওরে বাঁধ আমামা বাঁধ। প্রেমাশ্রুতে ওজু ক’রে চল্ ঈদগাহ মসজিদ।। (আজ) ছিটায় মনের গোলাব-পাশে খুশির গোলাব-পানি (আজ) খোদার ইস্কের খুশবু-ভরা প্রাণের আতরদানি, ভরল হৃদয়-তশ্তরিতে শিরনি তৌহিদ।। (দেখ্) হজরতের হাসির ছটা ঈদের চাঁদে জাগে সেই চাঁদেরই রং যেন আজ সবার বুকে লাগে, (এই) দুনিয়াতেই মিটল ঈদে বেহেশ্তী উমিদ।।
নাটিকা : ‘ঈদ’ (বিদৌরার গান)
এখনো ওঠেনি চাঁদ এখনো ফোটেনি তারা
বাণী
এখনো ওঠেনি চাঁদ এখনো ফোটেনি তারা এখনো দিনের কাজ হয়নি যে মোর সারা — হে পথিক যাও ফিরে।। এখনো বাঁধিনি বেণী, তুলিনি এখনো ফুল জ্বালি নাই মণিদীপ মম মন–মন্দিরে — হে পথিক যাও ফিরে।। পল্লব–গুণ্ঠনে নিশি–গন্ধার কলি চাহিতে পারে না লাজে দিবস যায়নি বলি’। এখনো ওঠেনি ঢেউ থির সারসির নীরে — হে পথিক যাও ফিরে।। যবে ঝিমাইবে চাঁদ ঘুমে তখন তোমার লাগি’ র’ব একা পথ চেয়ে বাতায়ন–পাশে জাগি’ কবরীর মালা খুলে ফেলে দেব ধীরে ধীরে — হে পথিক যাও ফিরে।।
এসো প্রিয়তম এসো প্রাণে
বাণী
এসো প্রিয়তম এসো প্রাণে। এসো সুদূর মোর অভিমানে।। এসো কম্পিত হৃদয়ের ছন্দে এসো বিরহের বিধুর আনন্দে, এসো বেদনার চন্দন-গন্ধে — মম পূজার বন্দনা-গানে।। সুখ-স্বপন হয়ে এসো ঘুমে এসো হৃদয়েশ, মালার কুসুমে, এসো তপনের রূপে আঁখি চু’মে — ঘুম ভাঙায়ো নিশি-অবসানে।। এসো মাধবী-কাঁকন হয়ে হাতে এসো কাজল হয়ে আঁখি-পাতে, এসো পূর্ণিমা চাঁদ হয়ে রাতে — এসো ফুল-চোর মালতী-বিতানে।।
নাটক : ‘অর্জুন বিজয়’ (নাট্যকার : দেবেন্দ্রনাথ রাহা)
এলো শারদশ্রী কাশ-কুসুম-বসনা
বাণী
এলো শারদশ্রী কাশ-কুসুম-বসনা রসলোক-বাসিনী ল’য়ে ভাদরের নদী সম রূপের ঢেউ মৃদু মধু-হাসিনী।। যেন কৃশাঙ্গী তপতী তপস্যা শেষে সুন্দর বর পেয়ে হাসে প্রেমাবেশে, আমন ধানের শিষে মন ভোলানো কোন্ কথা কয় সে মঞ্জুল-ভাষিণী।। শিশির স্নিগ্ধ চাঁদের কিরণ ওকি উত্তরী তার, অরণ্য কুন্তলে খদ্যোত মণিকা মালতীর হার। তার আননের আবছায়া শতদলে দোলে হংসধ্বনিতে মায়া মঞ্জীর বোলে, সে আনন্দ এনে কেঁদে চলে যায় বিজয়ায় বেদনার বেদমতী সন্ন্যাসিনী।।
গীতি আলেখ্য : ‘শারদশ্রী’