এসো মা ভারত-জননী আবার
বাণী
এসো মা ভারত-জননী আবার জগৎ-তারিণী সাজে। রাজরানী মা’র ভিখারিনী বেশ দেখে প্রাণে বড় বাজে॥ শিশু-জগতেরে মায়ের মতন, তুমি মা প্রথম করিলে পালন, আজ মাগো তোরই সন্তানগণ কাঁদিছে দৈন্য-লাজে॥ আঁধার বিশ্বে তুমি কল্যাণী জ্বালিলে প্রথম জ্ঞান-দীপ আনি; হইলে বিশ্ব-নন্দিতা রানী নিখিল নর-সমাজে॥ দেখা মা পুন সে অতীত মহিমা, মুছে দে ভীরুতা গ্লানির কালিমা, রাঙায়ে আবার দশদিক-সীমা দাঁড়া মা বিশ্ব-মাঝে॥
এসো ঠাকুর মহুয়া বনে ছেড়ে বৃন্দাবন
বাণী
এসো ঠাকুর মহুয়া বনে ছেড়ে বৃন্দাবন, ধেনু দেব বেণু দেব মালা চন্দন॥ কেঁদে কেঁদে কয়লা খাদে যমুনা বহাব; পলাশ বনে জাগরণে নিশি পোহাব রাধা হয়ে বাঁধা দেব আমর প্রাণ মন॥ মোর নটকান রঙ শাড়ির আঁচল ছিঁড়ে, পীত ধড়া পরাব, নীল অঙ্গ ঘিরে। পিয়াল ডালে দোলনা বেঁধে দুলিব দুজন॥ ভাসুর-শ্বশুর দ্যাখে যদি করব নাকো লাজ বলব আমার শ্যামের বাঁশি বাজ রে আবার বাজ শ্যাম তোমার লাগি জাতি কুল দিব বিসর্জন।।
এ কি অপরূপ রূপে মা তোমায়
বাণী
এ কি অপরূপ রূপে মা তোমায় হেরিনু পল্লী-জননী। ফুলে ও ফসলে কাদা মাটি জলে ঝলমল করে লাবনি॥ রৌদ্রতপ্ত বৈশাখে তুমি চাতকের সাথে চাহ জল, আম কাঁঠালের মধুর গন্ধে জ্যৈষ্ঠে মাতাও তরুতল। ঝঞ্ঝার সাথে প্রান্তরে মাঠে কভু খেল ল’য়ে অশনি॥ কেতকী-কদম-যূথিকা কুসুমে বর্ষায় গাঁথ মালিকা, পথে অবিরল ছিটাইয়া জল খেল চঞ্চলা বালিকা। তড়াগে পুকুরে থই থই করে শ্যামল শোভার নবনী॥ শাপলা শালুক সাজাইয়া সাজি শরতে শিশির নাহিয়া, শিউলি-ছোপানো শাড়ি পরে ফের আগামনী-গীত গাহিয়া। অঘ্রাণে মা গো আমন ধানের সুঘ্রাণে ভরে অবনি॥ শীতের শূন্য মাঠে তুমি ফের উদাসী বাউল সাথে মা, ভাটিয়ালি গাও মাঝিদের সাথে গো, কীর্তন শোনো রাতে মা। ফাল্গুনে রাঙা ফুলের আবিরে রাঙাও নিখিল ধরণী॥