বাণী

এরি লাগি তপস্যা কি করে আঁধার রাতি।।
সই দেখলো চেয়ে রূপ-সায়রে জ্বলে এ কোন্ বাতি
লক্ষ চাঁদের জোছনা হেথা কে রেখেছে পাতি’?

নাটক : ‘মধুমালা’ (স্বপনপরীর গান)

বাণী

এতো ঘুম নয় সই নয়ন ভরা রঙিন স্বপনে
আমি যেন হারিয়ে গেছি কোন ফুলবনে
	ওগো রঙিন স্বপনে।।
আমি যেন চাঁদনি রাতে
মিশিয়ে গিয়ে হাওয়ার সাথে
গোপন প্রিয়ার গোপন কথা শুনছি গোপনে।।
আমি যেন মৌমাছিদের হালকা পাখায় বসি
কোন প্রেয়সী মন টানে মোর কোন সে রুপসী।
আমি যেন কেমন করে
মেতেছি মোর রূপের তরে
অশান্ত যৌবনের একি বাহুর বাঁধনে।।

বাণী

এত দিনে ধরা দিলে বনের পাখি।
কেথায় রাখি, কোন্ প্রিয় নামে ডাকি।।
সদাই জাগে ভয়, দুরু দুরু হিয়া
কখন উড়ে যাবে বনের পাপিয়া
জেগে থাকি তাই সদা ঘুমহারা আঁখি।।
নয়নে রাখিলে, হিয়া কাঁদে অভিমানে
হিয়ায় রাখিলে, বারি ঝরে নয়নে,
তুমি ব’লে দাও প্রিয় কোথায় রাখি।।

নাটক : ‘অর্জুন-বিজয়’

বাণী

এ কোন্‌ মধুর শরাব দিলে আল আরাবি সাকি,
নেশায় হলাম দিওয়ানা যে রঙিন হল আঁখি।।
	তৌহিদের শিরাজি নিয়ে
	ডাকলে সবায় যারে পিয়ে,
নিখিল জগৎ ছুটে এলো রইল না কেউ বাকি।।
বসলো তোমার মহ্‌ফিল দূর মক্কা মদিনাতে,
আল্‌-কোরানের গাইলে গজল শবে কদর রাতে।
	নরনারী বাদশা ফকির
	তোমার রূপে হয়ে অধীর
যা ছিল নজ্‌রানা দিল রাঙা পায়ে রাখি’।

বাণী

এ কি অপরূপ যুগল-মিলন হেরিনু নদীয়া ধামে
বিষ্ণুপ্রিয়া লক্ষী যেন রে গোলক-পতির বামে।।
	এ কি অতুলন যুগল-মূরতি
	যেন শিব-সতী হর-পার্বতী,
জনক-দুহিতা সীতাদেবী যেন বেড়িয়া রয়েছে রামে।।
	গৌরের বামে গৌর-মোহিণী
	(যেন) রতি ও মদন চন্দ্র-রোহিণী
(তোরা) দেখে যা রে আজ মিলন-রাসে যুগল রাধা-শ্যামে।।

নাটক: ‘বিষ্ণুপ্রিয়া’

বাণী

এসো শঙ্কর ক্রোধাগ্নি হে প্রলয়ঙ্কর।
রুদ্রভৈরব! সৃষ্টি সংহর, সংহর।।
জ্ঞান-হীন তমসায় মগ্ন পাপ-পঙ্কিলা
বিশ্ব জুড়ি’ চলে শিবহীন যজ্ঞের লীলা,
শক্তি যথায় করে আত্ম-বিসর্জন ঘৃণায় —
ধ্বংস কর সেই অশিব-যজ্ঞ — অসুন্দর।।
যথা দেবী শক্তি — নারী অপমান সহে
গ্লানিকর হানাহানি চলে ধরমের মোহে,
হানো সংঘাত, অভিসম্পাৎ সেথা নিরন্তর।।