এলো ঈদল-ফেতর এলো
বাণী
এলো ঈদল-ফেতর এলো ঈদ ঈদ ঈদ। সারা বছর যে ঈদের আশায় ছিল নাক’ নিদ।। রোজা রাখার ফল ফ’লেছে দেখ রে ঈদের চাঁদ, সেহরী খেয়ে কাটল রোজা, আজ সেহেরা বাঁধ, ওরে বাঁধ আমামা বাঁধ। প্রেমাশ্রুতে ওজু ক’রে চল্ ঈদগাহ মসজিদ।। (আজ) ছিটায় মনের গোলাব-পাশে খুশির গোলাব-পানি (আজ) খোদার ইস্কের খুশবু-ভরা প্রাণের আতরদানি, ভরল হৃদয়-তশ্তরিতে শিরনি তৌহিদ।। (দেখ্) হজরতের হাসির ছটা ঈদের চাঁদে জাগে সেই চাঁদেরই রং যেন আজ সবার বুকে লাগে, (এই) দুনিয়াতেই মিটল ঈদে বেহেশ্তী উমিদ।।
নাটিকা : ‘ঈদ’ (বিদৌরার গান)
এলো শারদশ্রী কাশ-কুসুম-বসনা
বাণী
এলো শারদশ্রী কাশ-কুসুম-বসনা রসলোক-বাসিনী ল’য়ে ভাদরের নদী সম রূপের ঢেউ মৃদু মধু-হাসিনী।। যেন কৃশাঙ্গী তপতী তপস্যা শেষে সুন্দর বর পেয়ে হাসে প্রেমাবেশে, আমন ধানের শিষে মন ভোলানো কোন্ কথা কয় সে মঞ্জুল-ভাষিণী।। শিশির স্নিগ্ধ চাঁদের কিরণ ওকি উত্তরী তার, অরণ্য কুন্তলে খদ্যোত মণিকা মালতীর হার। তার আননের আবছায়া শতদলে দোলে হংসধ্বনিতে মায়া মঞ্জীর বোলে, সে আনন্দ এনে কেঁদে চলে যায় বিজয়ায় বেদনার বেদমতী সন্ন্যাসিনী।।
গীতি আলেখ্য : ‘শারদশ্রী’
এলো ঐ বনান্তে পাগল বসন্ত
বাণী
এলোঐ বনান্তে পাগল বসন্ত বনে বনে মনে মনে রং সে ছড়ায় রেচঞ্চল তরুণ দুরন্ত।। বাঁশীতে বাজায় সে বিধুর পরজ বসন্তের সুর পান্ডু কপোলে জাগে রঙ নব অনুরাগে রাঙা হ’ল ধূসর দিগন্ত।। কিশলয়ে পর্ণে অশান্ত ওড়ে তার অঞ্চল প্রান্ত পলাশ কলিতে তার ফুল ধনু লঘু ভার ফুলে ফুলে হাসি অফুরন্ত।। এলোমেলো দখিনা মলয় রে প্রলাপ বকিছে বনময় রে অকারণ মন-মাঝে বিরহের বেণু বাজে জেগে ওঠে বেদনা ঘুমন্ত।।
এ কি অপরূপ রূপে মা তোমায়
বাণী
এ কি অপরূপ রূপে মা তোমায় হেরিনু পল্লী-জননী। ফুলে ও ফসলে কাদা মাটি জলে ঝলমল করে লাবনি॥ রৌদ্রতপ্ত বৈশাখে তুমি চাতকের সাথে চাহ জল, আম কাঁঠালের মধুর গন্ধে জ্যৈষ্ঠে মাতাও তরুতল। ঝঞ্ঝার সাথে প্রান্তরে মাঠে কভু খেল ল’য়ে অশনি॥ কেতকী-কদম-যূথিকা কুসুমে বর্ষায় গাঁথ মালিকা, পথে অবিরল ছিটাইয়া জল খেল চঞ্চলা বালিকা। তড়াগে পুকুরে থই থই করে শ্যামল শোভার নবনী॥ শাপলা শালুক সাজাইয়া সাজি শরতে শিশির নাহিয়া, শিউলি-ছোপানো শাড়ি পরে ফের আগামনী-গীত গাহিয়া। অঘ্রাণে মা গো আমন ধানের সুঘ্রাণে ভরে অবনি॥ শীতের শূন্য মাঠে তুমি ফের উদাসী বাউল সাথে মা, ভাটিয়ালি গাও মাঝিদের সাথে গো, কীর্তন শোনো রাতে মা। ফাল্গুনে রাঙা ফুলের আবিরে রাঙাও নিখিল ধরণী॥
এলো শ্যামল কিশোর তমাল-ডালে
বাণী
এলো শ্যামল কিশোর তমাল-ডালে বাঁধে ঝুলনা। সুনীল শাড়ি পরো ব্রজনারী পরো নব নীপ-মালা অতুলনা।। ডাগর চোখে কাজল দিও, আকাশী রং প'রো উত্তরীয়, নব-ঘন-শ্যামের বসিয়া বামে দুলে দুলে ব'রলা, 'বঁধু, ভুলো না'।। নৃত্য-মুখর আজি মেঘলা দুপুর, বৃষ্ট্রির নূপুর বাজে টুপুর টুপুর। বাদল-মেঘের তালে বাজিছে বেণু, পান্ডুর হ'ল শ্যাম মাখি' কেয়া-রেণু, বাহুতে দোলনায় বাঁধিবে শ্যামরায় ব'লো, 'হে শ্যাম, এ বাঁধন খুলো না'।।