এ কোন মধুর শরাব দিলে
বাণী
এ কোন্ মধুর শরাব দিলে আল আরাবি সাকি, নেশায় হলাম দিওয়ানা যে রঙিন হল আঁখি।। তৌহিদের শিরাজি নিয়ে ডাকলে সবায় যারে পিয়ে, নিখিল জগৎ ছুটে এলো রইল না কেউ বাকি।। বসলো তোমার মহ্ফিল দূর মক্কা মদিনাতে, আল্-কোরানের গাইলে গজল শবে কদর রাতে। নরনারী বাদশা ফকির তোমার রূপে হয়ে অধীর যা ছিল নজ্রানা দিল রাঙা পায়ে রাখি’।
এখনো ওঠেনি চাঁদ এখনো ফোটেনি তারা
বাণী
এখনো ওঠেনি চাঁদ এখনো ফোটেনি তারা এখনো দিনের কাজ হয়নি যে মোর সারা — হে পথিক যাও ফিরে।। এখনো বাঁধিনি বেণী, তুলিনি এখনো ফুল জ্বালি নাই মণিদীপ মম মন–মন্দিরে — হে পথিক যাও ফিরে।। পল্লব–গুণ্ঠনে নিশি–গন্ধার কলি চাহিতে পারে না লাজে দিবস যায়নি বলি’। এখনো ওঠেনি ঢেউ থির সারসির নীরে — হে পথিক যাও ফিরে।। যবে ঝিমাইবে চাঁদ ঘুমে তখন তোমার লাগি’ র’ব একা পথ চেয়ে বাতায়ন–পাশে জাগি’ কবরীর মালা খুলে ফেলে দেব ধীরে ধীরে — হে পথিক যাও ফিরে।।
এ কোন মায়ায় ফেলিলে আমায়
বাণী
এ কোন মায়ায় ফেলিলে আমায় চির জনমের স্বামী- তোমার কারণে এ তিন ভুবনে শান্তি না পাই আমি।। অন্তরে যদি লুকাইতে চাই এ আগুন আমি কেমনে লুকাই, ওগো অন্তর্যামী।। মুখ থাকিতেও বলিতে পারে না বোবা স্বপনের কথা; বলিতেও নারি লুকাতেও নারি; তেমনি আমার ব্যথা। যে দেখেছে প্রিয় বারেক তোমায় বর্ণিতে রূপ- ভাষা নাহি পায় পাগলিনী-প্রায় কাঁদিয়া বেড়ায় অসহায়, দিবাযামী।।
এসো শঙ্কর ক্রোধাগ্নি হে প্রলয়ঙ্কর
বাণী
এসো শঙ্কর ক্রোধাগ্নি হে প্রলয়ঙ্কর। রুদ্রভৈরব! সৃষ্টি সংহর, সংহর।। জ্ঞান-হীন তমসায় মগ্ন পাপ-পঙ্কিলা বিশ্ব জুড়ি’ চলে শিবহীন যজ্ঞের লীলা, শক্তি যথায় করে আত্ম-বিসর্জন ঘৃণায় — ধ্বংস কর সেই অশিব-যজ্ঞ — অসুন্দর।। যথা দেবী শক্তি — নারী অপমান সহে গ্লানিকর হানাহানি চলে ধরমের মোহে, হানো সংঘাত, অভিসম্পাৎ সেথা নিরন্তর।।