এ কুল ভাঙ্গে ও কুল গড়ে
বাণী
এ-কূল ভাঙে ও-কূল গড়ে এই তো নদীর খেলা। সকাল বেলা আমির, রে ভাই (ও ভাই) ফকির, সন্ধ্যাবেলা॥ সেই নদীর ধারে কোন্ ভরসায় বাঁধলি বাসা, ওরে বেভুল, বাঁধলি বাসা, কিসের আশায়? যখন ধরলো ভাঙন পেলি নে তুই পারে যাবার ভেলা। এই তো বিধির খেলা রে ভাই এই তো বিধির খেলা॥ এই দেহ ভেঙে হয় রে মাটি, মাটিতে হয় দেহ যে কুমোর গড়ে সেই দেহ, তার খোঁজ নিল না কেহ (রে ভাই)। রাতে রাজা সাজে নাচমহলে দিনে ভিক্ষা মেগে বটের তলে শেষে শ্মশান ঘাটে গিয়ে দেখে সবাই মাটির ঢেলা এই তো বিধির খেলা রে ভাই ভব নদীর খেলা॥
এবার যখন উঠ্বে সন্ধ্যাতারা সাঁঝ আকাশে
বাণী
এবার যখন উঠ্বে সন্ধ্যাতারা — সাঁঝ আকাশে দেখতে পাবে দু’টি নতুন তারা — তাহার পাশে।। চেয়ে’ দেখ ভালো ক’রে কা’র দু’টি চোখ যেন ম’রে, তারা হয়ে ধরার পানে চাহে তোমার আঁখি দেখার আশে।। যে দু’টি চোখ নিত্য লোকের মাঝে তোমায় দিত লাজ পড়বে মনে গো — সেই দু’টি চোখ চিরতরে এই পৃথিবী হতে হারিয়ে গেছে আজ। পায়নি গো, তাই অভিমানে চ’লে গেলে দূর বিমানে, (দেখো) সেদিন যেন আজের মত চাইতে ওদের পানে দ্বিধা নাহি আসে।।
এ নহে বিলাস বন্ধু ফুটেছি জলে কমল
বাণী
এ নহে বিলাস বন্ধু ফুটেছি জলে কমল এ যে ব্যথা রাঙা হৃদয় আঁখি জলে টলমল।। কমল মৃণাল দেহ ভরেছে কন্টক ঘায় শরণ লয়েছি গো তাই শীতল দীঘির জল।। ডুবেছি আজ কালো জলে কত যে জ্বালা স'য়ে শত ব্যথা ক্ষত লয়ে হইয়াছি শতদল।। কবি রে কোন ক্ষত মুখে ফোটে যে তোর গীত সুর সে ক্ষত দেখিল না কেউ দেখিল তোরে কেবল সে গীতি দেখিল না কেউ শুনিল গীতি কেবল।।