বাণী

এ নহে বিলাস বন্ধু ফুটেছি জলে কমল
এ যে ব্যথা রাঙা হৃদয় আঁখি জলে টলমল।।
কমল মৃণাল দেহ ভরেছে কন্টক ঘায়
শরণ লয়েছি গো তাই শীতল দীঘির জল।।
ডুবেছি আজ কালো জলে কত যে জ্বালা স'য়ে
শত ব্যথা ক্ষত লয়ে হইয়াছি শতদল।।
কবি রে কোন ক্ষত মুখে ফোটে যে তোর গীত সুর
সে ক্ষত দেখিল না কেউ দেখিল তোরে কেবল
সে গীতি দেখিল না কেউ শুনিল গীতি কেবল।।

বাণী

একটুখানি দাও অবসর বসতে কাছে,
তোমায় আমার অনেক যুগের অনেক কথা বলার আছে।।
গ্রহ ঘিরে উপগ্রহ, ঘোরে যেমন অহরহ;
আমার আকুল এ বিরহ তেমনি প্রিয় তোমায় যাচে॥
চিরকালই রইলে তুমি আমার পাওয়ার বহুদূরে
আজকে ক্ষণিক কইব কথা সকরুণ গানের সুরে।
করব পূজা গানে গানে, চাইব না আর নয়ন পানে;
আমার চোখের অশ্রুলেখা দেখে তুমি চেন পাছে॥

বাণী

একি অসীম পিয়াসা
শত জনম গেল তবু মিটিল না
	তোমারে পাওয়ার আশা।।
সাগর চাহিয়া চাঁদে চির জনম কাঁদে
তেমনি যত নাহি পায় তোমা পানে ধায়
		অসীম ভালোবাসা।।
তোমারে যে চাহিয়াছে ভুলে একদিন
সেই জানে তোমারে ভোলা কি কঠিন
তোমার স্মৃতি তার মরণের সাথি হয়
	মেটে না প্রেমের পিয়াসা।।

বাণী

এত দিনে ধরা দিলে বনের পাখি।
কেথায় রাখি, কোন্ প্রিয় নামে ডাকি।।
সদাই জাগে ভয়, দুরু দুরু হিয়া
কখন উড়ে যাবে বনের পাপিয়া
জেগে থাকি তাই সদা ঘুমহারা আঁখি।।
নয়নে রাখিলে, হিয়া কাঁদে অভিমানে
হিয়ায় রাখিলে, বারি ঝরে নয়নে,
তুমি ব’লে দাও প্রিয় কোথায় রাখি।।

নাটক : ‘অর্জুন-বিজয়’

বাণী

এসো মুরলীধারী বৃন্দাবন-চারী গোপাল গিরিধারী শ্যাম।
তেমনি যমুনা বিগলিত-করুণা কুলু কুলু কুলু স্বরে ডাকে অবিরাম।।
	কোথায় গোকুল-বিহারী শ্রীকৃষ্ণ
	চাহিয়া পথ পানে ধরণী সতৃষ্ণ,
ডাকে মা যশোদায় নীলমণি আয় আয় ডেকে যায় নন্দ শ্রীদাম।।
ডাকে প্রেম-সাধিকা আজো শত রাধিকা গোপ-কোঙারি,
এসো নওল-কিশোর কুল-লাজ-মান-চোর ব্রজ-বিহারী।
পরি’ সেই পীতধড়া, সেই বাঁকা শিখী চূড়া বাজায়ে বেণূ
আরবার এসো গোঠে, খেল সেই ছায়া-বটে চরাও ধেনু
কদম তমাল-ছায়ে এসো নূপুর পায়ে ললিত বঙ্কিম ঠাম।।

বাণী

একেলা ঢুলিয়া ঢুলিয়া কে যায়।
চলিতে চরণ চরণে জড়ায়।।
এখনো ভাঙেনি মল্লিকার ঘুম
এখনো অমলিন-কবরী কুসুম,
নয়নে নিশির ঝরেনি শিশির
বিহগ পাখায় বিহগী ঘুমায়।।
অভিসার নিশি বৃথাই জাগি কোথা
অভিমানিনী চলে মূর্তিমতী ব্যথা।
ভীরু চকিত চোখে করুণ কাতরতা
রবি না ওঠে যেন মিনতি জানায়।।