বাণী

এবার	নবীন-মন্ত্রে হবে জননী তোর উদ্বোধন।
	নিত্যা হয়ে রইবি ঘরে, হবে না তোর বিসর্জন।।
	সকল জাতির পুরুষ-নারীর প্রাণ
	সেই হবে তোর পূজা-বেদী মা তোর পীঠস্থান:
সেথা	শক্তি দিয়ে ভক্তি দিয়ে পাতবো মা তোর সিংহাসন।।
সেথা	রইবে নাকো ছোয়াছুয়ি উচ্চ-নীচের ভেদ,
	সবাই মিলে উচ্চারির মাতৃ-নামের বেদ।
মোরা	এক জননীর সন্তান সব জানি,
	ভাঙব দেয়াল, ভুলব হানাহানি
	দীন-দরিদ্র রইবে না কেউ সমান হবে সর্বজন,
	বিশ্ব হবে মহাভারত, নিত্য-প্রেমের বৃন্দাবন।।

বাণী

এলো শোকের সেই মোহর্‌রম কারবালার স্মৃতি ল’য়ে।
কাঁদিছে বিশ্বের মুসলিম সেই ব্যথায় বেতাব হয়ে।।
মনে পড়ে আসগরে আজি পিয়াসা দুধের বাচ্চায়
পানি চাহিয়া পেল শাহাদৎ হোসেনের বুকে র’য়ে।।
একহাতে বিবাহের কাঙন একহাতে কাশেমের লাশ,
বেহোঁশ্ খিমাতে সকিনা অসহ বেদনা স’য়ে।।
পাশে শহীদ কাঁদে বীর জব্বার পানির মশক মুখে
হল শহীদ কাঁদে জয়নব কুলসুম আকুল হয়ে।।
শূন্য পিঠে কাঁদে দুলদুল্ হজরত হোসেন শহীদ্,
ঝরিতেছে শোকের বারিষ্ আসমান জমিন ছেয়ে।।

বাণী

এলো শ্যামল কিশোর তমাল-ডালে বাঁধে ঝুলনা।
সুনীল শাড়ি পরো ব্রজনারী পরো নব নীপ-মালা অতুলনা।।
	ডাগর চোখে কাজল দিও,
	আকাশী রং প'রো উত্তরীয়,
নব-ঘন-শ্যামের বসিয়া বামে দুলে দুলে ব'রলা, 'বঁধু, ভুলো না'।।
	নৃত্য-মুখর আজি মেঘলা দুপুর,
	বৃষ্ট্রির নূপুর বাজে টুপুর টুপুর।
	বাদল-মেঘের তালে বাজিছে বেণু,
	পান্ডুর হ'ল শ্যাম মাখি' কেয়া-রেণু,
বাহুতে দোলনায় বাঁধিবে শ্যামরায় ব'লো, 'হে শ্যাম, এ বাঁধন খুলো না'।।

বাণী

এসো মাধব এসে পিও মধু।
এসো মাধবী লতার কুঞ্জ বিতানে (মধু) মাধবী রাতে এসো বঁধু।।
এসো মৃদুল মধুর পা ফেলে
এসো ঝুমুর ঝুমুর ঘুমুর বাজায়ে শ্রবণে অমিয়া মধু ঢেলে,
এসো বাজায়ে বাঁশরি যে সুর-লহরী শুনে কুল ভোলে ব্রজবধূ।।
এসো নিবিড় নীরদ বরণ শ্যাম
তমাল কাননে কাজল বুলায়ে দুলায়ে চাঁচর চিকুর দাম,
এসো বামে হেলায়ে শিখী-পাখা ত্রিভঙ্গ ঠামে এসো বঁধু।।
এসো নারায়ণ এসো অবতার
পার্থসারথি বেশে এসো পাপ কুরুক্ষেত্রে আরবার,
তুমি মহাভারতের ভাগ্যবিধাতা গীতি উদ্গাতা নহ শুধু।।

বাণী

এ দেবদাসীর পূজা লহ হে ঠাকুর।
দয়া কর, কথা কও, হ’য়ো না নিঠুর।।
লহ মান অভিমান, দেহ প্রাণ মন
মম প্রেম-ধূপ নাও রূপচন্দন,
এই লহ আভরণ, চুড়ি-কঙ্কন –
চোখের দৃষ্টি নাও কণ্ঠের সুর।।
আজ, শেষ ক’রে আপনারে দিব তব পায়,
চাও চাও মোর কাছে যাহা সাধ যায়।
কহিবে না কথা কি গো তুমি কিছুতেই?
আরতির থালা তবে ফেলে দিনু এই,
নাচিব না, বাজুক না মৃদঙ্গ তাল –
খুলিয়া রাখিনু এই পায়ের নূপুর।।

বাণী

এলো এলো শবেরাত তোরা জ্বাল্ রে বাতি।
হোক রওশন মুসলিম-জাহানের অন্ধকার রাতি।।
আজ ফিরদৌসের হুর-পরীরা আলোতে রাঙে
চাঁদ সেতারার প্রদীপ ভাসায় আস্‌মানি গাঙে,
ফেরেশ্‌তা সব হয়েছে আজ মোদের সাথি।।
আজ জ্বাল্‌রে বাতি প্রিয়জনের আঁধার গোরে
আজ বরষ পরে লুকিয়ে তারা এসেছে ঘরে,
রাখ্‌ তাদের তরে অশ্রু-ভেজা হৃদয় পাতি।।