অঝোর ধারায় বর্ষা ঝরে সঘন তিমির রাতে
বাণী
অঝোর ধারায় বর্ষা ঝরে সঘন তিমির রাতে। নিদ্রা নাহি তোমায় চাহি’ আমার নয়ন-পাতে॥ ভেজা মাটির গন্ধ সনে তোমার স্মৃতি আনে মনে, বাদ্লী হাওয়া লুটিয়ে কাঁদে আঁধার আঙিনাতে॥ হঠাৎ বনে আস্ল ফুলের বন্যা পল্লবেরই কূলে, নাগকেশরের সাথে কদম কেয়া ফুট্ল দুলে দুলে। নবীন আমন ধানের ক্ষেতে হতাশ বায়ু ওঠে মেতে, মন উড়ে যায় তোমার দেশে পূব-হাওয়ারই সাথে॥
অন্ধকারে এসে তুমি অন্ধকারে গেছ চ’লে
বাণী
অন্ধকারে এসে তুমি অন্ধকারে গেছ চ’লে। তোমার পায়ের রেখা জাগে শূন্য গৃহের অঙ্গন-তলে।। কেন আমায় জাগালে না আঘাতে ঘুম ভাঙালে না, দ’লে কেন গেলে না গো যাবার বেলা চরণ-তলে।। কৃষ্ণা তিথির চাঁদের মত এসেছিলে গভীর রাতে, আলোর পরশ বুলিয়ে দিলে ঘুমন্ত মোর নয়ন-পাতে; তাই রজনীগন্ধা সুখে চেয়ে আছে উর্ধ্ব মুখে, ফুলগুলিরে জাগিয়ে গেলে নিঠুর আমায় গেলে ছ’লে।।
অনেক মানিক আছে শ্যামা
বাণী
অনেক মানিক আছে শ্যামা তোর কালোরূপ-সাগরজলে আমার বুকের মানিক কেড়ে রাখ্লি কোথায় দে মা ব’লে।। কত লতার কোল ক’রে খালি, ফুলের অর্ঘ্য১ নিস্ মা কালি (মোর) সারা বনের একটি কুসুম আছে কি ঐ চরণ-তলে।। একখানি মুখ খুঁজি মাগো তোর কণ্ঠের মুন্ডমালায় একটিবার মা সে মুখ দেখা, আবার কেড়ে পরিস্ গলায়। (না হয়) রাখিস্ পূজার থালায়। অনন্ত তোর রূপের মাঝে, সে কোন্ রূপে মা কোথায় রাজে? মোর নয়ন-তারা তারা হয়ে দোলে কি তোর বুকের কোলে।।
১. ফুলের অর্ঘ্য-এর পরিবর্তে কবি ‘পূজাঞ্জলি’ শব্দটিও ব্যবহার করেছেন।