বাণী

অকূল তুফানে নাইয়া কর পার
পাপ দরিয়াতে ডুবে মরি কান্ডারি
নাই কড়ি নাই তরী প্রভু পারে তরিবার।।
থির নহে চিত পাপ-ভীত সদা টলমল
পুণ্যহীন শূন্য মরু সম হৃদি-তল নাহি ফুল নাহি ফল
পার কর হে পার কর ডাকি কাঁদি অবিরল
নাহি সঙ্গী নাহি বন্ধু নাহি পথেরি সম্বল।
সাহারায় নাহি জল
শাওন বরিষা সম তব করুণার ধারা
ঝরিয়া পড়ুক পরানে আমার।।

বাণী

অবিরত বাদর বরষিছে ঝরঝর
বহিছে তরলতর পূবালি পবন।
	বিজুরী-জ্বালার মালা
	পরিয়া কে মেঘবালা
কাঁদিছে আমারি মত বিষাদ-মগন।।
ভীরু এ মন-মৃগ আলয় খুঁজিয়া ফিরে,
জড়ায়ে ধরিছে লতা সভয়ে বনস্পতিরে,
গগনে মেলিয়া শাখা কাঁদে বন-উপবন।।

চলচ্চিত্রঃ ‌‘ধ্রুব’

বাণী

অশিব শক্তি হতে হে শঙ্কর
অষ্টসিদ্ধিরে কর ত্রাণ, ত্রাণ কর শঙ্কর।।

নাটক : ‘অন্নপূর্ণা’

বাণী

অরুণ-কান্তি কে গো যোগী ভিখারি।
নীরবে হেসে দাঁড়াইলে এসে
প্রখর তেজ তব নেহারিতে নারি ॥
রাস-বিলাসিনী আমি আহিরিণী
শ্যামল কিশোর রূপ শুধু চিনি,
অম্বরে হেরি আজ একি জ্যোতিঃপুঞ্জ
হে গিরিজাপতি! কোথা গিরিধারী ॥
সম্বর সম্বর মহিমা তব, হে ব্রজেশ ভৈরব,
		আমি ব্রজবালা।
হে শিব সুন্দর, বাঘছাল পরিহর, ধর নটবর-বেশ
		পর নীপ-মালা।
নব মেঘ-চন্দনে ঢাকি’ অঙ্গজ্যোতি
প্রিয় হয়ে দেখা দাও ত্রিভুবন-পতি
পার্বতী নহি আমি, আমি শ্রীমতী
বিষাণ ফেলিয়া হও বাঁশরি-ধারী ॥

বাণী

অরুণ কিরণ সুধা-স্রোতে, ভাসাও প্রভু মোরে।
গ্লানি পাপ তাপ মলিনতা, যাক ধুয়ে চিরতরে।।
প্রশান্ত স্নিগ্ধ তব হাসি, ঝরুক অশান্তি প্রাণে বুকে১
প্রভাত আলোর ধারা, যেমন ঝরে সব ঘরে।।
যেমন বিহগেরা জাগি ভোরে, আলোর নেশার ঘোরে
আকাশ পানে ..., বন্দে প্রেম-মনোহরে২।।

১. পান্ডুলিপিতে পরিবর্ত লাইন হিসেবে ‘সবারে আজ যেন ভালোবাসি’ লেখা আছে।
২. পান্ডুলিপিতে গানটির সঙ্গে কবি-কৃত স্বরলিপি আছে।

বাণী

অচেনা সুরে অজানা পথিক
		নিতি গেয়ে যায় করুণ গীতি।
শুনিয়া সে গান দু’লে ওঠে প্রাণ
		জেগে ওঠে কোন্ হারানো স্মৃতি॥
ঘুরিয়া মরে উদাসী সে সুর
সাঁঝের কূলে বিষাদ-বিধুর,
নীড়ে যেতে হায় পাখি ফিরে চায়,
		আবেশে ঝিমায় কুসুম-বীথি॥