অগ্নি-ঋষি অগ্নি-বীণা তোমায় শুধু সাজে
বাণী
অগ্নি-ঋষি! অগ্নি-বীণা তোমায় শুধু সাজে; তাই ত তোমার বহ্নি-রাগেও বেদন-বেহাগ বাজে॥ দহন-বনের গহন-চারী — হায় ঋষি — কোন্ বংশীধারী দেশি নিঙ্ড়ে আগুন আনলে বারি, অগ্নি-মরুর মাঝে। সর্বনাশা কোন্ বাঁশি সে বুঝতে পারি না যে॥ দুর্বাসা হে! রুদ্র তড়িৎ হানছিলে বৈশাখে, হঠাৎ সে কার শুন্লে বেণু কদম্বের ঐ শাখে। বজ্রে তোমার বাজল বাঁশি, বহ্নি হল কান্না-হাসি, সুরের ব্যথায় প্রাণ উদাসী — মন সরে না কাজে। তোমার নয়ন-ঝুরা অগ্নি-সুরেও রক্তশিখা রাজে॥
অয়ি চঞ্চল-লীলায়িত-দেহা চির-চেনা
বাণী
অয়ি চঞ্চল-লীলায়িত-দেহা চির-চেনা ফোটাও মনের বনে তুমি বকুল হেনা।। যৌবন-মদ গর্বিতা তন্বী আননে জ্যোৎস্না, নয়নে বহ্নি, তব চরণের পরশ বিনা অশোক তরু মুঞ্জরে না।। নন্দন-নন্দিনী তুমি দয়িতা চির-আনন্দিতা, প্রথম কবির প্রথম লেখা তুমি কবিতা। নৃত্য শেষের তব নুপুরগুলি হায় রয়েছে ছড়ানো আকাশের তারকায় সুর-লোক-উর্বশী হে বসন্ত-সেনা ! চির-চেনা।।