অন্তরে প্রেমের দীপ জ্বলে যার
বাণী
অন্তরে প্রেমের দীপ জ্বলে যার, ত্রিভুবনে নাই তার কোথাও আঁধার।। পথের ধূলি তারই চরণ যাচে আকাশ কথা কয় তাহারি কাছে, তা’রি তরে খোলা থাকে সকলের ঘর সকলের হৃদয়-দুয়ার।। কে বলে ভিখারিনী সে — কে বলে সে ভিখারি। ভিক্ষা-ঝুলিতে তার বিশ্ব থাকে — ভগবান তাহার দ্বারী। তার রীতি বোঝা যায় না বুকে যার বহে নিতি পিরিতি-জোয়ার।।
অমন করে হাসিস্নে আর রাই লো
বাণী
অমন করে হাসিস্নে আর রাই লো। তুই পোড়ার মুখে হাসিস্নে আর রাই লো।। ছি ছি রঙ্গ করিস অঙ্গে মেখে কৃষ্ণ কালির ছাই লো।। বাঁশি হাতে গাছে চড়া, কয়লা-বরণ গয়লা ছোঁড়া সে লো সেই নাটের গুরু নষ্টের গোড়া তোর প্রেমের গোঁসাই লো।। ঐ গো-রাখা রাখালের সনে তোর নিন্দা শুনি বৃন্দাবনে রাই লো ছি ছি কেষ্ট ছাড়া ইষ্ট কি আর ত্রিভুবনে নাই লো।। ঐ অমাবস্যার কৃষ্ণ-চাঁদে, বাস্লি ভালো কোন্ সুবাদে তুই লো তুই দিন-কানা হয়েছিস রাধে ভাবিয়া কানাই লো।।
অঞ্জলি লহ মোর সঙ্গীতে
বাণী
অঞ্জলি লহ মোর সঙ্গীতে। প্রদীপ-শিখা সম কাঁপিছে প্রাণ মম তোমায়, হে সুন্দর, বন্দিতে! সঙ্গীতে সঙ্গীতে।। তোমার দেবালয়ে কি সুখে কি জানি দু’লে দু’লে ওঠে আমার দেহখানি আরতি –নৃত্যের ভঙ্গীতে। সঙ্গীতে সঙ্গীতে।। পুলকে বিকশিল প্রেমের শতদল গন্ধে রূপে রসে টলিছে টলমল। তোমার মুখে চাহি আমার বাণী যত লুটাইয়া পড়ে ঝরা ফুলের মত তোমার পদতল রঞ্জিতে। সঙ্গীতে সঙ্গীতে।।
অন্ধকারে এসে তুমি অন্ধকারে গেছ চ’লে
বাণী
অন্ধকারে এসে তুমি অন্ধকারে গেছ চ’লে। তোমার পায়ের রেখা জাগে শূন্য গৃহের অঙ্গন-তলে।। কেন আমায় জাগালে না আঘাতে ঘুম ভাঙালে না, দ’লে কেন গেলে না গো যাবার বেলা চরণ-তলে।। কৃষ্ণা তিথির চাঁদের মত এসেছিলে গভীর রাতে, আলোর পরশ বুলিয়ে দিলে ঘুমন্ত মোর নয়ন-পাতে; তাই রজনীগন্ধা সুখে চেয়ে আছে উর্ধ্ব মুখে, ফুলগুলিরে জাগিয়ে গেলে নিঠুর আমায় গেলে ছ’লে।।