বর্ণচোরা ঠাকুর এলো রসের নদীয়ায়
বাণী
বর্ণচোরা ঠাকুর এলো রসের নদীয়ায় তোরা দেখবি যদি আয় তারে কেউ বলে শ্রীমতি রাধা কেউ বলে সে শ্যামরায়।। কেউ বলে তার সোনার অঙ্গে রাধা-কৃষ্ণ খেলেন রঙ্গে; ওগো কেউ বলে তায় গৌর-হরি কেউ অবতার বলে তায়।। তার ভক্ত তারে ষড়ভুজ শ্রী নারায়ণ বলে, কেউ দেখেছে শ্রীবাসের ঘরে কেউ বা নীলাচলে। দুই হাতে তার ধনুর্বাণ ঠিক যেন শ্রীরাম, দুই হাতে তার মোহন বাঁশি যেন রাধা-শ্যাম, আর দু'হাতে দণ্ড ঝুলি নবীন সন্ন্যাসীরই প্রায়।।
বঁধু হে বঁধু ফিরে এসো
বাণী
বঁধু হে বঁধু ফিরে এসো আজো প্রাণের প্রদীপ রেখেছি আঁচল ঢেকে বিরহ নিশাসে দীরঘ বাতাসে কেঁপে ওঠে থেকে থেকে। আর রাখতে নারি, নিবু নিবু দীপ রাখতে নারি বুঝি আমার পরান প্রদীপ নিভাবে আমারি নয়ন বারি। বঁধু যমুনারি তীরে আসি ফিরে ফিরে কাঁদি কদম তরু তলে হেরি বালুচরে বেণু আছে পড়ে ডাকে না আর রাধা বলে। অভিমানে বাঁশি আমার বুকে আসি’ কেঁদে কেঁদে কহে যেন গো হরি আরাধিকা রাধিকা এলে যদি শ্রীহরি এলো না কেন গো। পায়ে পড়ে কাঁদে এসে যমুনারি ঢেউ বলে রাধা রাধা বলে আর ডাকে না তো কেউ। জটিলা কুটিলা আজ কলহ ভুলে জড়াইয়া মোরে কাঁদে যমুনা কূলে। বলে কৃষ্ণ কই লো প্রলয়েরি কালে আর লইব কার নাম। এই বিরহ যমুনা পার হব কবে বল হে বিরহী মম গেলে কোন সে গোলকে রহিবে চোখে চোখে প্রিয়তম হে কৃষ্ণ আঁখি তারা সম।।
বাঁশি বাজাবে কবে আবার বাঁশরিওয়ালা
বাণী
বাঁশি বাজাবে কবে আবার বাঁশরিওয়ালা তব পথ চাহি ভারত-যশোদা কাঁদিছে নিরালা।। কৃষ্ণা-তিথির তিমির হারী; শ্রীকৃষ্ণ এসো, এসো, মুরারি ঘরে ঘরে আজ পুতনা ভীতি হানিছে কালা।। কংস-কারার ভাঙো ভাঙো দ্বার দেবকীর বুকের পাষাণ ভঅর নামাও নামাও যুগ যুগ সম্ভব পুর্ণাবতার! নিরানন্দ এ দেশ হাসুক আবার, আনন্দে হে নন্দলালা।।