ব'লো বঁধুয়ারে নিরজনে
বাণী
(সখি) ব'লো বঁধুয়ারে নিরজনে দেখা হ'লে রাতে ফুল-বনে।। কে করে ফুল চুরি জেনেছে ফুলমালী কে দেয় গহীন রাতে ফুলের কুলে কালি জেনেছে ফুলমালী গোপনে।। ও-পথে চোর-কাঁটা, সখি, তায় বলে দিও বেঁধে না বেঁধে না লো যেন তার উত্তরীয়। এ বনফুল লাগি' না আসে কাঁটা' দলি' আপনি যাব চলি' বঁধুয়ার কুঞ্জ-গলি বিনা মূলে বিকাইব ও-চরণে।।
বেদনার বেদীতলে পেতেছি আসন
বাণী
বেদনার বেদীতলে পেতেছি আসন, হে দেবতা! সেথা আর কেহ নাই আমরা দু’জন, কহিব কথা।। বাহির ভুবনে তব কত পূজারি সেথায় মনের কথা কহিতে নারি, তাই হৃদয় দেউলে রেখে’ দিয়েছি আগল — সেথা তোমার চরণ-তলে জানাব গোপন প্রাণের ব্যথা।। পূজা-মন্দির হ’তে এসে চুপে চুপে হে দেবতা! সাজায়েছি প্রিয় রূপে! সবার সমুখে তাই মালা দিতে লাজ পাই — প্রেমের বাসর ঘরে পরাব বরণ-মালা, হব প্রণতা।।
বিকাল বেলার ভুঁইচাঁপা গো
বাণী
বিকাল বেলার ভুঁইচাঁপা গো সকাল বেলার যুঁই কারে কোথায় দেব আসন তাই ভাবি নিতুই।। ফুলদানিতে রাখব কারে,কারে গাঁথি কণ্ঠ -হারে কারে যেন দেব তারে কারে বুকে থুই।। সমান অভিমানী ওরা সমান সুকোমল চাঁপা আমার চোখের আলো,যুঁই চোখের জল। বর্ষা-মুখর শ্রাবণ-প্রাতে,কাঁদি আমি যুথীর সাথে চাঁপায় চাহি চৈতী-রাতে,প্রিয় আমার দুই।।
বিঁধে গেল তীর তেরছ তার চাহনি
বাণী
বিঁধে গেল তীর তেরছ তার চাহনি। বিঁধিল মরম-মূলে চাহিল যেমনি।। হৃদয় বনের নিষাদ সে নিঠুর তনু তার ফুলবন আঁখি তাহে ফণি। এলো যখন স্বপন-পরী উড়ায়ে আঁচল সোনালি, মোর ধেয়ান-লোক হতে যেন এলো রূপ ধরে রূপওয়ালী। দেহে তার চাঁদিনী-চন্দন মাখা, হায় চাহিল সে যেই তার চোখের ঐ তীর খেয়ে কেঁদে কহিল হৃদি; ওগো হেনে গেল তীর।।
বাগিচায় বুলবুলি তুই
বাণী
বাগিচায় বুলবুলি তুই ফুল শাখাতে দিসনে আজি দোল আজো তার ফুল কলিদের ঘুম টুটেনি তন্দ্রাতে বিলোল।। আজো হায় রিক্ত শাখায় উত্তরী বায় ঝুরছে নিশি-দিন আসেনি দখনে হাওয়া গজল গাওয়া মোমাছি বিভোল।। কবে সে ফুল কুমারী ঘোমটা চিরি', আসবে বাহিরে (রে) শিশিরের স্পর্শ-সুখে ভাঙবে রে ঘুম রাঙবে রে কপোল। ফাগুনের মুকুল-জাগা দু'কূল ভাঙা আসবে ফুলেল বান কুঁড়িদের ওষ্ঠ পুটে লুটবে হাসি ফুটবে গালে টোল।। কবি তুই গন্ধে ভুলে ' ডুবলি জলে কূল পেলিনে আর ফুলে তোর বুক ভ'রেছিস আজকে জলে ভররে আঁখির কোল।।