বকুল ছায়ে ছিনু ঘুমায়ে গোপন পায়ে
বাণী
বকুল ছায়ে ছিনু ঘুমায়ে গোপন পায়ে আসিলে তুমি। রাতের শেষে ভোরের মতন ভাঙিলে স্বপন নয়ন চুমি’॥ ফুলের বুকে মধুর সম আসিলে তুমি আামার প্রাণে মরুর বুকে উঠিল ফুটে রঙিন কুসুম বেদন ভুলি’॥ জাগিয়া হেরি পরান ভরি উঠিতেছে ঢেউ এ কি এ ব্যথার বেদনা যত মধুও তত হিয়াতে শরম নয়নে আশার। অকালে ফাগুন আগুন শিখায় রাঙিল মনের কানন-ভূমি॥
বহিছে সাহারায় শোকেরই 'লু' হাওয়া
বাণী
বহিছে সাহারায় শোকেরই 'লু' হাওয়া দোলে অসীম আকাশ আকুল রোদনে। নূহের প্লাবন আসিল ফিরে যেন, ঘোর অশ্রু-শ্রাবণ ধারা ঝরে সঘনে।। 'হায় হোসেনা' 'হায় হোসেনা' বলি' কাঁদে গিরি নদী, কাঁদে বনস্থলী কাঁদে পশু ও পাখী তরুলতার সনে।। ফকির বাদশাহ গরীব ওমরাহে কাঁদে তেমনি আজো তাঁরি মর্সিয়া গাহে, বিশ্বে যাবে মুছে মুছিবে না এ আঁসু, চিরকাল ঝরিবে কালের নয়নে।। সেই সে কারবালা সেই ফোরাত নদী কুল-মুসলিম-হৃদে গাহিছে নিরবধি, আসমান জমীন রহিবে যতদিন সবে কাঁদিবে এমনি আকুল কাঁদনে।।
বিশ্ব ব্যাপিয়া আছ তুমি জেনে
বাণী
বিশ্ব ব্যাপিয়া আছ তুমি জেনে শান্তি ত’ নাহি পাই। রূপ ধরে এসো, দাঁড়াও সুমুখে, দেখিয়া আঁখি জুড়াই॥ আমার মাঝারে যদি তুমি রহ কেন তবে এই অসীম বিরহ কেন বুকে বাজে নিবিড় বেদনা মনে হয় তুমি নাই॥ চাঁদের আলোকে ভরে না গো মন, দেখিতে চাই যে চাঁদ, ফুলর গন্ধ পাইলে, জাগে যে ফুল দেখিবার সাধ। (ওগো) সুন্দর, যদি নাহি দেবে ধরা কেন প্রেম দিলে বেদনায় ভরা রূপের লাগিয়া কেন প্রাণ কাঁদে রূপ যদি তব নাই॥
বন-কুন্তল এলায়ে বন শবরী ঝুরে
বাণী
বন-কুন্তল এলায়ে বন শবরী ঝুরে সকরুণ সুরে। বিষাদিত ছায়া তার চৈতালী সন্ধ্যার চাঁদের মুকুরে।। চপলতা বিসরি যেন বন-যৌবন বিরহ-ক্ষীণ আজি উদাস উন্মন, তোলে না ঝঙ্কার আর ঝরা পাতার মর্মর নূপুরে।। যে কুহু কুহরিত মধুর পঞ্চমে বিভোর ভাবে, ভগ্ন কণ্ঠে তার থেমে যায় সুর করুণ রেখাবে। কোন বন-শিকারীর অকরুণ তীর আলো হ’রে নিল ওই উজল আঁখির — ফেলে যাওয়া বাঁশি তা’র অঞ্চলে লুকায়ে — গিরি–দরি–প্রান্তরে খোঁজে সে নিঠুরে।।