ব'লো বঁধুয়ারে নিরজনে
বাণী
(সখি) ব'লো বঁধুয়ারে নিরজনে দেখা হ'লে রাতে ফুল-বনে।। কে করে ফুল চুরি জেনেছে ফুলমালী কে দেয় গহীন রাতে ফুলের কুলে কালি জেনেছে ফুলমালী গোপনে।। ও-পথে চোর-কাঁটা, সখি, তায় বলে দিও বেঁধে না বেঁধে না লো যেন তার উত্তরীয়। এ বনফুল লাগি' না আসে কাঁটা' দলি' আপনি যাব চলি' বঁধুয়ার কুঞ্জ-গলি বিনা মূলে বিকাইব ও-চরণে।।
বসিয়া নদী-কূলে এলোচুলে
বাণী
বসিয়া নদী-কূলে,এলোচুলে কে উদাসিনী কে এলে, পথ ভুলে, এ অকূলে বন-হরিণী।। কলসে জল ভরিয়া চায় করুণায় কুল-বধূরা, কেঁদে যায় ফুলে, ফুলে, পদমূলে, সাঁঝ-তটিনী।। দলিয়া কত ভাঙা-মন, ও চরণ, করেছ রাঙা কাঁদায়ে কত না দিল, এলে নিখিল মন-মোহিনী।। হারালি গোধূলি-লগন কবি, কোন নদী কিনারে, একি সেই স্বপন-চাঁদ, পেতেছে ফাঁদ প্রিয়ার সতিনী।।
বাঁশির কিশোর লুকায়ে হেরিছে
বাণী
বাঁশির কিশোর লুকায়ে হেরিছে একেলা। পিয়াল বনের পথে নিরালা সাঁঝের বেলা। হেলে দুলে চলে কে কাঁখে গাগরি, কাহার ঝিয়ারি, ও কাহার পিয়ারি ওই নবীনা নাগরি।। নূপুর মিনতি করে কাঁদিয়া কাঁদিয়া আমারে রাখিও চরণে বাঁধিয়া, পিয়া পিয়া ব'লে ডেকে ওঠে পাপিয়া। অঙ্গ জড়ায়ে দোলে আনন্দে ঘাগরি।। চাঁদের মুখে যেন চন্দন মাখিয়া কাজল কালো চোখের কলঙ্ক আঁকিয়া আকাশ সম ওরে রেখেছে ঢাকিয়া নীলাম্বরী।।