বকুল তলে ব্যাকুল বাঁশি কে বাজায়
বাণী
বকুল তলে ব্যাকুল বাঁশি কে বাজায় যে বাঁশরি শুনে কিশোরী সহসা যেন গো যৌবন পায়॥ রয় না মন ঘরে সেই বাঁশির সুরে দূরে ভেসে যেতে চায় পরান ঘুরে মরে তাহার রাঙা পায়॥ তারি নূপুর শুনি নিশিদিনই প্রাণে মোর নিশীথ রাতে আসে পাশে বসে মনোচোর। তারে কি মালা দিব অশ্রু-মুক্তা গাঁথা বিছাবো পথে কি তার মরা ফুল ঝরা পাতা প্রাণের দীপালি জ্বালি তারি আশায়॥
বিকাল বেলার ভুঁইচাঁপা গো
বাণী
বিকাল বেলার ভুঁইচাঁপা গো সকাল বেলার যুঁই কারে কোথায় দেব আসন তাই ভাবি নিতুই।। ফুলদানিতে রাখব কারে,কারে গাঁথি কণ্ঠ -হারে কারে যেন দেব তারে কারে বুকে থুই।। সমান অভিমানী ওরা সমান সুকোমল চাঁপা আমার চোখের আলো,যুঁই চোখের জল। বর্ষা-মুখর শ্রাবণ-প্রাতে,কাঁদি আমি যুথীর সাথে চাঁপায় চাহি চৈতী-রাতে,প্রিয় আমার দুই।।
বাসন্তী রং শাড়ি প’রো খয়ের রঙের টিপ্
বাণী
বাসন্তী রং শাড়ি প’রো খয়ের রঙের টিপ্। সাঁঝের বেলায় সাজবে যখন জ্বাল্বে যখন দীপ্॥ দুলিয়ে দিও দোলন্ খোঁপায় আমের মুকুল বকুল চাঁপায়, মেখ্লা ক’রো কটি-তটে শিউরে-ওঠা নীপ্॥ কর্ণ-মূলে দুল দুলিও দুলাল চাঁপার কুঁড়ি, বন্-অতসীর কাঁকন প’রো, কনক-গাঁদার চুড়ি। আধখানা চাঁদ গরব ভরে হাসে হাসুক আকাশ ’পরে, তুমি বাকি আধখানা চাঁদ ধরার মণি-দীপ্॥