বাণী

বেদনার সিন্ধু-মন্থন শেষ, হে ইন্দ্রানী,
জাগো, জাগো করে সুধা-পাত্রখানি।।
রোদন-সায়রে ধুয়ে পুষ্পতনু
এসো অশ্রুর বরষার ইন্দ্র-ধনু,
হের কুলে অনুরাগে জীবন-দেবতা জাগে
	ধরিবে বলিয়া তব পদ্মপাণি।।
তব দুখ-রাত্রির তপস্যা শেষ- এলো শুভ দিন,
অতল-তমসা-লক্ষ্মী গো তুমি অমরার
এসো এসো পার হ'য়ে ব্যথার পাথার।
অশ্রুত অশ্রুর নীরবতা কর দূর
	কূলে কূলে হাসির তরঙ্গ হানি।।

বাণী

বহিছে সাহারায় শোকেরই 'লু' হাওয়া
দোলে অসীম আকাশ আকুল রোদনে।
নূহের প্লাবন আসিল ফিরে যেন,
ঘোর অশ্রু-শ্রাবণ ধারা ঝরে সঘনে।।
'হায় হোসেনা' 'হায় হোসেনা' বলি'
কাঁদে গিরি নদী, কাঁদে বনস্থলী
কাঁদে পশু ও পাখী তরুলতার সনে।।
ফকির বাদশাহ গরীব ওমরাহে
কাঁদে তেমনি আজো তাঁরি মর্সিয়া গাহে,
বিশ্বে যাবে মুছে মুছিবে না এ আঁসু,
চিরকাল ঝরিবে কালের নয়নে।।
সেই সে কারবালা সেই ফোরাত নদী
কুল-মুসলিম-হৃদে গাহিছে নিরবধি,
আসমান জমীন রহিবে যতদিন
সবে কাঁদিবে এমনি আকুল কাঁদনে।।

বাণী

বল্‌ রে জবা বল্ —
কোন্ সাধনায় পেলি শ্যামা মায়ের চরণতল।।
মায়া–তরুর বাঁধন টু’টে মায়ের পায়ে পড়লি লু’টে
মুক্তি পেলি, উঠলি ফুটে আনন্দ–বিহ্বল।
তোর সাধনা আমায় শেখা (জবা) জীবন হোক সফল।।
কোটি গন্ধ –কুসুম ফোটে, বনে মনোলোভা —
কেমনে মা’র চরণ পেলি, তুই তামসী জবা।
তোর মত মা’র পায়ে রাতুল হবো কবে প্রসাদী ফুল,
কবে উঠবে রেঙে —
ওরে মায়ের পায়ের ছোঁয়া লেগে উঠবে রেঙে,
কবে তোরই মতো রাঙবে রে মোর মলিন চিত্তদল।।

বাণী

বরের বেশে আসবে জানি আজ মম সুন্দর।
পার হ’য়ে দূর বিরহ-লোক বহু যুগের পর।।
	আসে সে ঐ চুপে চুপে
	আমার মধুর মরণ রূপে
আর সে ছেড়ে যাবে না গো আমার-ঘর।।

নাটকঃ ‘লায়লী-মজনু’

বাণী

বালা যোবান মোরি স্যখিরি পরদেশে পিয়া।
ক্যায়সে স্যামহালু সোলা ব্যরস উম্যারিয়ারি পরদেশে পিয়া।।
ব্যয়রি ভ্যয়রি যোবান দিলমে নাহি চ্যয়ন
দিল ন্য লাগে কামমে জাগি কাটে রয়ন
সোতে ড্যর লাগে একেলী স্যবরিয়া রি পরদেশে পিয়া।।
ফিকা লাগে খানা পিনা ন্যয়নোমে নিদ ন্যহিরি
যাঁহা মোরি বিদেশিয়া লেবা মোহে ওয়াহিরি।
আয়ে ফাগুন চৈত স্যখি খিলা যোবান ফুল মোর
স্যতায়ে নিসদিন মোহে বুলবুল আওর ফুলচোর
ক্যয়সে ছিপাউ উও ফুল প্যতরি আঙ্গিঁয়ারি পরদেশে পিয়া।।

বাণী

বাঁকা শ্যামল এলো বন-ভবনে
তার বাঁশির সুর শুনি পবনে॥
	রাঙা সে চরণের নূপুর-রোলে রে
	আকুল এ হৃদয় পুলকে দোলে রে
সে নূপুর শুনি’ নাচে ময়ূর কদম তমাল-বনে॥
	বুঝি সেই শ্যামের পরশ লাগিল
	আমার চরণে তাই নাচন জাগিল —
ঘিরি শ্যামে দখিন-বামে নেচে বেড়াই আপন মনে॥
	এলো মাধবী চাঁদ গগন আঙিনায়
	জোয়ার এসেছে তাই হৃদয় যমুনায়
খুলিয়া গলার মালা পরাব শ্যামেরি বরণে॥