বাঁশিতে সুর শুনিয়ে নূপুর রুনঝনিয়ে
বাণী
বাঁশিতে সুর শুনিয়ে নূপুর রুনঝনিয়ে এলে আজি বাদলপ্রাতে। কদম কেশর ঝুরে পুলকে তোমার পায়ে, তমাল বিছায়ে ছায়া শ্যামল আদুল গায়ে। অলকা পথ বাহি আসিলে মেঘের নায়ে, নাচের তালে বাজিয়া ওঠে চুড়ি কাঁকন হাতে।। ধানি রঙের শাড়ি ফিরোজা রঙ উত্তরীয় প'রেছি এ শ্রাবণ দোলাতে দুলিতে প্রিয়। কেশের কমল-কলি, বনমালী, তুলিয়া আদরে চাঁচর চিকুরে আপনি পরিও তোমার রূপের কাজল পরায়ো আমার আঁখি পাতে।।
বিদেশিনী বিদেশিনী চিনি চিনি
বাণী
বিদেশিনী বিদেশিনী চিনি চিনি ঐ চরণের নূপুর রিনিঝিনি॥ দীপ জেগে ওঠে পাথার জলে তোমার চরণ-ছন্দে, নাচে গাঙচিল সিন্ধু-কপোত তোমারি সুরে আনন্দে। মুকুতা কাঁদিছে হার্ হ’তে ওগো তোমার বেণীর বন্ধে। মলয়ে শুনেছি তোমার বলয় চুড়ির রিনিঠিনি॥ সাগর-সলিল হয়েছে সুনীল তোমার তনুর বর্ণে, তোমার আঁখির আলো ঝলমল দেবদারু তরু-পর্ণে। অস্ত-তপন হয়েছে রঙিন তোমার হাসির স্বর্ণে শঙ্খ-ধবল বেলাভূমে খেল সাগর-নটিনী॥
বিঁধে গেল তীর তেরছ তার চাহনি
বাণী
বিঁধে গেল তীর তেরছ তার চাহনি। বিঁধিল মরম-মূলে চাহিল যেমনি।। হৃদয় বনের নিষাদ সে নিঠুর তনু তার ফুলবন আঁখি তাহে ফণি। এলো যখন স্বপন-পরী উড়ায়ে আঁচল সোনালি, মোর ধেয়ান-লোক হতে যেন এলো রূপ ধরে রূপওয়ালী। দেহে তার চাঁদিনী-চন্দন মাখা, হায় চাহিল সে যেই তার চোখের ঐ তীর খেয়ে কেঁদে কহিল হৃদি; ওগো হেনে গেল তীর।।