বাজিয়ে বাঁশি মনের বনে
বাণী
বাজিয়ে বাঁশি মনের বনে এসো কিশোর বংশীধারী। চূড়ায় আঁধার ময়ূর-পাখা বামে লয়ে রাধাপ্যারী।। আমার আঁধার প্রাণের মাঝে এসো অভিসারের সাজে, নয়ন-জলের যমুনাতে উজান বেয়ে ছুটুক বারি।। এমনি চোখে তোমায় আমি দেখতে যদি না পাই হরি, দেখাও পদ্মপলাশ আঁখি, তোমার প্রেমে অন্ধ করি’। হরি হে, ঘুচাও এবার মায়ার বেড়ী, পরাও তিলক কলঙ্কেরি, শ্যাম রাখি কি কুল রাখি’ ভাব শ্যাম হে আর সইতে নারি।।
বন-ফুলে তুমি মঞ্জরি গো
বাণী
বন-ফুলে তুমি মঞ্জরি গো তোমার নেশায় পথিক-ভ্রমর ব্যাকুল হ'ল গুঞ্জরি' গো।। তুমি মায়ালোকের নন্দিনী ন্দনের আনন্দিনী তুমি ধূলির ধরার বন্দিনী, যাও গহন কাননে সঞ্চরি গো।। মৃদু পরশ-কুঞ্চিতা তুমি বালিকা বল্লভ-ভীতা পল্লব অবগণি্ঠিতা মুকুলিকা। তুমি প্রভাত বেলায় মঞ্জরি লাজে সন্ধ্যায় যাও ঝরি' অরণ্যা-বল্লরি শোভা, পুণ্য পল্লী-সুন্দরী।।
বিকাল বেলার ভুঁইচাঁপা গো
বাণী
বিকাল বেলার ভুঁইচাঁপা গো সকাল বেলার যুঁই কারে কোথায় দেব আসন তাই ভাবি নিতুই।। ফুলদানিতে রাখব কারে,কারে গাঁথি কণ্ঠ -হারে কারে যেন দেব তারে কারে বুকে থুই।। সমান অভিমানী ওরা সমান সুকোমল চাঁপা আমার চোখের আলো,যুঁই চোখের জল। বর্ষা-মুখর শ্রাবণ-প্রাতে,কাঁদি আমি যুথীর সাথে চাঁপায় চাহি চৈতী-রাতে,প্রিয় আমার দুই।।
বল প্রিয়তম বল
বাণী
বল প্রিয়তম বল — মোর নিরাশা-আঁধারে আলো দিতে তুমি কেন দীপ হ’য়ে জ্বল॥ যত কাঁটা পড়ে মোর পথে যেতে যেতে, কেন তুমি তাহা লহ বঁধু বুক পেতে। যদি ব্যথা পাই বুঝি পথে তাই তুমি ফুল বিছাইয়া চল॥ বল হে বিরহী, তুমি আমারে অমৃত এনে দাও কেন নিজে উপবাসী রহি’। মোর পথের দাহন আপন বক্ষে নিয়ে, মেঘ হয়ে চল সাথে সাথে ছায়া দিয়ে। মোর ঘুম না আসিলে কেন কাঁদ চাঁদ হয়ে ঢলঢল॥
বিশ্ব ব্যাপিয়া আছ তুমি জেনে
বাণী
বিশ্ব ব্যাপিয়া আছ তুমি জেনে শান্তি ত’ নাহি পাই। রূপ ধরে এসো, দাঁড়াও সুমুখে, দেখিয়া আঁখি জুড়াই॥ আমার মাঝারে যদি তুমি রহ কেন তবে এই অসীম বিরহ কেন বুকে বাজে নিবিড় বেদনা মনে হয় তুমি নাই॥ চাঁদের আলোকে ভরে না গো মন, দেখিতে চাই যে চাঁদ, ফুলর গন্ধ পাইলে, জাগে যে ফুল দেখিবার সাধ। (ওগো) সুন্দর, যদি নাহি দেবে ধরা কেন প্রেম দিলে বেদনায় ভরা রূপের লাগিয়া কেন প্রাণ কাঁদে রূপ যদি তব নাই॥