বসিয়া বিজনে কেন একা মনে
বাণী
বসিয়া বিজনে কেন একা মনে পানিয়া ভরণে চলো লো গোরী চলো জলে চলো কাঁদে বনতল ডাকে ছলছল জল-লহরি।। দিবা চ’লে যায় বলাকা-পাখায় বিহগের বুকে বিহগী লুকায়। কেঁদে চখা-চাখি মাগিছে বিদায় বারোয়াঁর সুরে ঝুরে বাঁশরি।। ওগো বে-দরদি ও রাঙা পায়ে মালা হয়ে কে গো গেল জড়ায়ে। তব সাথে কবি পড়িল দায়ে পায়ে রাখি তারে না গলে পরি।।
বিদেশিনী বিদেশিনী চিনি চিনি
বাণী
বিদেশিনী বিদেশিনী চিনি চিনি ঐ চরণের নূপুর রিনিঝিনি॥ দীপ জেগে ওঠে পাথার জলে তোমার চরণ-ছন্দে, নাচে গাঙচিল সিন্ধু-কপোত তোমারি সুরে আনন্দে। মুকুতা কাঁদিছে হার্ হ’তে ওগো তোমার বেণীর বন্ধে। মলয়ে শুনেছি তোমার বলয় চুড়ির রিনিঠিনি॥ সাগর-সলিল হয়েছে সুনীল তোমার তনুর বর্ণে, তোমার আঁখির আলো ঝলমল দেবদারু তরু-পর্ণে। অস্ত-তপন হয়েছে রঙিন তোমার হাসির স্বর্ণে শঙ্খ-ধবল বেলাভূমে খেল সাগর-নটিনী॥
বল দেখি মা নন্দরানী
বাণী
বল দেখি মা নন্দরানী ওগো গোকুলবালা (ওমা) কেমন করে তোদের ঘরে (মা) এলো নন্দলালা। (মা তুই) কোন সাধনায় দধি মথন করে তুললি ননী হৃদয় পাত্র ভরে; তুই সেই নবনি দিয়ে যতন করে (মা তুই) গড়লি কি এই ননীর পুতুল আঁধার চিকনকালা।। অমন রসবিগ্রহ মা গড়তে পারে কে? গোপঝিয়ারি গড়তে পারে কে? গোকুল মেয়ে নস্ তুই মা তুই কুমারের ঝি। (মাগো) তুই নস্ যোগিনী তবু স্বগুণ বলে (মা তুই) শ্রীকৃষ্ণে বাঁধলি উদূখলে (আমায়) সেই যোগ তুই শিখিয়ে দে মা বসেই জপমালা।।
বিধুর তব অধর-কোণে মধুর হাসির রেখা
বাণী
বিধুর তব অধর-কোণে মধুর হাসির রেখা। তারি লাগি' ভিখারি মন ফেরে একা একা।। সজাগ হয়ে আছে শ্রবণ, থির হয়েছে অধীর পবন। তুমি কথা কইবে কখন গাইবে কুহু কেকা।। কখন তুমি চাইবে, প্রিয়া, সলাজ অনুরাগে। তিমির-তীরে অরুণ ঊষা তারি আশায় জাগে। কেমন ক'রে চাঁদ যে টানে — সিন্ধু জানে, জোয়ার জানে — দেখিতে আসি, আসিনিকো দিতে তোমায় দেখা।।
নাটক: ‘চক্রব্যূহ’