বাসন্তী রং শাড়ি প’রো খয়ের রঙের টিপ্
বাণী
বাসন্তী রং শাড়ি প’রো খয়ের রঙের টিপ্। সাঁঝের বেলায় সাজবে যখন জ্বাল্বে যখন দীপ্॥ দুলিয়ে দিও দোলন্ খোঁপায় আমের মুকুল বকুল চাঁপায়, মেখ্লা ক’রো কটি-তটে শিউরে-ওঠা নীপ্॥ কর্ণ-মূলে দুল দুলিও দুলাল চাঁপার কুঁড়ি, বন্-অতসীর কাঁকন প’রো, কনক-গাঁদার চুড়ি। আধখানা চাঁদ গরব ভরে হাসে হাসুক আকাশ ’পরে, তুমি বাকি আধখানা চাঁদ ধরার মণি-দীপ্॥
বদ্না গাড়ুতে বসে মুখোমুখী
বাণী
বদ্না গাড়ুতে বসে মুখোমুখী দিব্বি হয়েছে ভাব! বদনা চাহিছে শুক্তুনী আর – চাহিছে গাড়ু কাবাব।। গাড়ু বলে এসো বদনা ভাইটি হোক শুভ চোখাচোখি। তুমি মোর হাতে পেঁয়াজ দাও আর আমি দিই হরতকি।। [শুনে বদনা ভাবে গদগদ হয়ে বলছেন ‘গাড়ুদাদা দাড়িতে একবার টিকিতে বুলাও না’] ও গাড়ু দাদা দাড়িতে বুলাও টিকি – ছুরি ও নাদ্না রাখি দোঁহে এসো আস্নাই করা শিখি।। [গাড়ু তখন ভাব জমিয়ে বলছেন] পাখিদের মাঝে বামুন যে রাম পাখি। কেননা মাথায় উহার জবা-ফুল বাঁধা টিকি দেখ নাকি তাহা দেখ নাকি? [বদনা তখন বদন ব্যাদন করে বলছেন] ও তো টিকি নয় দাদা ও যে তুর্কী ফেজ্। পাখিদের মাঝে উনি মোল্লাজী হ্যাঁদু নয় হরগেজ।। [গাড়ু তখন বদনার পিঠে নল বুলিয়ে বলছেন] হাতে দিব ক্ষীর নাড়ু ভাই, ছেড়ে দাও খাওয়া ঐ বড়টা। [শুনে বদনা অবাক – বল্লে] রে মদনা তাহলে কি দিয়ে খাইব পরটা? গাড়ু বলে, আহা দোস্তীর তরে ছাড়িতে হয়। এসা দাদা এসো জড়াজড়ি করি বদ্না গড়ায়ে কয়।। জড়াজড়ি থেকে গড়াগড়ি দুই নলে প্রেমবারি ঝরে। সেই ভাব দেখে বিদেশী কেটলী রাগে টগবগ করে।।
‘ভাই ভাই এক-ঠাঁই’
বন তমালের শ্যামল ডালে দোলে ঝুলন
বাণী
বন তমালের শ্যামল ডালে দোলে ঝুলন দোলায় যুগল রাধা শ্যাম। কিশোরী পাশে কিশোর হাসে ভাসে আনন্দ সাগরে আজ ব্রজধাম।। তড়িত লতায় যেন জড়িত জলধরে ওগো যুগল রূপ হেরি মুনির মনোহরে পুলকে গগন ছাপিয়া বারি করে বাজে যমুনা তরঙ্গে শ্যাম শ্যাম নাম।। বন ময়ুর নাচে ঘন দেয়ার তালে দোলা লাগে কেতকী কদম ডালে। আকাশে অনুরাগে ইন্দ্রধনু জাগে হেরে ত্রিলোক থির হয়ে রূপ অভিরাম।।