ভুলি কেমনে আজো যে মনে
বাণী
ভুলি কেমনে আজো যে মনে বেদনা-সনে রহিল আঁকা। আজ সজনী দিন রজনী সে বিনে গনি সকলি ফাঁকা।। আগে মন করলে চুরি মর্মে শেষে হানলে ছুরি এত শঠতা এত যে ব্যথা তবু যেন তা মধুতে মাখা।। চকোরী দেখলে চাঁদে দূর থেকে সই আজো কাঁদে আজো বাদলে ঝুলন ঝুলে তেমনি জলে চলে বলাকা।। বকুলের তলায় দোদুল কাজলা মেয়ে কুড়োয় লো ফুল চলে নাগরী কাঁখে গাগরি চরণ ভারি কোমর বাঁকা।। ডালে তোর করলে আঘাত দিস্ রে কবি ফুল সওগাত ব্যথা-মুকুলে অলি না ছুঁলে বনে কি দুলে ফুল-পতাকা।।
ভুল করিলে বনমালী এসে বনে ফুল-ফোটাতে
বাণী
ভুল করিলে বনমালী এসে বনে ফুল-ফোটাতে। বুলবুলি সে ফুলও ফোটায় বন-মাতানোর সাথে সাথে।। আঘাত দিলে, দিলে বেদন রাঙাতে হায় পারলে না মন, প্রেমের কুঁড়ি ফুটলো না তাই, পড়লো ঝ’রে নিরাশাতে।। আমায় তুমি দেখলে নাকো, দেখলে আমার রূপের মেলা হায় রে দেহের শ্মশান-চারী, শব নিয়ে মোর করলে খেলা, শয়ন-সাথী হ’লে আমার, রইলে নাকো নয়ন-পাতে।।
গজলের সুরে কৃষ্ঞপ্রেম
ভক্ত নরের কাছে হে নারায়ণ
বাণী
ভক্ত নরের কাছে হে নারায়ণ চিরদিন আজ হারি তাই তো তোমায় নামায়েছি ব্রজে গোলক হইতে কাড়ি।। চতুর্ভুজের দ্বিভুজ হরিয়া বেঁধেছি যশোদা দুলাল করিয়া বনমালা পীত বসন পরিয়া হয়েছ ময়ূর মুকুটধারী।। রাঙা পায়ে তব নূপুর পরায়ে নাচায়েছি পথ মাঝে হাতে দিয়ে বেণু সাথে দিয়ে ধেণু সাজানু গোপাল সাজে। ভগবান বলে মোরা না ধেয়াই চোর কপট নিঠুর বলি তাই সুমধুর গালি দিয়েছি কানাই বামে দিয়ে রাধা প্যারী।।
ভোর হোল ওঠ্ জাগ্ মুসাফির
বাণী
ভোর হোল ওঠ্ জাগ্ মুসাফির আল্লা-রসুল বোল্ গাফ্লিয়াতি ভোল্ রে অলস্ আয়েশ আরাম্ ভোল্॥ এই দুনিয়ার সরাইখানায় জনম্ গেল ঘুমিয়ে হায় ওঠ রে সুখ-শয্যা ছেড়ে মায়ার বাঁধন খোল্॥ দিন ফুরিয়ে এলো যে রে দিনে দিনে তোর দীনের কাজে অবহেলা কর্লি জীবন ভোর। যে দিন আজো আছে বাকি খোদারে তুই দিস্নে ফাঁকি আখেরে পার হবি যদি পুল্ সেরাতের পোল্॥