ভারত শ্মশান হ’ল মা তুই শ্মশানবাসিনী ব’লে
বাণী
ভারত শ্মশান হ’ল মা, তুই শ্মশানবাসিনী ব’লে। জীবন্ত-শব নিত্য মোরা, চিতাগ্নিতে মরি জ্ব’লে।। আজ হিমালয় হিমে ভরা, দারিদ্র্য-শোক-ব্যাধি-জরা, নাই যৌবন, যেদিন হতে শক্তিময়ী গেছিস্ চ’লে।। (মা) ছিন্নমস্তা হয়েছিস্ তাই হানাহানি হয় ভারতে, নিত্য-আনন্দিনী, কেন টানিস্ নিরানন্দ পথে? শিব-সীমন্তিনী বেশে খেল্ মা আবার হেসে হেসে, ভারত মহাভারত হবে, আয় মা ফিরে মায়ের কোলে।।
ভক্ত নরের কাছে হে নারায়ণ
বাণী
ভক্ত নরের কাছে হে নারায়ণ চিরদিন আজ হারি তাই তো তোমায় নামায়েছি ব্রজে গোলক হইতে কাড়ি।। চতুর্ভুজের দ্বিভুজ হরিয়া বেঁধেছি যশোদা দুলাল করিয়া বনমালা পীত বসন পরিয়া হয়েছ ময়ূর মুকুটধারী।। রাঙা পায়ে তব নূপুর পরায়ে নাচায়েছি পথ মাঝে হাতে দিয়ে বেণু সাথে দিয়ে ধেণু সাজানু গোপাল সাজে। ভগবান বলে মোরা না ধেয়াই চোর কপট নিঠুর বলি তাই সুমধুর গালি দিয়েছি কানাই বামে দিয়ে রাধা প্যারী।।
ভুলে রইলি মায়ায় এসে ভবে
বাণী
দ্বৈত : ভুলে রইলি মায়ায় এসে ভবে তুই ভুলবি ভুলের খেলা কবে॥ স্ত্রী : নিবু নিবু তোর জীবন-বাতি শেষ হলো সুখ-রাতি, পুরুষ : রাত পোহালে সুখের সাথী সঙ্গে নাহি রবি॥ স্ত্রী : যাঁর কৃপায় তুই রইলি সুখে ডাক্লি না রে তারে পুরুষ : তুই কি নিয়ে হায় তাহার কাছে যাবি পরপারে। স্ত্রী : জমালি যা তুই জীবন ভ’রে পিছু প’ড়ে রবে পুরুষ : দারাসুত লবে বিভব রতন পাপের বোঝা নাহি লবে॥ স্ত্রী : স্রোতের মতো সময যে যায় নিয়ে শরণ প্রভুর পায় পুরুষ : কৃপা-সিন্ধুর কৃপা পেলে ত’রে যাবি তুই তবে॥