ভক্ত নরের কাছে হে নারায়ণ
বাণী
ভক্ত নরের কাছে হে নারায়ণ চিরদিন আজ হারি তাই তো তোমায় নামায়েছি ব্রজে গোলক হইতে কাড়ি।। চতুর্ভুজের দ্বিভুজ হরিয়া বেঁধেছি যশোদা দুলাল করিয়া বনমালা পীত বসন পরিয়া হয়েছ ময়ূর মুকুটধারী।। রাঙা পায়ে তব নূপুর পরায়ে নাচায়েছি পথ মাঝে হাতে দিয়ে বেণু সাথে দিয়ে ধেণু সাজানু গোপাল সাজে। ভগবান বলে মোরা না ধেয়াই চোর কপট নিঠুর বলি তাই সুমধুর গালি দিয়েছি কানাই বামে দিয়ে রাধা প্যারী।।
ভালোবাসায় বাঁধব বাসা
বাণী
উভয়ে : ভালোবাসায় বাঁধব বাসা আমরা দু'টি মাণিক-জোড়। থাকব বাঁধা পাখায় পাখায় মাখামাখি প্রেম-বিভোর।। পুরুষ : আমার বুকে যত মধু স্ত্রী : আমার বুকে ঢালবে বঁধু পুরুষ : আমি কাঁদব যখন দুখে স্ত্রী : আমি মুছাব সে নয়ন-লোর।। পুরুষ : আমি যদি কভু মনের ভুলে তোমায় প্রিয় থাকি ভুলে, স্ত্রী : আমি রইব তাতেই ফুলের মালায় লুকিয়ে যেমন থাকে ডোর। উভয়ে : মোরা নীল গগনের নীল স্বপনে চির-কালের চাঁদ-চকোর।।
ভুলিতে পারিনে তাই আসিয়াছি পথ ভুলি
বাণী
ভুলিতে পারিনে তাই আসিয়াছি পথ ভুলি’। ভোল মোর সে অপরাধ, আজি যে লগ্ন গোধূলি।। এমনি রঙিন বেলায় খেলেছি তোমায় আমায়, খুঁজিতে এসেছি তাই সেই পুরানো দিনগুলি।। তুমি যে গেছ ভুলে – ছিল না আমার মনে, তাই আসিয়াছি তব বেড়া–দেওয়া ফুলবনে। গেঁথেছি কতই মালা এই বাগানের ফুল তুলি’— আজও সেথা গাহে গান আমার পোষা বুলবুলি।।
ভেসে যায় হৃদয় আমার মদিনা পানে
বাণী
ভেসে যায় হৃদয় আমার মদিনা পানে। আসিলেন রসুলে-খোদা প্রথম যেখানে।। উঠিল যেখানে রণি’, প্রথম তকবির ধ্বনি লভিনু মণির খনি যথায় কোরানে।। যথা হেরা গুহার আঁধারে প্রথম ইসলামের জ্যোতি লভিল জনম, করে অঝোর ধারায় যথা খোদার রহম, ভাসিল নিখিল ভুবন যাহার তুফানে।। লাখো আম্বিয়া আউলিয়া বাদশা ফকির যথা যুগে যুগে আসি’করিল ভিড় তারি ধূলাতে লুটাবো আমি নোয়া’ব শির; নিশিদিন শুনি তাঁরি ডাক আমার পরানে।।