ভুল করিলে বনমালী এসে বনে ফুল-ফোটাতে
বাণী
ভুল করিলে বনমালী এসে বনে ফুল-ফোটাতে। বুলবুলি সে ফুলও ফোটায় বন-মাতানোর সাথে সাথে।। আঘাত দিলে, দিলে বেদন রাঙাতে হায় পারলে না মন, প্রেমের কুঁড়ি ফুটলো না তাই, পড়লো ঝ’রে নিরাশাতে।। আমায় তুমি দেখলে নাকো, দেখলে আমার রূপের মেলা হায় রে দেহের শ্মশান-চারী, শব নিয়ে মোর করলে খেলা, শয়ন-সাথী হ’লে আমার, রইলে নাকো নয়ন-পাতে।।
গজলের সুরে কৃষ্ঞপ্রেম
ভারত আজিও ভোলেনি বিরাট
বাণী
ভারত আজিও ভোলেনি বিরাট মহাভারতের ধ্যান। দেশ হারায়েছে — হারায়নি তা’র আত্মা ও ভগবান।। তাহার ক্ষাত্রশক্তি গিয়াছে প্রেম ও ভক্তি আজও বেঁচে আছে, আজিও পরম ধৈর্য ও বিশ্বাসে — তার আশা-দীপ জ্বালিয়া রেখেছে সেই ভাগবত জ্ঞান।। দেহের জীর্ণ পিঞ্জরে তার প্রাণ কাঁদে নিরাশায়, ‘সম্ভবামি যুগে যুগে’ বাণী ভুলিতে পারে না হায়! সেই আশ্বাসে আজ নব অনুরাগে পাষাণ ভারতে বিরাট চেতনা জাগে, জেগেছে সুপ্ত-সিংহ, এসেছে দিব্য অসি-কৃপাণ।।
ভুলি কেমনে আজো যে মনে
বাণী
ভুলি কেমনে আজো যে মনে বেদনা-সনে রহিল আঁকা। আজ সজনী দিন রজনী সে বিনে গনি সকলি ফাঁকা।। আগে মন করলে চুরি মর্মে শেষে হানলে ছুরি এত শঠতা এত যে ব্যথা তবু যেন তা মধুতে মাখা।। চকোরী দেখলে চাঁদে দূর থেকে সই আজো কাঁদে আজো বাদলে ঝুলন ঝুলে তেমনি জলে চলে বলাকা।। বকুলের তলায় দোদুল কাজলা মেয়ে কুড়োয় লো ফুল চলে নাগরী কাঁখে গাগরি চরণ ভারি কোমর বাঁকা।। ডালে তোর করলে আঘাত দিস্ রে কবি ফুল সওগাত ব্যথা-মুকুলে অলি না ছুঁলে বনে কি দুলে ফুল-পতাকা।।
ভুল করেছি ওমা শ্যামা
বাণী
ভুল করেছি ওমা শ্যামা বনের পশু বলি দিয়ে। (তাই) পূজিতে তোর রাঙা চরণ এলাম মনের পশু নিয়ে॥ তুই যে বলিদান চেয়েছিস কাম-ছাগ, ক্রোধ-রূপী মহিষ, মা তোর পায়ে দিলাম লোভের জবা মোহ-রিপুর ধূপ জ্বালিয়ে॥ মাগো দিলাম হৃদয়-কমন্ডলুর মদ-সলিল তোর চরণে, মাৎসর্য্যের পূর্ণাহুতি দিলাম পায়ে পূর্ণ মনে। ষড় রিপুর উপচারে যে পূজা চাস্ মা বারে বারে সেই পূজারই মন্ত্র মাগো ভক্তরে তোর দে শিখিয়ে॥