বেহাগ-খাম্বাজ

  • ঐ কাজল-কালো চোখ

    বাণী

    			ঐ কাজল-কালো চোখ।
    আদি কবির আদি রসের যেন দু’টি শ্লোক।।
    	দু’টি কুসুম আছে ফু’টে
    	পুষ্প-লতার পত্র-পুটে,
    সেই আলোকে রেঙে উঠে — বনের গহন লোক।।
    রূপের সাগর সাঁত্‌রে বেড়ায় পান কৌড়ি পাখি
    			ঐ কাজল-কালো আঁখি,
    মদির আঁখির নীল পেয়ালায় শরাব বিলাও নাকি,
    			ওগো কাজল-কালো আঁখি।
    	তোমার দু’টি আঁখি-তারা
    	তারার মত তন্দ্রাহারা,
    আমার মুখে চেয়ে চেয়ে অশ্রু-সজল হোক।।
    

    ১. হাসিতে

  • ও মা বক্ষে ধরেন শিব যে চরণ

    বাণী

    ও মা	বক্ষে ধরেন শিব যে চরণ শরণ নিলাম সেই চরণে
    	জীবন আমার ধন্য হলো ভয় নাই মা আর মরণে।।
    		যা ছিল মা মোর ত্রিলোকে
    		তোকে দিলাম, দিলাম তোকে
    	আমার ব’লে রইল শুধু তোর চরণের ধ্যান, এ মনে।।
    তোর	কেশ নাকি মা মুক্ত হলো ছুঁয়ে তোর ওই রাঙা চরণ
    	মুক্তকেশী, মুক্ত হবো ওই চরণে নিয়ে শরণ।
    	তোর	চরণ-চিহ্ন বক্ষে এঁকে
    		বিশ্বজনে বলবো ডেকে — মা
    	‘দেখে যা কোন্ রত্ন রাজে আমার হৃদয়-সিংহাসনে’।।
    
  • কেন উচাটন মন পরান এমন করে

    বাণী

    কেন উচাটন মন পরান এমন করে।
    কেন কাঁদে গো বধূ বঁধুর বুকে বাসরে।।
    	কেন মিলন-রাতে
    	সলিল আঁখি-পাতে
    কেন ফাগুন-প্রাতে সহসা বাদল ঝরে।।
    	ডাকিলে অনুরাগে
    	কেন বিদায় মাগে,
    (কেন) মরিতে সাধ জাগে — পিয়ার বুকের ’পরে।।
    	ডাকিয়া ফুলবনে
    	থাকে সে আন্‌মনে,
    কাঁদায়ে নিরজনে — কাঁদে সে নিজের তরে।।
    	কবি, তোরে কে কবে
    	সাধিল বেণুর রবে,
    ধরিতে গেলি যবে — বিঁধিল কুসুম-শরে।।
    
  • তুমি এলে কে গো চির-সাথী অবেলাতে

    বাণী

    তুমি	এলে কে গো চির-সাথী অবেলাতে
    যবে	ঝুরিছে সন্ধ্যামণি আঙিনাতে।
    ওগো	কে এলে গো চির-সাথী অবেলাতে।।
    	রোদের দাহে এলে স্নিগ্ধ-বাস ফুল-রেণু
    	নিঝুম প্রাণে এলে বাজায়ে ব্যাকুল বেণু
    ওগো	চাঁদের তিলক এলে আঁধার রাতে।
    ওগো	কে এলে গো চির-সাথী অবেলাতে।।
    	ফুল ঝরার বেলা এলে মোর শেষ অতিথি
    	কাঁদে হা হা স্বরে রিক্ত কানন-বীথি।
    	এলে রে মরুভূমে পিয়াসি চকোর মোর
    	শুক্লাতিথির শেষে কাঁদিতে এলে চকোর।
    (তুমি)	আসিলে জীবন-সাঁঝে ঘুম ভাঙাতে।
    ওগো	কে এলে গো চির সাথী অবেলাতে।।
    

  • না-ই পরিলে নোটন-খোঁপায় ঝুমকো জবার ফুল

    বাণী

    না-ই পরিলে নোটন-খোঁপায় ঝুমকো জবার ফুল (রানী)
    এমনি এসো (ওগো) লুটিয়ে পিঠে আকুল এলোচুল।।
    	সজ্জা-বিহীন লজ্জা নিয়ে
    	এমনি তুমি এসো প্রিয়ে
    গোলাপ ফুলের রঙ মাখাতে হয় যদি হোক ভুল।।
    গৌর দেহে নাই জড়ালে গৌরী চাঁপার শাড়ি
    ওগা ভূষণ পরে না-ই বা দিলে রূপের সাথে আড়ি।
    	যেমন আছ তেমনি এসো
    	নয়ন তুলে একটু হেসো
    সেই খুশিতে উঠবে দুলে আমার হৃদয় কুল।।
    
  • নাচন লাগে ঐ তরুলতায় পাতায় ফুলে

    বাণী

    নাচন লাগে ঐ তরুলতায় পাতায় ফুলে।
    ফুল-সৌখিন দখিন হাওয়া নাচে দু’লে দু’লে।।
    নাচে অথির-মতি রঙিন-পাখা প্রজাপতি,
    বন দুলায়ে মন ভুলায়ে, ঝিল্লি-নূপুর বাজায়ে
    নাচে বনে নিশীথিনী এলোচুলে।।
    মৃণাল-তনু কমল নাচে এলোখোঁপায় নীল জলে,
    ঝুমুর ঝুমুর ঘুমুর বাজে নির্ঝর পাষাণ-তলে।
    বাদ্ল হাওয়ায় তাল্‌বনা ঐ বাজায় চটুল্ দাদ্‌রা তাল,
    নদীর ঢেউ-এ মৃদঙ বাজে, পান্‌সি নাচে টাল্‌মাটাল্।
    নেচে চেনে গ্রহতারা দিশাহারা নটরাজের নাট-দেউলে।।
    
  • রুমু রুমু রুমু ঝুমু ঝুমু বাজে নূপুর

    বাণী

    রুমু রুমু রুমু ঝুমু ঝুমু বাজে নূপুর
    তালে তালে দোদুল দোলে নাচের নেশায় চুর।।
    চঞ্চল বায়ে আঁচল উড়ায়ে
    চপল পায়ে ও কে যায়
    নাটনী কল তটিনীর প্রায়
    চিনি বিদেশিনী চিনি গো তায়
    শুনি’ ছন্দ তারি এ হিয়া ভরপুর।।
    নাচন শিখালে ময়ুর মরালে
    মরিচী-মায়া মরুতে ছড়ালে
    বন-মৃগের মন হেসে ভুলালে
    ডাগর আঁখির নাচে সাগর দুলালে।
    গিরিদরি বনে গো দোল লাগে নাচনের শুনে তারি সুর।।